Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাউফলে শিশুদের দিয়ে জাটকা বিক্রি

| প্রকাশের সময় : ১২ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম


বাউফল (পটুয়াখালী) উপজেলা সংবাদদাতা : ন্যান স্যার এক্কেবারে বড় ইলিশের স্বাদ, তবে সাইজে ছোট দামও একটু কম, খাইতে এক্কেবারে খারাপ না, ভালোই লাগবে, বাজারে বড় ইলিশের আকাল, এইটাই ন্যান, এভাবেই ডেকে ডেকে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার মাছ বাজারগুলোয় প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে জাটকা। বৈশাখকে সামনে রেখে অনেকটা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে মাছ বিক্রেতারা। আর আইনি ঝক্কি-ঝামেলা এড়াতেই শিশুদের দিয়ে জাটকা বিক্রি করাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। অভিযোগ উঠেছে, উপজেলায় মাছের সবচেয়ে বড় বাজার কালাইয়ায় অলি নামের এক মাছ ব্যবসায়ী তিনি ফ্রিজে জাটকা মাছ সংরক্ষণ করে শিশুদের দিয়ে বিক্রি করান। জানা গেছে, মার্চ ও এপ্রিল এই দুই মাস ইলিশের বাচ্চাদের নির্বিগ্নে বেড়ে ওঠার জন্য উপক‚লীয় বাউফলের তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদীর চর ভেদুরিয়া থেকে চররুস্তুম প্রায় ১শ’ কিলোমিটার পর্যন্ত নদীতে ৮ ইঞ্চির নিচে ইলিশ মাছ শিকার, ক্রয়, বিক্রয় ও পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে কিছু অসাধু জেলেরা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে অবাধে শিকার করছে জাটকা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার সব বড় জাটকা লেনদেন হয় কালাইয়া ইউনিয়নের শৌলা তারপুল, ধুলিয়া লঞ্চঘাট ও বগা লঞ্চঘাট এলাকায়। সেখানে এক ধরনের সিন্ডিকেট তৈরি করে এ জাটকা বিক্রি করা হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক জেলে জানান, মহাজনের দাদনের চাপে জাটকা শিকার করতে বাধ্য হই আমরা। সরকার প্রকৃত গরিব জেলে বাছাই করে যদি কম সুদে ঋণ দেয় তাহলে জাটকা শিকার কিছুটা হলেও কমবে। বাউফল উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. জসীমউদ্দিন বলেন, নিয়মিত অভিযান চলছে। তবে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী প্রশাসনের নজর এড়িয়ে জাটকা বিক্রি করে থাকতে পারে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ