Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পাহাড়ের বুকে জীর্ণ ঘরে শিক্ষার আলো

| প্রকাশের সময় : ১৪ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

আসলাম পারভেজ, হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) থেকে : হাটহাজারী উপজেলা সদরের পৌর এলাকার নির্বন পাহাড়ের উপরে দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যেমে আলো ছড়াচ্ছে কোমলমতি গরিব শিশুদের, মান সম্মত এই আরবি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম রাখা হয় সন্দিপ পাড়া মাদ্রাসা উমরবিন হাক্তাপ ও হেফজ খানা। এই মাদ্রাসাটি ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। দ্বীর্ঘ এক বছর ধরে এই মাদ্রাসাটি জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে এরপরও থেমে নেই মাদ্রাসার দ্বীনি শিক্ষা পাহাড়ি পরিবেশের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়। ভোর সকালে পাখির চেঁচাচেচির শব্দ আর ভোরের সৌরভ বসাতেই শুরু হয় এলাকার গরিব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের আরবি শিক্ষা ও হেফজখানার পাঠদান। এই মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের সর্ব প্রথমে কোরআন তেলাওয়াতে শব্দটা এতোটাই মুগ্ধকর এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশদিয়ে গেলেই শিশুদের কোকিল কণ্ঠে আরবি পড়া সত্যিই মানুষের মনকে আকৃষ্ট করে তোলে। বর্তমান যুগের দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই মাদ্রাসাটি গোটা অঞ্চলকে দ্বীনি শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে। হাটহাজারী উপজেলার পৌর এলাকার পশ্চিমে পাহাড়ের ছড়াই ১০ গন্ডা জায়গার উপর প্রতিষ্ঠিত মাত্র ৬০ জন ছাত্রছাত্রী নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়। উমর বিন হাক্তাপ মাদ্রাসা ও হেফজখানাটি আজিজুল হক সেলিম মাদ্রাসা পরিচালনার জন্য ৮ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করে প্রতিষ্ঠিত করেন। তবে তিনি আর্থিক সমস্যার কারণে মাদ্রাসা ভালো করে নির্মাণ করতে পারছে না। দীর্ঘ এক বছর পূর্বে মাদ্রাসাটি কুটি আর টিন এর বেড়া দিয়ে নির্মাণ করলেও বর্তমানে বেড়াগুলো ঝরে পড়ছে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বসার মাদুর ও পাঠের জন্য ভালো কোনো ব্যবস্থা নেই। শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ ঘর থেকে বস্তা এনে বিছানা করে শীতের মধ্যে কোরআন শিক্ষা নিচ্ছে। কনকনে শীতের মধ্যে মাদ্রাসাটির ভালো বেড়া না থাকায় শিক্ষার্থীরা দারুণ কষ্ট পাচ্ছে। পাহাড়ের মোহনায় ছোট একটি হেফজখানা ও মাদ্রাসাটিতে আরো বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার ইচ্ছা থাকলেও কিন্তু মাদ্রাসার পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘর বা বসার সুযোগ না থাকার কারণে ছাত্র ভর্তি করতে পারছে না। তাই এলাকার বিত্তবানরা যদি এগিয়ে এসে হেফজখানার প্রতি সাহায্যের হাত বাড়াই তাহলে পাহাড়ি এলাকায় ও তার আশপাশের গোটা এলাকায় কোরআনের আলো ছড়াতে সুযোগ হবে বলে মনে করেন। উক্ত মাদ্রাসার পরিচালক ও এলাকাবাসী হাফেজ একেএম নাহিম জানান, সরকার বা বিত্তশালীরা যদি সাহায্য করে তাহলে এই দুর্গম পাহাড়ে দ্বীনি শিক্ষায় আলোকিত হতে পারবে গরিব ও অসহায় শিশুরা।



 

Show all comments
  • Rubi Rahman ১৪ এপ্রিল, ২০১৭, ১১:০৪ এএম says : 1
    Ya Allah help them
    Total Reply(0) Reply
  • এস, আনোয়ার ১৫ এপ্রিল, ২০১৭, ৯:৩০ এএম says : 0
    বিশেষ করে আমাদের দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের দ্বীনি প্রতিষ্ঠান গুলোর যাত্রা এভাবেই শুরু হয়। নিকটস্থ সাধারন বাসিন্দাদের সাহায্য, মাসিক চাঁদা ও দানের উপরই এরা নির্ভরশীল থাকে। সরকারী বা অন্য কোন সংস্থার কাছ থেকে বড়সড় কোন রকম অনুদান এরা খুব একটা পায় না। তবু আল্লাহর তায়ালার অনুগ্রহ নিয়ে এরা মানুষের চরিত্র সংশোধনের ব্রত নিয়ে এগিয়ে চলে এবং কামিয়াবও হয়। এখানে অযাচিতভাবে একটি কথা বলতে হচ্ছে। মাদ্রসার নামকরণটা কি আদতে এরকম নাকি সংবাদ লেখকের ত্রুটির কারনে হয়েছে জানি না। যদি নামকরনটি এরকম হয়ে থাকে তবে নিঃসন্দেহে এখানে ভুল আছে। সঠিক নামটি হবে - "সন্দ্বীপ পাড়া মাদ্রাসা উমর বিন খাত্তাব ও হেফজখানা"। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি একটু খতিয়ে দেখার জন্য অনুরোধ থাকলো।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ