Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কুমিল্লা নগরীতে বৈশাখী পোশাকের কেনাকাটার ধুম

| প্রকাশের সময় : ১০ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সাদিক মামুন, কুমিল্লা থেকে : আর মাত্র চারদিন পর বাঙালির প্রাণের উৎসব পয়লা বৈশাখ। কুমিল্লার ছোট-বড় মাকের্টের দোকান ও ফ্যাশন হাউসে শোভা পাচ্ছে নববর্ষের বিশেষ পোশাক। নববর্ষের প্রথম দিনটি মনের রঙে সাজিয়ে তুলতে শিশু থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সী নারী পুরুষ বৈশাখকে কেন্দ্র করে তৈরি পাঞ্জাবি, শাড়ি, থ্রিপিস, ফতুয়া, টি-শার্ট কেনাকাটায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন এক দোকান থেকে আরেক দোকানে। জমে উঠেছে বৈশাখের পোষাক বেচাবিক্রি। পয়লা বৈশাখে নতুন ও বাহারি পোষাক পড়ে দিনটি বর্ণময় করে তুলতে ধনী-গরীব নির্বিশেষে সবাই নিজেদের সাধ্যমতো কেনাকাটা শুরু করেছেন।
বাঙালীর বর্ষবরণ উদযাপন সামনে রেখে বৈশাখকেন্দ্রিক পোষাক বিক্রির জন্য কুমিল্লা নগরীর অন্তত পাঁচ শতাধিক বস্ত্র ব্যবসায়ি কয়েক কোটি টাকার তৈরি পোষাক, শাড়ি ও তারসঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে গহনা ও ঘর সাজানোর বিভিন্ন সামগ্রী দোকানে তুলেছেন। এপ্রিলের শুরু থেকেই দোকানিরা বৈশাখী পোষাক বিক্রিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। নগরজুড়ে এখন বৈশাখী পোষাকের বিপুল সমাহার। কুমিল্লা নগরীর রাজগঞ্জ, মনোহরপুর, কান্দিরপাড়, লাকসাম সড়ক এলাকার দোকান ও মার্কেটগুলোতে পয়লা বৈশাখকে সামনে রেখে এবারে নানা ডিজাইন ও রঙের শাড়ি, পাঞ্জাবি, সালোয়ার-কামিজ, ফতুয়া, টি-শার্ট, থান কাপড় স্থান পেয়েছে। এবারের বর্ষবরণের প্রতিটি পোষাকেই লাল-সাদার পাশাপাশি উজ্জ্বল রংয়ের মধ্যে হলুদ, কমলা, নীল, মেরুন, সবুজ ব্যবহার করা হয়েছে। মেয়েদের কামিজে অ্যামব্রয়ডারি, টাইডাই ও ফুলেল প্রিন্টের কাজ আনা হয়েছে। শিশুদের ফ্রগ ও ফতুয়ায় সাদার মধ্যে লাল-সবুজ ও নীলের সংমিশ্রন আনা হয়েছে। আর শাড়ীতে বিভিন্ন রকমের আলপনা করা হয়েছে। পাঞ্জাবিতে লাল রংয়ের প্রাধান্য দেয়া হয়েছে বেশি। পাঞ্জাবি ও শাড়ীতে লাল-সাদার মিশ্রণে বøকে যেসব আলপনা করা হয়েছে তাতে বাঙালী সংস্কৃতির বিভিন্ন দিক ফুটে উঠেছে। অন্যান্য বারের মতো এবারো শিশুদের পোষাকে ঢাক ঢোল, বাঁশি, একতারা, ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। বাঙলা নববর্ষকে সামনে রেখে কুমিল্লা নগরীর দোকানগুলোতে বাহারি রঙ ও ডিজাইনের পোষাক তরুণ-তরুণী ও শিশুদের দারুনভাবে আকৃষ্ট করতে ডলের গায়ে জড়িয়ে দিয়েছেন দোকানিরা। ধনী ও মধ্যবিত্তরা বৈশাখী পোষাক কেনার জন্য ছুটছেন বড় বড় মার্কেটের দিকে। আর নি¤œবিত্তরা বাঙলা নববর্ষকে বরণ করতে ফুটপাত বা সড়কের ধারের ছোটখাটো দোকান থেকে বৈশাখী শাড়ি, পাঞ্জাবি ও শিশুদের পোষাক কিনে নিচ্ছেন।
এবারে বাঙলা নববর্ষকে সামনে রেখে যেসব তৈরি পোষাক বাজারে এসেছে এসবের দাম ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যেই রয়েছে। নগরীর মনোহরপুরের সাত্তার খান কমপ্লেক্সের নিউ রিলেশানের পরিচালক আবুল কাশেম জানান, ‘বৈশাখ মানেই রঙের ছড়াছড়ি। তাই বাঙলা নববর্ষকে সামনে রেখে ছেলে শিশু ও কন্যা শিশুদের ব্যতিক্রমী পোষাক দোকানে তোলা হয়েছে। এবারে শিশুদের পোষাকে দৃষ্টিনন্দন কাজে ও রংয়ে নতুন ডাইমেনশন সৃষ্টি করেছে।’ নগরীর বিভিন্ন মার্কেটের দোকানিরা জানান, এবারে বৈশাখ কেন্দ্রিক যেসব শাড়ি ও থ্রিপিস বাজারে এসেছে এসবের ডিজাইন, কারুকাজ খুবই সুন্দর। বেচাবিক্রি পহেলা এপ্রিল থেকেই বেশ জমে উঠেছে। বৈশাখী পোষাক ছাড়াও নগরীর মার্কেটের প্রসাধনী দোকানগুলোতে বিভিন্ন নকশার ব্যাগ, গহনা স্থান পেয়েছে। গত শুক্র ও শনিবার ছুটির দিনে নগরীর শপিংমলগুলোতে ক্রেতার উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। নগরীতে দেশের নামীদামী ব্র্যান্ডের মধ্যে আড়ং, রঙ, সাদা-কালো, অঞ্জনস, কে-ক্রাফটসহ বেশ ক’টি ফ্যাশন হাউসেও জমে ওঠেছে বৈশাখী পোষাকের বেচাবিক্রি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ