রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
এম বেলাল উদ্দিন, রাউজান (চট্টগ্রাম) থেকে : চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের উপর দিয়ে প্রবাহিত বেরুলিয়া খালের ভাঙনে বিলীন হচ্ছে রাস্তাঘাট। বর্ষা মৌসুমে ভাঙন বৃদ্ধি পেলে বসতঘর, কবরস্থান, রাস্তাঘাট বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় লোকজন। জানা যায়, বেরুলিয়া খালটির শেষপ্রান্তের দিকে সংকোচিত হওয়ায় পানি নিষ্কাশন না হওয়ার ফলে ভাঙন সৃষ্টি হচ্ছে। এ খালটির বেশ কয়েকটি স্থানে ইতোমধ্যে ভাঙন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা যায়, রাউজান পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডে খালটি ভেঙে পাশের মাওলানা আফজল আহম্মদ সড়ক বিলীন হয়ে যাচ্ছে। সড়কের ইট খসে খসে পড়ছে খালে। ফলে এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারীরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। অপরদিকে রাউজান পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের দুটি অংশে ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। এতে স্থানীয় কৃষকরা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি ভাঙন দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ধানী জমির উপর দিয়ে পানি চলাচল করে। ফলে কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে থাকে। স্থানীয় বাসিন্দা আবুল কাশেম জানান, বেরুলিয়া খাল দিয়ে আগে জাহাজ, সাম্পান ও নৌকা চলাচল করত। ছিল জোয়ার-ভাটা। জোয়ার-ভাটার পানি দিয়ে চাষাবাদ করা হতো। এ খালটির নৌযান ছিল যাতায়াত ও মালামাল আনা-নেয়ার প্রধান মাধ্যম। এই খালটি মার্দা-হালদা-কর্ণফুলী নদীর সঙ্গে সংযোজন রয়েছে। কিন্তু কয়েক বছর থেকে খালটি তার যৌবন হারিয়েছে। খালটির শেষপ্রান্তে সংকোচিত হওয়ায় বাড়িঘর থাকা পৌরসভার ৫নং ও ৬নং ওয়ার্ড অংশে ভাঙন সৃষ্টি হচ্ছে। খালটি খনন ও ভাঙনকবলিত স্থান মেরামত করা না হলে হয়তো আগামী বর্ষা মৌসুমে বসতঘর, কবরস্থান, রাস্তাঘাট খালে বিলীন হতে পারে আশঙ্কা এলাকাবাসীর। স্থানীয় শাহিন তালুকদার, জাহেদ ইসলাম, নজরুল, আরাফাত তালুকদার জানান, ৫নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শামীমুল ইসলাম শামু রাস্তাটি সলিন করে দেন। এতে এলাকাবাসী উপকৃত হয়। বর্তমানে রাস্তার ইট খসে খালে পড়ে যাচ্ছে। অথচ এই সড়ক ব্যবহার করে স্থানীয় কৃষকরা শতাধিক একর জমিতে চাষ করেন। কিন্তু সম্প্রতি খালের ভাঙনে রাস্তাটি বিলীন হওয়ার পথে। একদিকে এখানকার কৃষকদের বিপাকে পড়তে হবে। অপরদিকে এ রাস্তা দিয়ে চলাচলকারীরা চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। এভাবে ভাঙতে থাকলে বসতভিটে গড়িয়ে পড়তে পারে এমন অশঙ্কা রয়েছে। এই প্রসঙ্গ জানার জন্য স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর জানে আলম জনির সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি। সংশ্লিষ্ট বিভাগ দ্রæত সময়ের মধ্যে খালটির সংকোচিত অংশ খনন ও ভাঙনরোধে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয় বাসিন্দাদের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।