Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কুঁন্দুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিত্যক্ত ভবনে ঝুঁকি নিয়ে চলে পাঠদান

| প্রকাশের সময় : ৮ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

জি এম মুজিবুর রহমান, আশাশুনি (সাতক্ষীরা) থেকে : আশাশুনি উপজেলার কুঁন্দুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস রুমের অভাবে ক্লাস পরিচালনা কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে। টিনের ঘর ও জরাজীর্ণ কক্ষে প্রতিক‚লতা ও জীবনের মায়া ত্যাগ করে ক্লাসে বসে ক্লাস করতে হচ্ছে শিশুদের। উপজেলার পুরাতন স্কুলগুলোর মধ্যে এই বিদ্যালয় একটি। ১৯৪০ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত। এই বিদ্যালয়ের অনেক ছাত্রছাত্রী ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিপির উচ্চ পদে কর্মরত এবং দেশ-বিদেশে বহু প্রতিষ্ঠান ও বিভাগে কৃতিত্বের সাথে চাকরিরত আছেন। বিদ্যালয়টি ১৯৭৩ সালে সরকারিকরণ করা হয়। এলাকাবাসীর উদ্যোগে বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ করে স্কুল চলে এসেছে। দীর্ঘ ২৩ বছর পর ১৯৯৬ সালে ৪ কক্ষ বিশিষ্ট একটি ভবন সরকারিভাবে নির্মিত হয়েছিল। পরবর্তীতে ক্লাস পরিচালনায় সমস্যা দেখা দেয়ায় সরকারিভাবে ২ কক্ষ বিশিষ্ট আরেকটি ভবন নির্মাণ করা হয় ২০০২ সালে। এরপর ক্লাস সুষ্ঠুভাবে চলে আসলেও গত ৬ মাস পূর্বে পুরনো ভবণটি (৪ কক্ষ বিশিষ্ট) পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। সেই থেকে ভবনটি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। গাছ তলা আর খোলা মাঠে ক্লাস পরিচালনা করতে করতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ক্লান্ত হয়ে পড়লে এসএমসি সদস্য, শিক্ষকবৃন্দ ও এলাকার মানুষ বাধ্য হয়ে ২ কক্ষ বিশিষ্ট টিনের বেড়া ও টিনের ছাউনি দিয়ে একটি ঘর নির্মাণ করেছেন। তাতেও কক্ষ সংকট কাটেনি। কক্ষ সংকটের পাশাপশি টিনের ঘরে রৌদ্রের তাপে ঘর্মাক্ত ও মারাত্মক অস্বস্তি নিয়ে এবং বর্ষার সময় বৃষ্টিঝরা টিনের বিকট শব্দের কারণে শুনতে না পাওয়ার অসহ্য পরিবেশে ক্লাস চালান হচ্ছে। অপরদিকে ২০০২ সালে নির্মিত দু’কক্ষের বিল্ডিংটি (একটি কক্ষ ক্লাস ও আরেকটি অফিস হিসাবে ব্যবহৃত) ইতোমধ্যে হয়ে পড়েছে জীর্ণশীর্ণ। ঝুঁকি আর নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক-কর্মচারীদের দৈনন্দিন কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে। স্বনামধন্য বিদ্যালয়টি ২৪০ জন ছাত্রছাত্রীর পদভারে আনন্দঘন পরিবেশে চলার কথা, সেটি এখন শিক্ষাদানের পরিবেশ বঞ্চিত হয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে। শিশুবান্ধব প্রাইমারি স্কুল পরিচালনার জন্য সরকার ও শিক্ষা বিভাগ যখন এগিয়ে চলেছে, তখন কক্ষ সংকটে মাঠে কিংবা গাছ তলায় বসে ক্লাস পরিচালনা আর রোদ-গরমের সাথে যুদ্ধ করে এবং বৃষ্টির মৌসুমে প্রকৃতির বিকট শব্দের একাকার পরিবেশে ক্লাস পরিচালনার ঘটনা সত্যি বেমানান। জেলা প্রশাসন, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি অনুধাবন করে দ্রæত কার্যকর পদক্ষেপ নিবেন এ দাবি এলাকাবাসী সকলের।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ