Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফরম পূরণে অতিরিক্ত ও প্রবেশপত্র বিতরণে অর্থ আদায়ের অভিযোগ

| প্রকাশের সময় : ৫ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা অধিদফতরের নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় সিতাইকুন্ড নেছারউদ্দিন তালুকদার স্কুল অ্যান্ড কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রবেশপত্র বিতরণে টাকা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। পরীক্ষার্থী রাব্বি হাওলাদার, তরিকুল ইসলাম, আশিক তালুকদার, শামিম শেখ, অভিভাবক হৃদয় শিকদার, মিরাজ ইসলাম, সুমন খান স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে দেয়া এক অভিযোগপত্রে বলেন, অধ্যক্ষ আশুতোষ বিশ্বাসের নির্দেশে কলেজের অফিস সহকারী ইজাবুল হাওলাদার, নিপা বেগম ও মশিউর রহমান প্রবেশপত্র প্রদানের সময় নিয়মিতদের কাছ থেকে ৫৫০ ও অনিয়মিতদের কাছ থেকে ৭০০ টাকা নিয়েছে। এ বছর কলেজটি থেকে ১০৮ জন পরীক্ষার্র্থী অংশগ্রহণ করেছে। অপরদিকে ফরম পূরণের সময় যারা দুই বিষয়ে ফেল করেছে তাদের কাছ থেকে ৫০০০ টাকা এবং যারা সব বিষয়ে সাফল্য হয়েছে তাদের কাছ থেকে ৩৫০০ টাকা আদায় করেছে। এভাবে প্রতি বছর গ্রামাঞ্চলের গরিব শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। এ পর্যন্ত অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বলে তারা আরো উৎসাহিত হয়ে অনিয়ম আর দুর্নীতিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে প্রতিষ্ঠানটি। অভিভাবক মিঠু শিকদার বলেন, স্কুলটিতে ষষ্ঠ, ৭ম ও ৮ম শ্রেণীতে বেতন ১০০ টাকা এবং নবম ও দশম শ্রেণীতে ১৫০ টাকা বেতন নিয়মিত পরিশোধ করার পরও ক্লাস পরিবর্তন (ভর্তিতে) ৫৫০ টাকা ও বই বিতরণে ২০ টাকা করে নিয়েছেন। বর্তমানে স্কুলে শিক্ষার্থীদের প্রথম সাময়িক পরীক্ষা চলছে, পরীক্ষা দেয়ার জন্য ৪৫৫ টাকা করে পরিশোধ করতে হয়েছে। এ বিষয়ে নেছার উদ্দিন তালুকদার স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আশুতোষ বিশ্বাস বলেন, অতিরিক্ত কোনো টাকা নেয়া হয়নি। অপরদিকে ভাঙ্গারহাট কাজী মন্টু মহাবিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষার্থীদের ৭০০ ও অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১০০০ টাকা করে আদায় করা হয়েছে। এ কলেজ থেকে এ বছর ৩৫৭ জন পরীক্ষার্র্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। পরীক্ষার্থী সুমন বিশ্বাস জানায়, ২০১৬ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় এক বিষয়ে ফেল করে এ বছর ওই পরীক্ষা দেয়ার জন্য প্রবেশপত্র প্রদানে ৭০০ টাকা নিয়েছে। কফিল, ও অনিমা বিশ্বাস জানায়, তাদের কাছ থেকে প্রথমে ১০০০ টাকা নেয়া হয়েছিল, পরে ৫০০ টাকা করে নিয়েছে। এভাবে প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে ৫শ’ থেকে ১ হাজার ৭শ’ টাকা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে। একাধিক অভিভাবক ও শিক্ষার্থী বলেন, এ ছাড়াও ফরম পূরণে, ভর্তিতে, উপবৃত্তি প্রদানে নিয়মবহির্ভূতভাবে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে। কলেজের এক শিক্ষক বলেন, প্রবেশপত্র প্রদানে টাকা নেয়ার কোনো বিধান নেই, কিন্তু বিভিন্ন খরচ দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করা হচ্ছে। ভাঙ্গারহাট কাজী মন্টু মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ বিমলেন্দু সরকার বলেন, বিধান না থাকলেও আমাদের তো কেন্দ্র আছে বকেয়া আদায় করতাম। ইউএন সাহেব এসে বকেয়া নেয়া যাবে না বলে জানালে আমরা ৫শ’ টাকা করে নিয়েছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ