Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

বিত্তবানকে ভূমিহীন সাজিয়ে খাসজমি বন্দোবস্তের অভিযোগ

| প্রকাশের সময় : ১১ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা : শতাধিক বিত্তবানকে ভূমিহীন সাজিয়ে দরিদ্র কৃষকদের দখলীয় খাসজমি বন্দোবস্তী দিয়েছেন লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফিজনুর রহমান। এসব জমি বন্দোবস্ত নেওয়ার জন্য জনপ্রতি ৭০-৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হয়েছে এবং এই টাকা ইউএনও, তহশীলদার, সার্ভেয়ার, কানুনগো সবাই ভাগ করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিত্তবানদের মধ্যে রয়েছে রাজনৈতিক নেতা, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, এমনকি চেয়ারম্যান ও মেম্বারও। লোহাগাড়ায় সাড়ে ৩ বছর মেয়াদে দায়িত্ব পালনকালে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) অনুপস্থিতে ৩ মেয়াদে প্রায় দেড় বছর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) এর দায়িত্বও পালন করেছেন ইউএনও। আর এই সুযোগেই মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে খাসজমি বন্দোবস্ত দিয়েছেন তিনি। রাজনীতিক ও মিডিয়াকে চুপ রাখার জন্য উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি খোরশেদ আলম চৌধুরীর স্ত্রী ডলি আক্তার, সাংবাদিক মোহাম্মদ সেলিম উদ্দীন, আবুল কালাম আজাদ, মনির আজাদ, পুষ্পেন চৌধুরী ও তার স্ত্রী কান্তা চৌধুরীর নামেও জমি বন্দোবস্ত দিয়েছেন। শত বছর ধরে দরিদ্র কৃষকদের দখলে থাকা জমি বিত্তবানদের নামে বন্দোবস্ত দেওয়ায় উচ্ছেদ আতঙ্কে ভুগছে প্রকৃত ভ‚মিহীনরা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লোহাগাড়ার শত শত একর খাসজমিতে দেশের বিভিন্ন দরিদ্র কবলিত এলাকা থেকে দরিদ্র কৃষক পরিবার এসে বসবাস করছেন যুগ যুগ ধরে। পরিত্যক্ত বনভ‚মিগুলো কৃষকরা আবাদ করে বসবাস উপযোগী করে তুলেছে। অনেকে ইতিমধ্যে ঘরবাড়ীসহ বিভিন্ন ফলজ ও বনজ বাগানও করেছে। নিজেদের দখলীয় জমি অন্যদের বন্দোবস্তী দেওয়ায় তা বাতিলের জন্য ইতিমধ্যে অনেক পরিবারই সংশ্লিষ্ট মহলে আবেদন করেছেন। সম্প্রতি চরম্বা ইউনিয়ন থেকে বন্দোবস্তী বাতিলের আবেদন নিয়ে ইউএনও অফিসে আসা ৫ টি দরিদ্র কৃষক পরিবারের সদস্যরা জানান, ‘আমরা দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে এই জমিতে বসবাস করে আসছি। ঘন জঙ্গলে ভরা পরিত্যক্ত পাহাড়ী জমিগুলো আমাদের মাথার ঘাম পায়ে ফেলে আবাদ করেছি। আর এখন লোহাগাড়া উপজেলা সদরের একজন ইউপি সদস্য ও তার পরিবারের নামে আমাদের দখলীয় জমিগুলো বন্দোবস্তী নিয়ে নেন। আমরা এখন উচ্ছেদ আতংকে ভুগছি।’ এ ব্যাপারে ইউএনও ফিজনুর রহমান বলেন, নিয়ম মেনেই সরকারি খাস জমি বন্দোবস্ত দেয়া হয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি কমিটি রয়েছে। সেই কমিটির তদন্তের পর যথাযথভাবে কাজ করা হয়েছে। এ সময় বিত্তবানদেরকে টাকা নিয়ে খাস জমি বন্দোবস্তি দেয়ার বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ