Inqilab Logo

বুধবার ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সাতক্ষীরায় বৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধাকে পিটিয়ে আহত করেছে পুলিশ

সাতক্ষীরা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৯ এপ্রিল, ২০১৭, ২:২০ পিএম

সাতক্ষীরা জেলা সংবাদদাতা : সাতক্ষীরায় আব্দুর রশিদ (৭৫) নামের এক মুক্তিযোদ্ধাকে পুলিশ পিটিয়ে আহত করেছে। বর্তমানে তাকে আশংকাজনক অবস্থায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে শনিবার দিবাগত মধ্যরাতে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার রসুলপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহত মুক্তিযোদ্ধা সাতক্ষীরা ছয়ঘরিয়া গ্রামের রসুলপুর গ্রামের মৃত মোজাহার হোসেনের ছেলে। তার মুক্তিযোদ্ধা গেজেট নং ২০৩০।

আহত মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে রউফুনেচ্ছা সাংবাদিকদের জানান, রসুলপুর এলাকায় তাদের ১৫ শতক জমির উপর ঘর- বাড়ি আছে। ওই জমির প্রতি কু-নজর পড়ে সদরের কুশখালি গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে মুন্না ও আব্দুল মজিদের ছেলে মিলন হোসেনের। এই জমিটি জবর দখল করার জন্য বিভিন্ন সময় তাদের হয়রানি করে তারা। সম্প্রতি মুন্না থানায় তাদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দেয়। পুলিশ শনিবার বিকালে তার ভাই তরিকুলকে ধরে নিয়ে আসে। সন্ধ্যায় আবারো ছেড়ে দেয়। এরপর রাত ১২টার দিকে সদর থানার এস আই রমজান আলির নেতৃত্বে ১০/১২ জন পুলিশ ও সন্ত্রাসী মুন্না ও মিলনের নেতৃত্বে তাদের বাড়িতে হামলা চালায়। তারা তার বৃদ্ধ পিতা, ছেলে, স্ত্রী- সন্তানদের ঘুম থেকে ডেকে তুলে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে এবং লাঠি দিয়ে গুঁতিয়ে ও পিটিয়ে বৃদ্ধ পিতাকে আহত করে। তিনি আরো জানান, তাদেরকে হেনস্তা করার পাশাপাশি ঘরের ভিতর থাকা আসবাবপত্র ভাংচুর করে।

মুক্তিযোদ্ধার পুত্রবধূ আসমা খাতুন বলেন, রমজান দারোগা যাওয়ার সময় বলে এসেছে তোরা যদি বেশি বাড়াবাড়ি করিস তাহলে তোদের জামায়াতের মামলায় ঢুকিয়ে দেব। বোমা মেরে তোদের উড়িয়ে দেব। যত তাড়াতাড়ি পারিস বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যা।

তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি আদালত তাদের পক্ষে রায় ও ডিক্রি দিয়েছে।

রবিবার দুপুর একটার সময় যখন আহত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদকে সাতক্ষীরা জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড ইউনিটের সামনে নিয়ে আসে। তখন তিনি ভ্যানের উপর অচেতন অবস্থায় পড়ে ছিলেন। তার হাত -পা ফেটে রক্ত বের হচ্ছিলো।

সার্বিক বিষয়ে সদর থানার এস আই রমজান আলি জানান, আমি রাতে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম বাড়িটি দেখতে। সেখানে কোন মারপিটের ঘটনা ঘটেনি। এটি মিথ্যা।



 

Show all comments
  • Mohammed Shah Alam Khan ৯ এপ্রিল, ২০১৭, ৭:৪৮ পিএম says : 0
    আমি একটা বিষয় জানতে চাই আমাদের পুলিশ মন্ত্রী কামাল সাহেব কাছ থেকে; সেটা হচ্ছে কোন আইনে আপনার লোক পুলিশ দারগা একটা অভিযোগের উপর ভিত্তি করে একবার আসামীর ছেলেকে বাসা থেকে থানায় ধরে নিয়ে গিয়ে বিস্তারিত অবগত হবার পর সন্ধ্যায় ছেড়ে দিয়ে আবার তাদের বাসায় মধ্য রাতে গিয়ে তাদেরকে ঘুম থেকে তুলে অখ্যাত পুলিশি ভাষায় গালাগাল করে মার পিট করে ভয় দেখায় এবং বাড়ি ছেড়ে দেয়ার জন্য হুকুম দেয়। যদিও মালিক অভিযোগ কারীদের সাথে মামলায় জিতে যাবার কাগজ দেখানোর পরও দারগা কিভাবে এদেরকে হেনস্ত করে এর জবাব অবশ্যই দিতে হবে। একজন মুক্তিযুদ্ধা পুলিশের মাথা হবার পরও একজন নগণ্য (মুক্তিযোদ্ধার কাছে) ব্যাক্তি দারগা রমজান মুক্তিযোদ্ধার গায়ে হাত তুলে এর জবাব অবশ্যই মন্ত্রী কামাল সাহেবকে দিতে হবে নয়ত গদী ছাড়তে হবে এটাই হওয়া উচিৎ সত্য নয় কি??? কামাল সাহেবের একবার ভাবা দরকার তিনি আজ যেখানে আছেন সেটা এই মুক্তিযোদ্ধার সম্মানে হয়েছেন আমি কি ভুল বলেছি??? কাজেই একজন তারই মত একজন সম্মানিত মুক্তিযুদ্ধাকে তারই লোক দারগা রমজান পিটালেন আর তিনি কিভাবে সহ্য করছেন এটা এক বিরাট প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে তাই না কি??? কোন আইনে সাধারন এক আভি্যোগের কারনে পুলিশ মাঝ রাতে ভদ্রলোকের বাড়িতে ১০/১২ পুলেশ নিয়ে যেতে পারে আমি জানতে চাইলে সেটা কি অন্যায় হবে??? এটাও একটা বিরাট প্রশ্ন হয়ে সামনে এসেছে তাই না??? একজন দারগার এধরনের বৈষয়িক মামলায় রাতে যেভাবে সন্ত্রাসীদের ধরার জন্য ১০/১২ জন পুলিশ নিয়ে দরগারা আক্রমণ করে একই পদ্ধতীতে দেশের শ্রেষ্ট সন্তান মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে হামলা চালনোর কারন দেশ বাসী জানতে চাওয়াটা কি আন্যায়??? তাই আমি জানতে চাই পুলিশমন্ত্রীর কাছ থেকে আপনার লোক কোন আইনে সাধারন সম্পত্তির বিষয়ে একজনকে এভাবে পিটাতে পারে কি??? এর জবাব আপনাকে দিতেই হবে কামাল সাহেব নয়ত আপনাকেও আইনের সামনা সামনি করতে হবে এটাই সত্য এটাই পদ্ধতী...... রমজান দারগার কথায় ও তার কর্ম কান্ডে বুঝায়ে দেয় সে কোন ধরনের পরিবারের এবং কতটুকু শিক্ষা সে পেয়েছে তাই না??? কামাল সাহেব যদি এসব দুই নম্বর নাগরিকদের পুলিশ না বানাত তাহলে এই রাস্তার ছেলে রমজান আলী দারগা একজন দেশের শ্রেষ্ট সন্তানের গায়ে হাত তুলতে পারে??? এখন প্রশ্ন হচ্ছে দারগা রমজান এতবড় সাহস সে কোথা থেকে পেয়েছে। আমার সন্দেহ এই রমজান অবশ্যই পাইক্কাদের শাসন আমলে চাকুরি পায় তাইনা??? নয়ত কিভাবে সে মুক্তিযোদ্ধাকে এতবড় অসম্মান করতে পার। আমি এর জবাব চাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে। আমি জানতে চাই কোন আস্তাবল থেকে এই রমজানকে পুলিশের চাকুরী দিয়েছে এবং কে দিয়েছে কে তার প্রশিক্ষন দিয়েছে কোন বিদ্যালয়ে পড়া শুনা করেছে তার বাবা কে তার মা কে এরাকি দেশদ্রোহী কিনা, এদের সবার তালিকা প্রকাশের দাবী জানাচ্ছি। আমি আরো আনুরোধ করব পুলিশের চাকুরি দেবার সময় অবশ্যই তাদের পারিবারিক কমপক্ষে তিন পুরুষের বিবরণ নিতে হবে। শুধু তাই নয় এদের বাপ দাদাদের সাথে কোন ভাবে রাজাকার কিংবা ......... আছে কিনা এসব বিচার করেই এদের চাকুরি হওয়া উচিৎ আমি মেন করি।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ