Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মৌলভীবাজারে পুলিশের অভিযান নিহত কোনো ‘জঙ্গির’ লাশ নেয়নি পরিবার : নাজমুলের বাড়ি নোয়াখালী

| প্রকাশের সময় : ৫ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

এস এম উমেদ আলী : মৌলভীবাজারের পৌর এলাকার বড়হাটে ‘জঙ্গি আস্তানা’য় নিহত তিন ‘জঙ্গি’র একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। মনোয়ারা বেগম নামে এক নারী একজনের লাশ শনাক্ত করে জানিয়েছেন, নিহত ব্যক্তি তার ছেলে, নাম আশরাফুল আলম নাজিম।
মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় মনোয়ারা বেগম মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে তার ছেলে নাজিমের লাশ শনাক্ত করেন। তিনি মঙ্গলবার সকালে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার কুমারঘড়িয়া থেকে হাসপাতালে আসেন। তার সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় দেউটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোতাহার হোসেন ও মোতাহার হোসেনের স্ত্রী পান্না বেগম।
তারা নাজিমকে শনাক্ত করেন। তবে বাকি দুজনের লাশ শনাক্ত করা হয়নি। ওই দুজনকে তারা চেনেন না বলে জানান।
মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহজালাল বলেন, ‘মনোয়ারা বেগম লাশ তিনটি দেখে একটি শনাক্ত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, সেটা তার ছেলে। কিন্তু বাকি দুটি লাশ শনাক্ত করা যায়নি। লাশ গ্রহণে আপত্তি জানান। তিনি জানান, সে দেশের বিরুদ্ধে কাজ করেছে, ন্যক্কারজনক কাজ করেছে, এমন ব্যক্তির লাশ তিনি গ্রহণ করবেন না।’
পরে মৌলভীবাজার মডেল থানায় নাজিমের মা মনোয়ারা বেগম জানান, তার দুই ছেলে ও পাঁচ মেয়ে। ছেলেদের মধ্যে নাজিম ছোট। প্রায় ১২ বছর আগে নাজিমের বাবা সুলতান আহমদ মারা যান। সাত-আট মাস আর্গে নাজিম তার মাকে ফোনে কথা বলে ও জানায় ঢাকার একটি মাদরাসায় লেখাপড়া করে, সে ভালো আছে। মনোয়ারা বেগম আরো জানান, তার মেয়ে নাজমা আক্তারকে বিয়ে দেয়া হয়। পর তার স্বামীর সাথে ডিভোর্স হয়। গত এক মাস থেকে নাজমা নিখোঁজ রয়েছে।
অপরদিকে দিনাজপুরের নিহত শিরিনের পিতা আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, গতবুধবার রাত ১২টার পর অপরিচিত নাম্বার থেকে ফোন আসে, আমি রিসিভ করলাম। তার নাতিন আমেনা কথাবলে ও পরে তার মেয়ে শিরিনা তার সাথে কথা বলে ক্ষমা চায়। পরে একই ফোনে তার মেয়ে শিরিনা তার কাছে ক্ষমা চেয়ে বলে এটি তোমাদের সাথে শেষ কথা। আর দেখা বা কথা হবে না। আর দেখা হবে কিয়ামতে। মৌলভীবাজার মডেল থানায় সাংবাদিকদের কাছে একথাগুলো বলেন আবু বক্কর সিদ্দিক।
তিনি আরো জানান, লাশ দেখে তিনি চিনতে পারেননি। নাসিরপুরের বাড়িতে পাওয়া একটা গ্রæপ ছবি পুলিশ দেখালে মেয়ে-মেয়ের জামাই ও নাতিনদের তিনি শনাক্ত করেন।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মৌলভীবাজার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ