Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

শোভাযাত্রার নামে বিজাতীয় কর্মসূচি বর্জন করতে হবে -অধ্যক্ষ সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী

| প্রকাশের সময় : ১৪ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী দেশবাসীর প্রতি ঈমান রক্ষায় মঙ্গল শোভাযাত্রার নামে সাম্প্রদায়িক কর্মসূচি বর্জন করতে বলেছেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম-এর সভাপতিত্বে এবং নগর সেক্রেটারি মাওলানা এবিএম জাকারিয়ার সঞ্চালনায় আজ ১৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে ২১ এপ্রিল জাতীয় মহাসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে এক যৌথসভায় অনুষ্ঠিত প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেছেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ১৯৮৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিটিউটের উদ্যোগে ১ বৈশাখে মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রবর্তন করা হয়। মঙ্গল শোভাযাত্রায় বড় বড় পুতুল, হুতোম পেঁচা, হাতি, কুমির ও ঘোড়াসহ বিভিন্ন জীব-জন্ত্রুর মুখোশ পরে প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষ একসঙ্গে অশালীন পোশাক পরে অশ্লীল ভঙ্গিতে ঢোল বাদ্যের তালে তালে নৃত্য করে সড়ক প্রদক্ষিণ করার রীতি চালু করা হয়েছে, যা ইসলামের দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ হারাম। হিন্দু সমাজে শ্রী কৃষ্ণের জন্মদিনে মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। তারা তাদের বিশ্বাস অনুযায়ী মঙ্গলের প্রতীক হিসেবে পেঁচা, রামের বাহন হিসেবে হনুমান, দুর্গার বাহন হিসেবে সিংহের মুখোশ পরে ও দেবতার প্রতীক হিসেবে সূর্য এবং অন্যান্য জীব-জন্তুর মুখোশ পরে মঙ্গল শোভাযাত্রা করে থাকে। বাঙালি সংস্কৃতির সাথে ইসলাম ধর্মের সাথে মঙ্গল শোভাযাত্রার কোন সম্পর্ক নাই। মুসলিম সন্তানরা এটা পালন করতে পারেনা। হারাম উৎসব মুসলমানদের উপর চাপালে সরকারকে মূল্য দিতে হবে। এ উৎসব বর্জন না করলে ঈমান থাকবে না মুসলমানিত্ব থাকবে না। জাহান্নাম অবধারিত।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ