পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : চিকিৎসকসহ বিভিন্ন পেশাজীবীরা ঠিকমত কর দেয় কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কর প্রদানকারীরা যেন স্বেচ্ছায় কর দেয় সে উদ্যোগ নিচ্ছে এনবিআর। ভয়-ভীতি কাটাতে করবান্ধব পরিবেশ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে এনবিআর।
দেশের সবক্ষেত্রে একটি রাজস্ববান্ধব সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করতে চায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তারই ধারাবাহিকতায় নববর্ষে বকেয়া রাজস্ব আদায়ে ‘হালখাতা’ আয়োজন করেছে। বৃহস্পতিবার চৈত্র সংক্রান্তির দিনে বাংলাদেশের রাজস্ব ব্যবস্থাপনার ইতিহাসে ‘বকেয়া কর আদায় নয়, পরিশোধ’ স্লোগানে প্রথমবারের মতো সারাদেশে রাজস্ব হালখাতা আয়োজন করা হয়েছে।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় এলটিইউর সম্মেলন কক্ষে ‘রাজস্ব হালখাতা’ বিষয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। স্বাস্থ্য ও পরিকল্পনা কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে এলটিইউর কর কমিশনার মো. আলমগীর হোসেন সভাপতিত্ব করেন।
হালখাতায় সরেজমিনে দেখা গেছে, ঢাকার কর অঞ্চলের কার্যালয়গুলোতে উৎসবমুখর পরিবেশে এই আয়োজন চলছে। এতে করদাতাদের বকেয়া রাজস্ব পরিশোধ ও করসেবা নিতে ভিড় করতে দেখা গেছে। সকাল ৯টা থেকে ‘ওপেন হাউজ ডে’ পরিবেশে ঢাকার কর অঞ্চলগুলোর পাশাপাশি সারাদেশের কর, ভ্যাট ও কাস্টমস অফিসে ‘রাজস্ব হালখাতা’ শুরু হয়েছে।
জাহিদ মালেক বলেন, হালখাতার মাধ্যমে নববর্ষ পালনের যাত্রা শুরু হয়েছিল। এখন সেই উৎসব পরিবেশ ফিরে এসেছে। চলতি বাজেটের আকার বাস্তবায়নে এ ধরনের উদ্যোগ কাজে দিবে। তিনি আরও বলেন, ব্যবসায়ীসসহ কর প্রদানকারীরা উন্নয়নের কারিগর। সেই কারিগররা যেন স্বাচ্ছন্দে কর দিতে পারে সেটা নিশ্চত করতে হবে। এনবিআর সে দিকেই এগুচ্ছে।
তিনি বলেন, অনেক চিকিৎসক অনেক বেশি টাকা আয় করে সে অনুযায়ী আয়কর দেয় না। এমন অনেক চিকিৎসক রয়েছে যারা দৈনিক ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করেন। বিষয়টি এনবিআরকে খতিয়ে দেখতে হবে। দেশে ৬ হাজার হাসপাতাল ও ক্লিনিক থেকেও আয়কর আদায় করা যেতে পারে বলে মনে উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে আব্দুল মাতলুব আহমাদ বলেন, এখন থেকে এনবিআরকে আর ভয় পেতে হবে না। ভ্যাট অনলাইন, ট্যাক্স অনলাইন, রাজস্ব হালখাতা- এসবের মাধ্যমে এনবিআর ক্রমশ ব্যবসায়ীদের কাছে এগুচ্ছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা বেশি হালখাতা করে। তারা বেশি রাজস্ব দেয়। এনবিআর তাদের প্রতি বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়েছে। সফল এ রাজস্ব হালখাতার মাধ্যমে ব্যবসায়ী ও করদাতাদের মধ্যে আরও বেশি বিশ্বাস স্থাপিত হবে। তিনি বলেন, কর ফাঁকির দিন শেষ। এখন ব্যবসায়ী ও এনবিআর কর্মকর্তারা অনেক বেশি স্বচ্ছ। বিগত দিনের কথা ভুলে গিয়ে সুন্দর দিনের আশা করতে হবে। বাংলাদেশ গড়বে ব্যবসায়ীরা।
১ কোটি ৬৭ লাখ টাকা বকেয়া রাজস্ব দিতে এসে মেটলাইফ অ্যালিকোর প্রতিনিধি রওশন হোসেন জানান, উৎসবমুখর পরিবেশে প্রথমবারের মতো বকেয়া কর দিতে পেরে আমরা অত্যন্ত খুশি। এনবিআরের এমন আয়োজন আমাদের মুগ্ধ করেছে। এর মাধ্যমে ভবিষ্যতে সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।