Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চাঁদপুরে ৩৭ হাজার ৭শ’ মে. টন শাক সবজি উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ

প্রকাশের সময় : ১২ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম | আপডেট : ৯:৪১ পিএম, ১১ এপ্রিল, ২০১৭

চাঁদপুর জেলা সংবাদদাতা : পদ্মা, মেঘনা, ধনাগোদা ও ডাকাতিয়া বিধৌত চাঁদপুর দেশের অন্যতম কৃষি প্রধান অঞ্চল। ৪টি নদীর নদী অববাহিকায় চাঁদপুর জেলা কৃষি উৎপাদনে তথা ব্যাপক শাক-সবজি উৎপাদনে ভূমিকা রেখে চলছে। বিশেষ করে চাঁদপুরের ১১টি চরাঞ্চলে গ্রীষ্মকালীন শাক-সবজি ব্যাপকভাবে চরবাসী চাষাবাদ করে থাকেন। চরাঞ্চলে ও স্থানীয়ভাবে নারীরাই এসব শাক-সবজি উৎপাদনে প্রধান ভ‚মিকা পালন করে। দিন-রাত পরিশ্রম করেই তারা এ শাক-সবজি উৎপাদনে ব্যস্ত থাকেন। কোনো কোনো এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে শাক-সবজির চাষাবাদ করে। চাঁদপুরে ধান, পাট, আলু, সয়াবিন, পেঁয়াজ, রসুন, সরিষা, মরিচের পরেই শাক-সবজির স্থান। এটি এখন বেশ লাভজনক। এ বছর চাঁদপুরে ৩৭ হাজার ৭২৫ মে. টন শাক-সবজির উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ২ হাজার ৫১৫ হেক্টর। আবহাওয়ার অনুক‚ল পরিবেশ, পরিবহনে সুবিধা, কৃষকদের শাক-সবজি চাষে আগ্রহ, কৃষি বিভাগের উৎপাদনের প্রযুক্তির ব্যবহার, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, কৃষি উপকরণ পেতে সহজলভ্যতা, বীজ, সার ও কীটনাশক ব্যবহারে কৃষিবিদদের পরামর্শ, ব্যাংক থেকে কৃষিঋণ প্রদান ইত্যাদি কারণে চাঁদপুরের চাষিরা ব্যাপক হারে শাক-সবজির চাষ করছেন। বিশেষ করে চাঁদপুরের চরাঞ্চলগুলোতে ব্যাপক শাক-সবজির উৎপাদন করে থাকেন চাষিরা। কিন্তু নদী তীরবর্তী হওয়ায় চরাঞ্চলের চাষিদের কৃষিঋণ দিচ্ছে না ব্যাংকগুলো। চাষিরা ঋণ সহায়তা পেলে শাক-সবজি চাষাবাদে আরো উৎসাহী হতো। চরাঞ্চলগুলোর মধ্যে উল্লখযোগ্য হচ্ছেÑ মতলবের চরইলিয়ট, চর কাসিম, ষষ্ঠখÐ বোরোচর, চাঁদপুর সদরের রাজরাজেশ্বর, জাহাজমারা, লগ্নিমারা, বাঁশগাড়ি, চিড়ারচর, ফতেজংগপুর, হাইমচরের ঈশানবালা, চরগাজীপুর, মনিপুর, মধ্যচর, মাঝিরবাজার, সাহেব বাজার ও বাবুরচর ইত্যাদি। কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতর খামার বাড়ি চাঁদপুরের সূত্র মতে, চাঁদপুর সদরে চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ৭৫০ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ হাজার ২৫০ মে.টন। মতলব উত্তরে চাষাবাদ ৪১০ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ হাজার ১৫০ মে. টন। মতলব দক্ষিণে চাষাবাদ ১৭৫ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ৬২৫ মে.টন। হাজীগঞ্জে চাষাবাদ ২৪৫ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ৬শ’ ৭৫ মে.টন। শাহরাস্তিতে চাষাবাদ ৫শ’ ৬০ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ হাজার ৩শ’ ৮৫ মে.টন। কচুয়ায় চাষাবাদ ২শ’ ৪০ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ৬শ’ মে.টন। ফরিদগঞ্জে চাষাবাদ ৮শ’ ৭০ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৮ শ’ ৭৫ মে.টন। হাইমচরে চাষাবাদ ১শ’ ৯০ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ৮শ’ ৫০ মে.টন। শাক-সবজির মধ্যে রয়েছে – বেগুন, লাউ, কুমড়া, গাঁজর, খিরা, করলা, পালং শাক, চিচিঙ্গা ও বরবটি প্রভৃতি। চাঁদপুরের কুমারডুগি, মহামায়া, দেবপুর, মাস্টার বাজার, ছোট সুন্দর এলাকায় ব্যাপক হারে বাণিজ্যিকভাবে চাষিরা এসব শাক-সবজির চাষাবাদ করে থাকেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ