Inqilab Logo

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

মাদক সেবনের টাকা না দেওয়ায় গৃহবধূকে কুপিয়ে জখম

| প্রকাশের সময় : ১৪ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে মাদক সেবনের জন্য টাকা না দেওয়ায় দেওয়ায় পাষÐ স্বামী ফরিদা আক্তার (২৫) নামে এক গৃহবধূকে কুপিয়ে জখম করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বুধবার রাতে উপজেলার দাউদপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গৃহবধূ ফরিদা আক্তার উপজেলার মুশুরি এলাকার নেকবর আলীর মেয়ে। ফরিদা আক্তার জানান, ৮ বছর আগে উপজেলার দাউদপুর এলাকার মৃত আরমান আলীর ছেলে জলিল মিয়ার সঙ্গে ফরিদা আক্তারের ইসলামী শরিআহ মোতাবেক বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে নোহা (৬) নামে একটি মেয়ে সন্তানের জন্ম হয়। বিয়ের পর থেকেই জলিল মিয়া মাদক সেবনে জড়িয়ে পড়ে। মাদক সেবন করতে নিষেধ করলে জলিল মিয়া গৃহবধূ ফরিদা আক্তারের উপর নির্যাতন চালাতো। বুধবার রাতে জলিল মিয়া তার স্ত্রী ফরিদা আক্তারের কাছে মাদক সেবনের জন্য টাকা চায়। ফরিদা আক্তার মাদক সেবনে জন্য কোন টাকা দিতে পারবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়। এতে ক্ষিপ্ত জলিল মিয়া তার স্ত্রী ফরিদা আক্তারকে বেলচা ও রড দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। ফরিদা আক্তারের ডাক-চিৎকারে ভাই গোলাপ মিয়া বাঁচাতে এগিয়ে আসলে জলিল মিয়া তাকেও কুপিয়ে জখম করেন। তাদের ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে জলিল মিয়া পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে গুরুতর আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ওসি ইসমাইল হোসেন জানান, এ ধরনের একটি অভিেেযাগ পেয়েছি। তদন্ত মোতাবেক অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডাকাত সন্দেহে আটক ৯
রূপগঞ্জে ডাকাত সন্দেহে স্থানীয়দের সহযোগীতায় নয় জনকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় দুটি চাপাতিসহ ডাকাতি করার সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর রাতে উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের হোড়গাঁও এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। আটকরা হলেন, উপজেলার গোলাকান্দাইল এলাকার জমির আলীর ছেলে মনু, সিরাজুল সিকদারের ছেলে পারভেজ সিকদার, আয়নাল সিকদারের ছেলে জনি সিকদার, মজিবুর সিকদারের ছেলে অনিক সিকদার, ছালামের ছেলে সোহেল রানা, কামাল হোসেনের ছেলে সাব্বির হোসেন, আবু শাহিদের ছেলে আজিজুল হাকিম, খলিলুর রহমানের ছেলে সেলিম মিয়া, বড়ালু এলাকার ছলিম উদ্দিনের ছেলে ফারুক ওরফে কিলার ফারুক। ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ও ইন্সপেক্টর শহিদুল হক জানান, ভোরে একদল ডাকাত হোড়গাঁও এলাকায় প্রবেশ করেছে বলে এলাকাবাসী চিৎকার শুরু করে। এসময় স্থানীয়দের সহযোগিতায় ওই নয় জনকে ডাকাত সন্দেহে আটক করা হয়। এসময় দুটি চাপাতিসহ ডাকাতি করার সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়। ডাকাতদের ধাওয়া করে ধরতে গিয়ে তিনি নিজেও আহত হন। পরে স্থানীয় আল-রাফি হাসপাতালে শহিদুল হককে ভর্তি করা হয়। আটককৃতদের নারায়ণগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ