রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা : নওগাঁর পোরশা উপজেলার নিতপুর সীমান্ত দিয়ে বয়ে যাওয়া এক সময়ের উত্তাল পুনর্ভবা নাব্যতা হারিয়ে এখন বালুচরে পরিণত হয়েছে। নদীটিতে এক সময় ঢেউয়ের তালে চলাচল করতো অসংখ্য পাল তোলা নৌকা, লঞ্চ, স্টিমার। ভাটিয়ালী ও পল্লিগীতি গানের সুরে মাঝিরা নৌকা নিয়ে ছুটে চলতো গোমস্তাপুর, রহনপুর, নাচোল চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ অন্যান্য উপজেলার ব্যবসা কেন্দ্রগুলোতে। এসব উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠা বড় বড় হাটবাজারে ব্যবসার জন্য ধান, পাট, আলু, বেগুন, সরিষা, কালাই, গমসহ প্রভৃতি পণ্য নিয়ে ব্যবসায়ীরা তাদের ছোট বড় নৌকায় পাল তুলে মাঝিমাল্লা নিয়ে ছুটে চলতেন। শুধু ঐসব পণ্যই নয় হাটবাজারগুলোতে বিক্রির জন্য তারা নিয়ে যেতেন গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ইত্যাদি। সে সময় পুনর্ভবা ছিল পূর্ণ যৌবনা। একে অবলম্বন করে অসংখ্য মানুষ ব্যবসা বাণিজ্যের মাধ্যমে জীবন-জীবিকার শক্ত ভিত গড়ে তুলেছিল। অগণিত হাটবাজারই নয় এ নদীকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল অনেক জনপদ। এর পানি দিয়ে কৃষকরা দুই পাড়ের হাজার হাজার হেক্টর জমিতে সবুজ ফসল ফলাতো। প্রকৃতি প্রদত্ত অফুরন্ত পানিতে নানা ফসলে ভরে উঠতো ফসলের ক্ষেত। জীবিকার সন্ধানে নদী সংলগ্ন ও পাশের গ্রাম গুলিতে অসংখ্য জেলে পরিবারের বসতি গড়ে উঠেছিল। ছোট বড় বিভিন্ন প্রজাতীর মাছের অফুরন্ত উৎস ছিল এই পুনর্ভবা। মাছ পাওয়া যেত সারা বছর ধরে। জীবিকার নির্বাহের জন্য জেলেরা রাতদিন ডিঙি নৌকায় জাল নিয়ে চষে বেড়াতেন মাছ ধরার জন্য। মাছ বিক্রি করে অসংখ্য জেলে পরিবারের সংসার চলতো। সময় গড়িয়ে চলার সথে সাথে সেই ভরা যৌবনা পুনর্ভবা এখন মরাখালে পরিণত হয়েছে। জেলে পরিবারগুলো হয়ে গেছে প্রায় বিলীন, পাড়গুলো হয়েছে কৃষি জমি। নদীগর্ভে জেগে উঠা চরে এলাকার শিশুরা খেলছে ক্রিকেট, ফুটবলসহ বিভিন্ন খেলা। সে সময়ের ব্যবসা বাণিজ্যের উৎসগুলো হয়ে গেছে চিরতরে বন্ধ। থমকে গেছে নদী, নিভে গেছে বিপুল সম্ভবনা জাগানো কর্মকান্ড। নদীকেন্দ্রিক সম্ভবনাগুলো নিভে গেলেও কেউ কখনও এসব নিয়ে ভাবেনি। খরা মৌসুমে সরকারিভাবে নদীটি খননের পদক্ষেপ নেয়া হলে অন্তত মরাখালে পরিণত হতো না। তাছাড়া নদীটি কখনও খনন বা ড্রেজিং করা হয়নি এমনকি কর্তৃপক্ষ রক্ষণাবেক্ষণের কোন উদ্যোগ ও নেয়নি। খনন না করার ফলে নদীটি ফসলের জমিতে পরিণত হয়েছে। এ সুযোগে অনেকেই ধান চাষ করছে। এভাবে চলতে থাকলে এক সময়ের উত্তাল পুনর্ভবা মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে বলে বিশিষ্টজনরা মনে করছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।