Inqilab Logo

মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বানরের বাঁদরামিতে অতিষ্ঠ ৩ গ্রামের মানুষ থাকে আতঙ্কে

| প্রকাশের সময় : ৮ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

এস মিজানুল ইসলাম, বানারীপাড়া (বরিশাল) থেকে : বানারীপাড়ায় একটি বানরের বাঁদরামিতে তিন মাস ধরে তিন গ্রামের মানুষের জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। আর দ্ব›দ্ব বাজিয়েছে ইউএনও-প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার মধ্যে। বিষয়টি বানারীপাড়ায় মুখরোচক হয়ে উঠেছে। বানরের অত্যাচারে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ব্যাঘাত ঘটছে। বানরটির আতঙ্কে দিনাতিপাত করছে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী। অবশেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দ্বারস্ত হয়েছেন। উপজেলার পূর্ব ইলুহার গ্রামের ইউপি সদস্য ফারুক হোসেন ও ক্ষতিগ্রস্ত হালিম কাজী। তারা জানান, গত তিন মাস পূর্বে অজ্ঞাত স্থান থেকে তাদের গ্রামে বানরটি অবস্থান নেয়। হিং¯্র প্রকৃতির বানরটি পূর্ব মলুহার, পূর্ব ইলুহার ও পার্শ্ববর্তী স্বরূপকাঠির শান্তির হাট গ্রামে ঘুরে ফিরে এলাকাবাসীর বাগানের ফল, জমির ফসল ও রান্না ঘরে ঢুকে ভাত-তরকারিসহ সব ধরনের খাবার খেয়ে ফেলে পাশাপাশি নষ্ট করে। এছাড়াও বানরটি স্কুলগামী শিশু ও নারীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে পোশাক ছিঁড়ে ফেলাসহ তাদের কামড়িয়ে আহত করছে। গত কয়েক দিনে বানরটি পূর্ব ইলুহার গ্রামের ফয়সাল শেখ, মিলন ও শান্তিহার এলাকার হৃদয় নামের এক শিশুকে এবং পূর্ব ইলুহার গ্রামের মফিজুল হক ও শান্তিহারের সোনাবালা দত্তের দুটি ছাগল কামড়িয়ে গুরুতর আহত করেছে। এসব ঘটনায় এলাকায় বানর আতঙ্কেও সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে ওই তিন গ্রামের স্কুল গ্রামী শিক্ষার্থীরা ক্লাসে অনিয়মিত হয়ে পড়ছে। নির্জন রাস্তায় শিক্ষার্থীদের পেলেই বানরটি ঝাঁপিয়ে পড়ে আহত করছে। বানরের হিং¯্রতা থেকে এলাকার কুকুরও রক্ষা পাচ্ছে না। ইলুহার গ্রামের দেলোয়ার হোসেন অভিযোগ করেন তার কৃষি প্রদর্শ ভুট্টা ক্ষেত ও রানু আকনের শসা ক্ষেত বানরটি তছনছ করেছে। এ রকম অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে বানরটির বিরুদ্ধে। এদিকে স্থানীয় ইউপি সদস্য ফারুক হোসেনসহ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী বানরটির হিং¯্রতা থেকে রক্ষা পেতে বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত জাহানের কাছে এলে তিনি উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তাকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ বখতিয়ার উদ্দিন জানান এটা তার দপ্তরের বিষয় নয় বন বিভাগের। তারপরও তিনি বানরটি আটকের জন্য ইউএনওর কাছে খাঁচা তৈরি করে এবং জনবল দিতে বলেন। এ কথায় ইউএনও তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে যান এবং ফোনে রাগারাগি করেন। এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত জাহান জানান, বানরটি আটক করে বাবুগঞ্জের দুর্গা সাগর পর্যটন এলাকার বাগানে ছেড়ে দেওয়ার জন্য তিনি প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বললে তিনি খাঁচা ও জনবল দাবি করে অসৌজন্যতা দেখিয়েছেন। এদিকে ইউএনও ও প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার মন-মালিন্যতার কারণে বানরটি আটক করা সম্ভব না হওয়ায় এলাকাবাসীর ভোগান্তি হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ