Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তুরস্কে গণভোট নিয়ে উত্তপ্ত হচ্ছে রাজনীতির মাঠ

| প্রকাশের সময় : ১৩ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : তুরস্কে উন্নয়নের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রেসিডেন্ট এরদোগানের ক্ষমতা বাড়াতে সংবিধান সংশোধন বিষয়ে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে ১৬ এপ্রিল। বিভিন্ন দেশে থাকা প্রায় ৩০ লাখ প্রবাসি তুর্কিও ভোট দেবেন গণভোটে। এক সপ্তাহ বাকী থাকতেই গত রোববার জার্মানিতে ভোট দেন তুর্কিরা। খবরে বলা হয়, তুরস্কে সংবিধান সংশোধনের গণভোট নিয়ে তৈরি হয়েছে বিভাজন। একদিকে সরকার পক্ষ বলছে, জোট সরকারের অস্থিতিশীলতা এড়িয়ে তুরস্কের উন্নয়নে এরদোগানকে শক্তিশালী করতে সংবিধানের সংশোধন জরুরী। আর বিরোধীরা বলছে, উন্নয়নের ধুয়া তুলে মূলত ক্ষমতা কুক্ষিগত করার পাঁয়তারা করছে এরদোগান সরকার।
অন্যদিকে গণভোটে ব্যাপক জনগণের সমর্থন পেতে প্রচার চালাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট এরদোগান। ইস্তাম্বুলে লাখো জনতার সমাবেশেও জয়ের লক্ষ্যে তিনি ভোট চেয়েছেন। এরদোগান এসময় বলেন, এই গণভোট দরকারি এই জন্য, যাতে করে মাত্র ১৫ শতাংশ ভোট পেয়ে কেউ তুরস্কের রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসতে না পারে। আমার শাসনামলে বিনিয়োগ বেড়েছে, আট লেনের ইয়াভুজ সুলতান সেলিম সেতু তৈরি করেছি, যা তুরস্কের উন্নয়নের প্রকাশ। এটি ধরে রাখতে সংবিধানের সংশোধন দরকার।
এরদোগানের ক্ষমতা বাড়ানোর এই গণভোট ঘিরে বিভাজন ছড়িয়েছে, তুরস্কে। বিরোধী এইচিডিপির নেতাকর্মীদের দাবি, এর মাধ্যমে ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চাইছেন প্রেসিডেন্ট। এইচডিপি সমর্থক এমরাহ পোলাত বলেন, অদেখা কোন ক্ষমতা আর উন্নয়নের দিবাস্বপ্নের লোভ দেখাচ্ছে এরদোগানের সরকার। তারা গণভোটের বিপক্ষে প্রচারণা চালাতে দিচ্ছে না। এটা এক ধরণের চাপ। গণভোটে না-ভোট দেয়ার জন্য এটাই সবচেয়ে বড় কারণ হতে পারে বলে তারা অভিযোগ করেন। ২০০৩ সাল থেকেই তুরস্কের রাষ্ট্রক্ষমতায় রয়েছে এরদোগানের নেতৃত্বধীন দল একে পার্টি। আর ২০১৪ সালে প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হন তিনি। ওয়েবসাইট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ