রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ময়নুল হক, ডোমার (নীলফামারী) থেকে : রেলওয়েকে ফাঁকি দিয়ে অবৈধ্যভাবে মালামাল বুকিং করে পকেটজাত করে আসছে স্টেশন মাস্টার ও বহনকৃত ট্রেনের পরিচালক গার্ড। দীর্ঘদিন থেকে উত্তরের সর্বশেষ রেলওয়ে স্টেশন চিলাহাটি থেকে কাঁচামরিচসহ অনান্য মালামাল ১০০ কেজির ওজনের বস্তাকে ৫০ কেজি ওজন দেখিয়ে বুকিং করে বাকি টাকা পকেটে ভরছে। এতে করে রেল তার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। চিলাহাটি থেকে রূপসা-সীমান্ত আন্তঃনগর ট্রেন দুটি চালু হওয়ার পর থেকেই বুকিংয়ে চলছে ব্যাপক অনিয়ম। রেলওয়ের একটি সূত্র জানায়, আন্তঃনগর ট্রেনে মালামাল বুকিংয়ে কোনো ছাড় নেই, প্রতিকেজি বুকিং মূল্য ২.৯০ পয়সা। রেলওয়ের ওই নিয়ম অমান্য করে চিলাহাটি স্টেশনে ১০০ কেজির ওজনকে ৫০ কেজির বুকিং করায় স্থানীয় জনতা এর কারণ জানতে চাইলে স্টেশনমাস্টার আব্দুর মতিন জানান, রেলওয়ের নিয়ম অনুযায়ী মালামালের বুকিংয়ে কোনো ছাড় নেই। তবে ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে আমরা মৌখিকভাবে কিছু ছাড় দিয়ে থাকি। রেলওয়ের নিয়মনীতি অমান্য করে চিলাহাটির ওই স্টেশনমাস্টার দীর্ঘদিন থেকে তার নিজস্ব নিয়মে স্টেশন পরিচালনাসহ বুকিং করে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা পকেটে ভরছেন। চিলাহাটি স্টেশন থেকে খুলনাসহ বিভিন্ন জায়গায় প্রতিদিন একশ’ থেকে দেড়শ’ বস্তা কাঁচামরিচসহ অন্যান্য মালামাল বুকিং হচ্ছে। তিনি ব্যবসায়ীদের সাথে আপস করে একশ’ কেজির ওজনের বস্তায় পঁচাত্তর কেজির ভাড়া হাতিয়ে নিয়ে বুকিং করছেন মাত্র পঞ্চাশ কেজি। বাড়তি পঁচিশ কেজির প্রতি বস্তার ৭২.৫০ টাকা চলে যাচ্ছে স্টেশনমাস্টার ও বহনকারী ট্রেনের পরিচালক গার্ডের পকেটে। এতে রেলওয়ে প্রতিদিন শুধু চিলাহাটি স্টেশন থেকে ১০/১২ হাজার টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। আর অপরদিকে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে বুকিং ও স্টেশনমাস্টারসহ তাদের ও বহনকৃত ট্রেনের পরিচালক গার্ড। নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক শর্তে কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, একশ’ কেজির ওজনের মালামালের বস্তায় ছাড় পেয়ে আশি কেজি বুকিং-এর টাকা স্টেশনমাস্টারকে দিতে হয়। কিন্তু মাস্টার সাহেব ৫০-৬০ কেজির বুকিং করে বাড়তি টাকা পকেটে ভরছেন। আপনি ওজন ও বুকিং নিয়ে মাস্টারের সাথে কথা বলেন লাভ হবে। এসময় ট্রেনের পরিচালক শরিফুল ইসলাম ও বিশ্বাস চিলাহাটি ওয়েব ডটকমকে জানান, মালামাল বুকিংয়ে রেলওয়ের ছাড় দেয়ার লিখিত নিয়ম আছে। তবে তিনি কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। তারা আরো বলেন, চিলাহাটিতে এখন অনেক ট্রেন আসছে আপনারা মালামাল বুকিং-এর দিকে না দেখিয়ে কিভাবে আরো উন্নয়ন হবে সেদিকগুলি লিখেন। চিলাহাটি স্টেশনমাস্টার আব্দুর মতিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, ওজন যন্ত্র নষ্ট হওয়ায় অনুমান করে বুকিং করতে হয়। বাড়তি টাকা নেয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। এব্যাপারে আপনাদের সাথে পরে বসা হবে। রেলওয়ে পাকশী ডিসিও আহসান-উল্লাহ ভুঁইয়া জানান, এব্যাপারে আমাকে কি করতে হবে। চিলাহাটি স্টেশনে অবৈধ্যভাবে মালামাল বুকিংয়ের ব্যাপারে তিনি কথা না বলে ফোন কেটে দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।