রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
রেবা রহমান, যশোর থেকে : স্বাধীনতার প্রবেশদ্বার, অবিভক্ত বাংলার প্রথম ডিজিটাল জেলা শহর যশোরে শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক এখন উদ্বোধনের দ্বারপ্রান্তে। ৩০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পার্কটি খুব তাড়াতাড়ি পুরোপুরি আইটি শিল্পপার্ক হিসেবে চালু হবে। আন্তর্জাতিক মানের এই সফটওয়্যার পার্কে দশ হাজার আইটি প্রফেশনাল তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান হবে। পার্কটি ঘিরে যশোর হবে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের তথ্য ও প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনৈতিক অঞ্চল। এতে বদলে যাবে অবহেলিত জেলা যশোর। ইতোমধ্যে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা পার্কে কাজ শুরু করেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। প্রকল্প পরিচালকের কার্যালয় জানায়, ইনফরমেশন টেকনোলজি (আইটি) শিল্প স্থাপনের কাজ বাস্তবায়নের জন্য ২০১০ সালে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক অথরিটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। ২০১০ সালের ২৭ ডিসেম্বর যশোরের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যশোরে একটি আইটি পার্ক স্থাপনের ঘোষণা দেন। সেই প্রতিশ্রæতি বাস্তবায়নে ৩০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় ‘শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক’। প্রকল্পটি শুরু হয় ২০১৩ সালের ফেব্রæয়ারি মাসে। এরপর অবকাঠামোগত কাজ শুরু হয় ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে। গত আড়াই বছরে স্বপ্নের সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক বাস্তবে রূপ লাভ করেছে। শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম-সচিব) জাহাঙ্গীর আলম জানান, যশোর শহরের শংকরপুর এলাকায় ১২ একর ১৩ শতাংশ জমির ওপর নির্মাণ করা হচ্ছে পার্কটি। এই পার্কে ২ লাখ ৩২ হাজার বর্গফুট আয়তনের ১৫তলা মাল্টি ট্যনেন্ট ভবন, ৯৮ হাজার বর্গফুট আয়তনের ১২তলা আবাসিক ভবন, ২৫ হাজার বর্গফুট আয়তনের ১টি বেজমেন্ট ফ্লোরসহ ৩ তলা মাল্টিপারপাস ভবন নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে। এ ছাড়াও ৩৩ কেভিএ সাব-স্টেশন, ওয়াইফাই, ভিডিও কনফারেন্স, ডিজেস্টার রিকভারি ডাটা সেন্টার, জিম, ওয়াকওয়ে, সুপ্রশস্থ ওয়াটারবডি, গ্রিন জোন ইত্যাদি সুযোগ-সুবিধা থাকবে পার্কে। জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন, শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কটি আন্তর্জাতিক মানের। ইতোমধ্যেই ৩টি জাপানি কোম্পানিসহ ১৩টি আইটি কোম্পানিকে পার্ক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আরও ২৪টি কোম্পানি বরাদ্দের জন্য আবেদন করেছে। সেগুলো যাচাই-বাছাই পর্যায়ে রয়েছে। দেশি-বিদেশি অনেক কোম্পানি ব্যবসা করার জন্য যোগাযোগ করছে। তরুণ-তরুণীদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে হাইটেক পার্ক তৈরি করছে সরকার। তাদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে। আগামী দুই মাসের মধ্যে শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের নির্মাণ কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন হবে। এরপর উদ্বোধনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবেদন করা হবে। পার্কটি চালু হলে দশ হাজার আইটি প্রফেশনাল তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।