Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাবিতে দুই হলের ছাত্রলীগ কর্মীদের মারামারি

| প্রকাশের সময় : ৫ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

জাবি সংবাদদাতা : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-বেরুনী হল সম্প্রসারিত ভবন শাখা ছাত্রলীগের এক কর্মীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে শহীদ রফিক-জব্বার হল শাখা ছাত্রলীগের জুনিয়র কর্মীরা। গতকাল মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার ছাত্রলীগ কর্মী হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়েল একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স সিস্টেম বিভাগের ৪২তম আবর্তনের শিক্ষার্থী ইমরান খান সোহান। মারধরকারী ছাত্রলীগ কর্মীরা হলেন, শহীদ রফিক জব্বার হলের জিতু, আহনাফ, বাপ্পীসহ আরও ৪-৫ জন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সোহান তার বান্ধবীকে নিয়ে মেডিক্যালের সামনের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। এসময় শহীদ রফিক-জব্বার হলের কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী সোহানের ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালায়। রড দিয়ে পিটিয়ে মাথা ও পিঠে জখম করে। ঘটনাস্থলে থাকা কয়েকজন শিক্ষার্থী তাকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
ঘটনার সূত্রপাত, সোমবার রাতে রাজু মাহমুদ নামের আল-বেরুনী হল সম্প্রসারিত ভবন শাখার এক ছাত্রলীগ কর্মী ফজিলাতুন্নেচ্ছা হলের পার্শ্ববর্তী রাস্তা দিয়ে সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এসময় শহীদ রফিক-জব্বার হলের ৪৪তম আবর্তনের ৫-৭ জন ছাত্রলীগ কর্মী রাস্তা দখল করে হাঁটছিলেন। তখন রাজু তাদেরকে জায়গা ছেড়ে দিতে বললে তারা খারাপ আচরণ করেন। একপর্যায়ে বাগিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন তারা। এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর শহীদ রফিক-জব্বার হলের ছাত্রলীগ কর্মীরা আল-বেরুনী হল সম্প্রসারিত ভবনের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় হলটির কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী তাদেরকে মারধর করে। এ ঘটনা নিয়ে হল দুটির মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো.জুয়েল রানা তাদেরকে নিবৃত্ত করেন। কিন্তু সভাপতির নির্দেশনা না মেনে পরেরদিন সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে তারা আল-বেরুনী হল সম্প্রসারিত ভবনের ছাত্রলীগ কর্মী ইমরান খান সোহানকে পিটিয়ে আহত করে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জুয়েল রানা বলেন, ঘটনা জেনেছি। দোষীদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহা বলেন, ‘অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ