রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
সাইদুর রহমান, মাগুরা থেকে : মাগুরা জেলার ৪ উপজেলায় এবার আমের প্রচুর গুটি দেখা যাচ্ছে। তবে সময়মত বৃষ্টির অভাবে তা ঝরে গিয়ে আমের ফলন বিপর্যয় দেখা দিতে পারে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। মাগুরা জেলার ৪ উপজেলায় মোট ১ হাজার হেক্টর জমিতে আমের আবাদ হয় বলে কৃষিবিভাগ থেকে জানানো হয়। এর মধ্যে মাগুরা সদর উপজেলায় ৪৫০ হেক্টর, শ্রীপুর উপজেলায় ৩২৫ হেক্টর, মহম্মদপুর উপজেলায় ১৭৫ হেক্টর এবং শালিখা উপজেলায় ৫০ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়। যার থেকে হেক্টরপ্রতি ২০ মেট্রিক টন আম উৎপাদন হয় বলে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ থেকে জানানো হয়। বেশ কিছুদিন ধরে জেলার বিভিন্ন এলাকায় ব্যবসার ভিত্তিতে আমের চাষ শুরু হয়েছে। তবে আমের পরিচর্যার ব্যাপারে অভিজ্ঞতা না থাকায় মাগুরার আম চাষিরা প্রতি বছরই ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। প্রতি মৌসুমে আম গাছের মুকুল দেখা দিলেও শেষপর্যন্ত এ মুকুল থেকে পরিচর্যা জ্ঞান না থাকা এবং কৃষি বিভাগের এব্যাপারে কোনো পরিকল্পনা না থাকায় কৃষকদের ভাগ্যে আম জোটে না। এবার অধিকাংশ গাছে আমের গুটি প্রচুর দেখা যায়। কিন্তু গুটিগুলো ঝরে যাচ্ছে। পরিচর্যা জ্ঞান না থাকায় এ অবস্থা হচ্ছে বলে ধারণা করছেন অনেকেই। আম মানুষের কাছে খুব প্রিয় ফল এবং এর থেকে আর্থিকভাবে লাভবান হন বাগান মালিকরা। আর এজন্যে আম চাষে উৎসাহী হয়ে মাগুরা জেলার বিভিন্ন এলাকায় আমের বাগান গড়ে উঠছে। বিশেষ করে মাগুরায় ফজলী, ল্যাংড়া, হীমসাগর, আ¤্রপালী, গোপাল ভোগ, বোম্বাই, লাখনাই, তোষা প্রভৃতি জাতের আমের আবাদ হয়। জেলার শত্রæজিৎপুর, বিনোদপুর, কুচিয়ামোড়া, ইছাখাদা, হাজরাপুর, রাঘবদাইড়. খালিমপুর, আলাইপুর, হাজীপুর, রাওতড়া, কাশীনাথপুর, বরিশাট, বারইপাড়া, শ্রীকোল, কানুটিয়া গ্রামে আমের বাগান গড়ে উঠছে। আম চাষিরা এবার আমের গুটির ব্যাপকতা দেখে উৎফুল্ল হয়ে নানান স্বপ্ন দেখছিলেন। কিন্তু আমের গুটি ছোট অবস্থায়ই ঝরে পড়ায় তাদের আশায় বালি পড়েছে। বৃষ্টির অভাবে ঝরে পড়ে অনেক গাছ আমশূন্য হয়ে পড়ছে। আম গাছের নিচে গেলে শুধু ঝরে পড়া আমের গুটি দেখা যায়। এ গুটি আম কোন কাজে অসছে না। গাছ মালিকের সামনে তার ফলান আম ঝরে যাচ্ছে কিন্তু কি করে আমের গুটি রক্ষা করা যায় সে ব্যাপরে তাদের অনেকেরই কোনো জ্ঞান নেই। মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগে আম চাষের ওপর তথ্য সংগ্রহে গেলে তারা কোনো তথ্য দিতে পারে না। কেবল গদবাঁধা প্রতি হেক্টরে ২০ মেট্রিক টন আম উৎপাদন হবে বলে দিয়ে দায় সারেন। মাগুরা জেলায় আমের চাষকে উৎসাহিত করতে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগকে তাদের ওপর দেয়া সরকারি দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করা জরুরি বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করেন। আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে কার্যক্রম বন্ধ করে না রেখে মাঠপর্যায়ে কৃষি বিভাগকে কাজ করতে হবে কৃষকদের স্বার্থে। তাহলে কৃষকরা হবেন উপকৃত অপরদিকে সরকারের উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।