Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পৌর এলাকার ব্যস্ত সড়কে বাস ট্রাকের পার্কিংয়ে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট

| প্রকাশের সময় : ১৪ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

আমিনুল হক, মীরসরাই (চট্টগ্রাম) থেকে : ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বারইয়ারহাট পৌর এলাকার ব্যস্ততম সড়কের উপর পণ্যবাহী ট্রাকগুলো দাঁড় করিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেউ কেউ দিনভর পার্কিং করে রাখে। আবার কোনো কোনো বাস-ট্রাক দিনের পর দিন দাঁড়িয়ে থাকায় একদিকে মহাসড়কে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। বৃদ্ধি পাচ্ছে দুর্ঘটনা প্রবণতা। অপরদিকে পৌর এলাকায় যথার্থ ট্রাফিক ব্যবস্থা না থাকায় নিয়মনীতিহীনতা বৃদ্ধি পেয়ে ব্যাহত হচ্ছে পৌর সৌন্দর্য ও শৃঙ্খলা। আবার এখনো ময়লা-আবর্জনার পরিকল্পিত ব্যবস্থাপনা না থাকায় সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বারইয়ারহাট পৌরবাসীকে। বিষয়টি প্রতিকারে কোনো উদ্যোগ নেই পৌর কর্তৃপক্ষের। ফলে পৌরএলাকার বিভিন্ন রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে চরম দুর্ভোগ যেন নিত্যসঙ্গী হয়ে গেছে পৌরবাসীর। বারইয়ারহাট পৌরসভার ব্যস্ততম শান্তিরহাট সড়ক, কাঁচা বাজার গলি, রেলগেইট, ওয়াপদা রোড, ট্রাফিক মোড় এলাকা বিভিন্ন সময় পণ্যবাহী ট্রাক ও পিকআপ ভ্যান রাস্তার উপর দাঁড় করিয়ে রাস্তা সংলগ্ন ব্যবসায়ীদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গম, চাল, কাঁচামাল, রড, সিমেন্ট, অ্যাঙ্গেলসহ বিভিন্ন প্রকার পণ্য লোড-আনলোড করা হচ্ছে। এতে রাস্তার বেশিরভাগ অংশ বড় বড় ট্রাকের দখলে চলে যাওয়ায় রাস্তাগুলোতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। আবার মহাসড়কের পাশে হোটেলগুলোর সামনের নির্ধারিত পার্কিংস্থল ছাড়া ও ট্রাক-বাসগুলো নিজেদের ইচ্ছে মতো এবড়ো-খেবড়ো করে গাড়ি পার্কিং করে রাখে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। টার্মিনাল থাকা সত্তে¡ও ফেনী-বারইয়ারহাট রুটের আনন্দ সুপার ও চট্টগ্রামের চয়েস বাসগুলো মহাসড়কের উপরেই পার্কিং করায় মহাসড়কের দ্রæতগামী বাসগুলোসহ সকল যানবাহনকে বারইয়ারহাট এলাকা অতিক্রম করতে হয় দুর্ঘটনা প্রবণতা নিয়ে। এদিকে আবার শহর থেকে বিতাড়িত ব্যাটারি চালিত রিকশাগুলো বেড়েছে বারইয়ারহাট পৌরএলাকায়। মহাসড়কের পাশেই রয়েছে অর্ধশতাধিক নসিমনের পার্কিংস্থল। মহাসড়কের সাইড পার্কিংয়ের পুরো লেনজুড়ে শান্তিরহাট রোডের মুখেই নসিমন পার্কিংয়ের জন্য সাধারণ যাতায়াতকারী পথচারী ও অন্যান্য যানবাহন পড়ছে নিয়মিত যানজটের কবলে। আবার বারইয়ারহাট পৌরসভায় নাগরিক দাবির প্রেক্ষিতেই স্থাপন করা হয়েছে ফুট ওভারব্রিজ। কিন্তু এই ব্রিজ দিয়ে না উঠে প্রতিনিয়ত মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে ট্রাফিক মোড়-এর সড়কের ফাঁকা স্থান দিয়েই। পুরাতন সড়কের রেলগেইট, ট্রাফিক মোড় ও চৌরাস্তার মুখে বার বার ট্রাফিক ব্যবস্থা জোরদারের গণদাবির পর ও নামেমাত্র দু’একজন ট্রাফিক কখনো কখনো দেখা গেলেও কখনো কখনো দিব্যি ট্রাফিকদের সামনেই মহাসড়ক দখল করে ঠাঁই মাঝখানে দাঁড়িয়ে স্থানীয় চয়েস ও আনন্দ সুপার যাত্রী ডাকাডাকির কাজ সারে অন্তত বাস পুরনো অবধি। আর এতে আধাঘণ্টা লাগলেও ট্রাফিক সদস্যগণ রহস্যজনকভাবে নীরবই থাকেন। বারইয়ারহাট পৌরনাগরিক রফিকুল ইসলাম জানান বডবডি, ব্যাটারি রিকশা, পিকআপ, সিএনজি হগলের দাপট বারইয়াহাটে যেভাবে বাড়ছে তাতে দিন দিন ঝুঁকিপূর্ণ পৌরএলাকায় রূপ নিচ্ছে বারইয়ারহাট। তবে এই বিষয়ে পৌর মেয়র নিজাম উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই পৌরসভাকে আমি একটি তলাবিহীন ঋণগ্রস্ত পৌরসভা হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছি। আসা করছি খুব দেরি নেই সকল সমস্যা লাঘব করে একটি সুন্দর আদর্শ পৌরসভা হবে এটি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ