পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ : উচ্চ শুল্কায়নে ভারত থেকে চাল আমদানি বন্ধ : আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারের ফন্দি -খাদ্যমন্ত্রী
হাসান সোহেল : চালের পর্যাপ্ত মজুত ও সরবরাহ ভালো হওয়ার পরও হঠাৎ করে লাগামহীন হয়ে পড়েছে চালের বাজার। যেন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে চালের দাম। মৌসুমের মার্চ-এপ্রিলে মোটা চালের দর এলাকাভেদে প্রতি কেজি ২৬ থেকে ৩৩ টাকার মধ্যেই ওঠানামা করে। অথচ চলতি বছরে এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে রাজধানীর বিভিন্ন পাইকারি বাজারে গড়ে ৩৮ থেকে ৩৯ এবং খুচরা বাজারে ৪০ থেকে ৪১ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সরকারের কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের গত ৯ এপ্রিলের বাজার দরে চালের এ চিত্র উঠে এসেছে। যদিও বাস্তবে এ দাম আরো বাড়তি। একই অবস্থা মাঝারি চালের ক্ষেত্রেও। প্রতি কেজি মাঝারি চালের দাম এই সময়ে ৩১ থেকে ৩৭ টাকার মধ্যেই ওঠানামা করত। সেখানে চলতি এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে ৪৫ থেকে ৪৭ টাকায় এই চাল বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা এ নিয়ে পুরনো রেকর্ড বাজাচ্ছেন। তাদের বক্তব্য, মোকামে দাম বেশি তাই পাইকারি এবং খুচরা বাজারে সে প্রভাব পড়বেই। আবার অনেকের মতে, এ বছর বোরো মৌসুমে ধানের আবাদ কম হয়েছে। এ হিসাব বড় বড় মিল মালিকদের কাছে চলে আসায় তারা আগে থেকেই দাম বাড়িয়ে রাখার চেষ্টা করছেন। এ ছাড়া চাল আমদানিতে উচ্চ শুল্ক আরোপ করায় তা কমাতেও একটি চক্র এ কাজ করছে।
রাজধানীর পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত এক থেকে দেড় সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে মোটা চালের দাম কেজিপ্রতি দুই থেকে তিন টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এ বছর বোরো মৌসুমে মোটা ও মাঝারি মোটা ধানের আবাদ কম হওয়ায় মিল মালিকরা আগেই দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। খুচরা ও পাইকারি বাজারে চালের দাম বাড়ায় এখন হাঁসফাঁস অবস্থা নিম্ন ও নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণির স্বল্প আয়ের ভোক্তাদের। বিশেষ করে গত কয়েক মাসে অন্য চালের তুলনায় মোটা চালের দাম আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় অসুবিধায় পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষজন।
ডিএএমের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, গত চার মাস ধরেও ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে চালের দাম। গত বছরের ২৯ ডিসেম্বরে মোটা চালের কেজি ৩৪-৩৭ টাকায়, চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি ৩৬-৩৮ টাকায়, ২৮ ফেব্রুয়ারি ৩৭-৩৮ এবং ২৮ মার্চ ৩৭-৩৯ টাকায় বিক্রি হয়েছে। মাঝারি মানের চালের ক্ষেত্রেও দাম বাড়তে দেখা যাচ্ছে। গত বছরে ২৯ ডিসেম্বর ৩৮ থেকে ৪২ টাকায় প্রতি কেজি চাল বিক্রি হলেও ২৯ জানুয়ারি তা ৩৮ থেকে ৪৩ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ২৮ ফেব্রুয়ারি ৩৯ থেকে ৪৩ টাকা এবং ২৮ মার্চ ৪০ থেকে ৪৪ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে সরকারি এ হিসাবের বাইরে চালের দাম আরো বেশি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রাজধানীর বিভিন্ন বাজারের ব্যবসায়ীরা।
রাজধানীর পুরান ঢাকার বাবুবাজার এলাকার মেসার্স তাসলিমা রাইস এজেন্সির স্বত্বাধিকারী অবদুর রহিম জানান, সরকারি হিসাবের সঙ্গে চালের বাজারের দামের পার্থক্য পাঁচ থেকে আট টাকা। কেন না, আট মাস আগে এ বাজারে প্রতি কেজি মিনিকেট চাল ৪০-৪১ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে তা ৫০-৫৫ টাকায়। আর মোটা চালের দাম ছিল ২৩-২৫ টাকা। যা বর্তমানে ৪০-৪১ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ওই এলাকার মেসার্স ফরিদ রাইস এজেন্সির ব্যবস্থাপক আবদুর রহিম জানান, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজি প্রতি সব ধরনের চালের দাম দুই থেকে তিন টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
নওগাঁ ধান-চাল আড়তদার সমিতির সভাপতি নিরোধ চন্দ্র সাহা বলেন, এই সময়ে চালের দাম কিছুটা বৃদ্ধি পায়। তবে বোরো মৌসুমের শুরুতে তা আবার কমতে শুরু করে। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তবে এ বছর মোটা ও মাঝারি ধানের উৎপাদন কিছুটা কম হওয়ার কারণে কৃষকদের নিকট থেকে বেশি দামে ধান কিনতে হয়েছে। ফলে চালের দাম কিছুটা বাড়াতে বাধ্য হয়েছেন মিলাররা।
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক কে এ এস মুরশিদ বলেছেন, এখন মূল্যবৃদ্ধি মৌসুমি ওঠানামা। তবে এবার কিছুটা বেশি বেড়েছে। এর সহজ ব্যাখ্যা- এবার চাল আমদানি হচ্ছে না। তিনি বলেন, আমার মনে হয় চালের দাম কিছুটা বাড়তে দেয়া উচিত। এতে কৃষক উৎসাহ পাবে। তবে ধান ওঠার পরে যাতে তারা ভালো দাম পায়, সে ব্যবস্থা করতে হবে। কে এ এস মুরশিদ আরো বলেন, বাংলাদেশ কৃষিতে ভর্তুকি কম দেয়। তাই এ দেশে চালের উৎপাদন খরচ একটু বেশি।
রাজধানীর বাদামতলী বাবুবাজার চাল আড়তদার সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জানান, দেশের মোকামগুলোতে চালের কোনো সঙ্কট নেই। চালের পাইকারি ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ বছর বোরো মৌসুমে মোটা ও মাঝারি মানের চালের আবাদ কম হয়েছে। এ হিসাব বড় বড় মিল মালিকদের কাছে চলে আসায় তারা আগে থেকেই দাম বাড়িয়ে রাখার চেষ্টা করছেন। তাদের মতে, ধান এখন কয়েকজন অটোমিল মালিকদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তারা এখন ইচ্ছামতো দামে চাল বাজারে ছাড়ছেন। বাজার ওঠানামা মূলত অটো মিলরারদের উপর নির্ভর করছে। কারণ উচ্চ শুল্কায়নের কারণে বর্তমানে ভারত থেকে চাল আমদানি বন্ধ রয়েছে। এ সুযোগে তারা দাম বাড়াচ্ছেন।
সেগুনবাগিচা বাজারে চাল কিনতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী মিলন খানের সাথে চালের দাম নিয়ে আলাপচারিতায় তার প্রতিটি কথায়ই ক্ষোভের আগুন ঝরছিল। বললেন- ‘আরে ভাই, আমার বেতন তো প্রতিদিন বাড়ে না। দুই দিন পরপরই দেখছি চালের দাম বাড়ছে। বাজারে চালের তো অভাব নেই। তাহলে দুইদিন পরপরই কেন দাম বাড়ছে? দাম বৃদ্ধি নিয়ে কোনো ঘোষণাও চোখে পড়ে না। আবার কোনো পণ্যের দাম একবার বাড়লে আর কমার লক্ষণ থাকে না।
চালের বাজারে অস্থিরতা চলছে এ বছরের শুরু থেকেই। দুই দফায় দাম বৃদ্ধির পর খাদ্য মন্ত্রণালয় চালকল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসে জানায়, বৈশাখে নতুন ধান আসার আগ পর্যন্ত তারা আর চালের দাম বাড়াবেন না। কিন্তু সপ্তাহ যেতে না যেতেই বিভিন্ন ধরনের চালে কেজি প্রতি এক-দুই টাকা করে বাড়িয়ে দেয়া হয়।
চালের দাম বৃদ্ধির কারণ সম্পর্কে কারওয়ান বাজারের চালের পাইকারি বিক্রেতা আব্দুল হক ইনকিলাবকে বলেন, চালের দাম এবার অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশি বেড়েছে। তবে এই বৃদ্ধিটা মিল থেকেই। মিলাররা বলছে, ধানের ঘাটতি তাই চালের দাম বাড়ছে। রাজধানীর মৌলভীবাজারের পাইকারি দোকান শিল্পী রাইস এজেন্সির কাওসার বললেন, প্রতিবছরই এই সময়ে চালের দাম বাড়ে। তবে এবার মিলাররা বলছে, ধানের ঘাটতির কারণে দাম বাড়ছে। তাদেরই বেশি দামে ধান কিনতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক লায়েক আলী বলেন, অতি মুনাফার কোনো সুযোগ নেই। একদিকে মিলারদের চালের মজুদ শেষ হয়ে যাওয়া, অন্যদিকে সরকারের চাল বিতরণমূলক কিছু কর্মসূচি বন্ধ থাকার কারণে চালের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে। বর্তমানে দেশের বেশির ভাগ মিল বন্ধ রয়েছে। যেসব মিল চালু রয়েছে শুধু তাদের মাধ্যমেই চাল বিক্রি হচ্ছে। তবে বোরো মৌসুমের চাল বাজারে আসলে দাম কমে আসবে বলে মোকাম মালিকরা জানিয়েছেন।
এদিকে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রকৃতির বৈরী আচরণে কৃষিতে চরম বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। চৈত্রে হঠাৎ ভারী বৃষ্টিপাত ও ভারতের আসাম-মেঘালয় থেকে নেমে আসা ঢলে হাওর অঞ্চলের ছয় জেলার বেশকিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্র মতে, এতে তলিয়ে গেছে সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার প্রায় দুই লাখ ৪১ হাজার হেক্টর বোরো ধানের ক্ষেত, যা মোট আবাদি জমির প্রায় ৩৮ শতাংশ। এসব জেলায় চলতি বোরো মৌসুমে ছয় লাখ ৪৫ হাজার ৬৮৯ হেক্টর জমিতে ধান আবাদ হয়েছে। প্রাকৃতিক এ বিপর্যয়ে বোরো ধানের উৎপাদন কম হলে সামনে চালের দাম খুব একটা কমবে না বলেও মনে করছেন একাধিক চাল ব্যবসায়ী।
কৃষি বিপণন অধিদফতরের (ডিএএম) হিসাবে, গত পাঁচ বছরে ফেব্রুয়ারি মাসে মোটা চালের জাতীয় গড় বাজার দর ২৬-৩৩ টাকার মধ্যেই ওঠানামা করেছে। ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ২৭ টাকা ৪১ পয়সা, ২০১৩ সালে ২৮ টাকা ৫০ পয়সা, ২০১৪ সালে ৩৩ টাকা ৬ পয়সা, ২০১৫ সালে ৩১ টাকা ৩৩ পয়সা এবং ২০১৬ সালে ২৬ টাকা ৭৭ পয়সা ছিল। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ দিনে মোটা চালের গড় দাম ছিল ৩৭ টাকা ৫০ পয়সা। এ ছাড়া মার্চে গড় দাম ছিল ৩৮ টাকা।
অন্যদিকে মাঝারি মানের চালের দামও ৩১-৩৭ টাকার মধ্যেই ওঠানামা করেছে। এর মধ্যে ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ৩১ টাকা ৯৬ পয়সা, ২০১৩ সালে ৩৪ টাকা ২৬ পয়সা, ২০১৪ সালে ৩৭ টাকা ৫৮ পয়সা, ২০১৫ সালে ৩৭ টাকা ৩ পয়সা এবং ২০১৬ সালে ৩২ টাকা ৮৬ পয়সা ছিল। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ দিনে মাঝারি চালের গড় দাম ছিল ৪১ টাকা এবং মার্চের শেষ দিনেও গড় দাম ছিল সর্বোচ্চ ৪৪ টাকা।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, বোরো ধান উৎপাদনে এক ধরনের স্থবিরতা রয়েছে। ২০১০-১১ অর্থবছরে বোরো চালের উৎপাদন এক কোটি ৮৬ লাখ টন, ২০১১-১২ অর্থবছরে এক কোটি ৮৭ লাখ টন, ২০১২-১৩ অর্থবছরে এক কোটি ৮৮ লাখ টন, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে এক কোটি ৯০ লাখ টন, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে এক কোটি ৯২ লাখ টন চাল উৎপাদন হয়েছে। অন্যদিকে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে চালের উৎপাদন কমে এক কোটি ৮৯ লাখ টনে নেমে এসেছে। চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর বোরো মৌসুমে ৪৮ লাখ হেক্টর জমিতে এক কোটি ৯০ লাখ টন চাল উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
রাষ্ট্রায়ত্ত¡ বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে মোটা চালের দাম বেড়েছে প্রায় ২০ শতাংশ। চালের দাম বৃদ্ধির নানা কারণ জানিয়েছেন আড়তদাররা। তারা বলছেন, মোকাম থেকে চাল ক্রয় করার পর পরিবহন খরচ, কুলি মজুরি, সংরক্ষণ এবং স্থানীয় পরিবন খরচের কারণে বেড়ে যাচ্ছে আরো চার-পাঁচ টাকা। কুষ্টিয়া থেকে ১৫ টনের বা ৫০ কেজি ওজনের ৩০০ বস্তা চাল ঢাকায় আনতে ট্রাক ভাড়া পড়ছে ১৫ হাজার টাকা। এতে কেজি পরিবহণ খরচ পড়ছে এক টাকা। কুলি মজুর, দোকান ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ও অন্যান্য খরচ হিসাব করে দাম নির্ধারণের সঙ্গে রাজধানীর ব্যবসায়ীদের মুনাফা যোগ করে বিক্রি করলে দাম এমনিতেই উঠে যাচ্ছে।
দেশে চালের দাম অব্যাহতভাবে বৃদ্ধির কারণ সম্পর্কে সম্প্রতি খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলছেন, কিছু ব্যবসায়ী চালের দাম বাড়িয়ে এই খাদ্যশস্যের উপর থেকে আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারের চেষ্টা করছে। কিন্তু কোনো অবস্থাতেই এই শুল্ক প্রত্যাহার করা হবে না। তিনি বলেন, এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী পাইকারি বাজারের সঙ্গে অসামঞ্জস্যভাবে চালের দাম বৃদ্ধি করেছে। তবে এতে খুব বেশি প্রতিক্রিয়া নেই। ‘এবার মোটা চালের দাম বৃদ্ধির মূল কারণটা হচ্ছে- গত বছর এই সময়ে ভারত থেকে আড়াই থেকে তিন লাখ টন চাল এসেছে বিনা শুল্কে। সরকার শুল্ক আরোপের পর এ বছর এই সময়ে ভারত থেকে চাল এসেছে ৩৭ হাজার টন।’ অসাধু ব্যবসায়ীরা ভারত থেকে ‘ফ্রি স্টাইলে’ চাল আমদানি করায় কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হতো জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ট্যাক্স আরোপের ফলে এখন কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। সূত্র মতে, চলতি অর্থবছরে চাল আমদানির উপর শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করেছে সরকার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।