পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
ইনকিলাব ডেস্ক : শেয়ার মার্কেটে ব্যাংকগুলোর একটা বিরাট ভূমিকা রয়েছে। তারা বাজারকে গতিশীল করতে বেশ সচেষ্ট। বিদেশি বিনিয়োগও ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। বাজারের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় বড় বড় ধসগুলোতে যারা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিলেন যারা এতদিন বাজার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন তারাও আবার বাজারে ফিরে আসছেন। সবচেয়ে আশার কথা হলো তারা পুরনো লস কিছু কিছু করে কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছেন। তবে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা বোধহয় এই মুহূর্তে একটু পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। যে কারণে গত সপ্তাহে সূচকে কিছুটা মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। মূলত ৩০ মার্চ ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের লভ্যাংশ ঘোষণার পর থেকেই শেয়ারবাজারে কিছুটা নেতিবাচক অবস্থা বিরাজ করে। সেই সঙ্গে প্রতিদিনই ব্যাংক খাতের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দরপতন ঘটছে। তবে অন্যান্য খাতের সক্রিয়তায় সপ্তাহ শেষে সূচক ও লেনদেন বড়েছে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
তারা বলছেন, ভালো মুনাফার পরও ইসলামী ব্যাংকের সীমিত লভ্যাংশ ঘোষণার কারণে শেয়ারবাজারে এক ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। তবে এ ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়ার কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ নেই। শুধু একটি প্রতিষ্ঠান দিয়ে শেয়ারবাজারের সকল প্রতিষ্ঠানকে বিবেচনা করা ঠিক না। এটি যুক্তিসঙ্গতও নয়। তবে বাজারের যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তা বাজারের স্বাভাবিকতা। এটি দু-এক দিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে।
সংশ্লিষ্টরা আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘সামনে বাজার আরও ভালো হবে’, কারণ বাজার যে ভালো হবে তার সবগুলো লক্ষণই বিদ্যমান। এছাড়াও ডিএসই’র কিছু বিধিনিষেধের কারণে অতীতে বিনিয়োগ সহায়ক পরিবেশ ছিল না। সেই সমস্ত নিয়ম-কানুন ডিএসই এবং সিএসই উঠিয়ে নিয়েছে। তাছাড়া মার্কেটের ক্রমাগত চাপের কারণে মার্কেট টাইম বৃদ্ধির চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিনিয়োগকারীদের সচেতন করতে শিক্ষামূলক প্রোগ্রাম করছে। আর আর্থিক বছর শেষ হওয়ার কারণে কোম্পানিগুলোর ঘোষিত লভ্যাংশের একটা ইতিবাচক প্রভাব অচিরেই বাজারে পড়বে বলেও মনে করছেন ওই বিশ্লেষকরা।
এদিকে গেল সপ্তাহের (২-৬ এপ্রিল) বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ডিএসইএক্স, শরীয়া ও ডিএসই ৩০ সূচক বেড়েছে। একই সঙ্গে আর্থিক লেনদেন ও বাজার মূলধন বেড়েছে। তবে বেশিসংখ্যক কোম্পানির দর কমেছে। এ সময় ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৭ পয়েন্ট বা ০.২৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৭৩৬ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসই ৩০ সূচক ৪৩ পয়েন্ট বা ২.০৮ শতাংশ ও ডিএসইএক্স শরীয়া সূচক ৯ পয়েন্ট বা ০.৬৯ শতাংশ বেড়েছে। এর আগের সপ্তাহে ডিএসইএক্স ৭ পয়েন্ট বা ০.১২ শতাংশ কমেছিল।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে ৩৩২টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৩৫টি বা ৪০.৬৬ শতাংশ কোম্পানির। আর দর কমেছে ১৭৮টি বা ৫৩.৬১ শতাংশ কোম্পানির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯টি বা ৫.৭২ শতাংশ কোম্পানির। এগুলোর ওপর ভর কওে দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ৯৫৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকার। যা আগের সপ্তাহে হয়েছিল ৯৩১ কোটি ৩৬ লাখ টাকার। এ হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ২.৯৪ শতাংশ। তবে মোট হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ২৮.৬৮ শতাংশ। মূলত আগের সপ্তাহের তুলনায় গত সপ্তাহে ১ কার্যদিবস লেনদেন বেশি হওয়ায় মোট ও দৈনিক গড় হিসেবে এ পার্থক্য হয়েছে।
গত সপ্তাহে ৫ কার্যদিবসে মোট ৪ হাজার ৭৯৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহে ৪ কার্যদিবসে হয়েছিল ৩ হাজার ৭২৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকার। গত সপ্তাহে মোট লেনদেনের ৯৫.৬০ শতাংশ ‘এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত, ২.৪৩ শতাংশ ‘বি’ ক্যাটাগরিভুক্ত, ১.২৪ শতাংশ ‘এন’ ক্যাটাগরিভুক্ত এবং ০.৭৩ শতাংশ ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে হয়েছে। সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ৭৯ হাজার ৮৩১ কোটি টাকা। সপ্তাহের শেষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৮২ হাজার ৩৬০ কোটি টাকায়। অর্থাৎ গত সপ্তাহে বাজার মূলধন বেড়েছে ০.৬৭ শতাংশ।
দেশের অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) প্রধান সূচক সিএসইএক্স বেড়েছে দশমিক ০.০৪ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ২৮৮টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১১২টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ১৬৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১০টির। আর সপ্তাহ শেষে লেনদেন হয়েছে ৩৩০ কোটি ৯২ লাখ ৩১ হাজার টাকার শেয়ার।
এর আগের সপ্তাহে সিএসই প্রধান সূচক সিএসইএক্স কমেছিল দশমিক ০.০৪ শতাংশ। আর সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হয়েছিল ২৭৬ কোটি ৫৮ লাখ টাকার শেয়ার। -ওয়েবসাইট
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।