রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
জয়পুরহাট জেলা সংবাদদাতা : জয়পুরহাট সরকারি কলেজের ক্রীড়া তহবিল, নবীনবরণ, বর্ষবরণ ও নানা ধরনের সাংস্কৃতিক কর্মকাÐ না করে তহবিল তছরুপ, পরীক্ষার ফরম পূরণে অতিরিক্ত ফি আদায়সহ বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও আত্মসাতের অভিযোগ এনে জয়পুরহাট সরকারি কলেজের অধ্যক্ষের অপসারণ দাবি করে মানববন্ধন করেছে কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। অপরদিকে অধ্যক্ষের দাবি ছাত্রলীগ নেতাদের চাঁদা না দেয়ায় অছাত্র ও বহিরাগতদের নিয়ে তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন। গতকাল বুধবার দুপুরে শহরের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে প্রধান সড়কে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন করে। মনববন্ধন চলাকালে শিক্ষার্থীরা বলেন, কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোফাখখারুল ইসলাম এই কলেজে সীমাহীন অনিয়ম ও দুর্নীতি করছে। আর এর প্রতিবাদ করতে গেলে বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হয় ছাত্র-ছাত্রীদের এমনকি সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা পর্যন্ত করেছেন এই অধ্যক্ষ। অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দ্রæত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানানো হয় ওই মানববন্ধন থেকে। অন্যথায় আরো কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা। এ ব্যাপারে কলেজের অধ্যক্ষ মোফাখখারুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। গত সোমবার ছাত্রলীগধারী বহিরাগত শাকিল, ছাব্বির, কলেজে নববর্ষ পালন উপলক্ষে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। আমি তা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে নিয়ম অনুযায়ী কমিটি করে ছাত্র-শিক্ষক নিয়েই বর্ষ পালনের পরামর্শ দেই। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে বলে এই কলেজ ছাত্রলীগ যেভাবে চালাবে সেভাবেই চলবে। এর বাইরে কেউ গেলে তাদের থাকতে দেয়া হবে না। এ অবস্থায় কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করেন এবং আমাকে লাঞ্ছিত করার জন্য চেয়ার ছুড়ে মারেন। আমি বাধ্য হয়ে থানায় এজাহার দায়ের করি। জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক রেজা ও সভাপতি রাজার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, এই কলেজটা প্রিন্সিপালই ছাত্র-ছাত্রীদের জিম্মি করে রেখেছে। তিনি বিভিন্ন সময়ে নামে বে- নামে ও বিভিন্ন খাতে টাকা আদায় করেন। এছাড়াও ভর্তিতে ও ফরম পূরণে অতিরিক্ত টাকা আদায়সহ খেলাধুলা ও অন্যান্য কোনো কর্মসূচি কোনো দিন পালন হয় না। আমরা এগুলোর প্রতিবাদ করেছি এবং সব কর্মসূচি পালনের দাবি করেছি। এ কারণে প্রিন্সিপাল আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ এনেছেন। কলেজ ছাত্রলীগ নেতা শাকিল ও ছাব্বির বলেন, আমরা কোনো বহিরাগত নই, আমরা এবং যারা মানববন্ধন করেছে তারা সবাই ওই কলেজের ছাত্র। অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় প্রিন্সিপাল স্যার এসব অবান্তর কথা বলছেন। এদিকে শিক্ষক লাঞ্ছনার প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার কলেজে শিক্ষকরা মাবনবন্ধন কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।