বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
স্টাফ রিপোর্টার : সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে স্থানীয় সরকারের দ্বিতীয় দফার করা সাময়িক বরখাস্ত করার আদেশ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। গতকাল সোমবার রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি আতাউর রহমান খানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। আদালতে আরিফুলের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন, সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার আবদুল হালিম কাফি। পরে স্থগিতাদেশের বিষয়টি আইনজীবী আবদুল হালিম কাফি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন। গত রোববার মেয়র আরিফুলকে বরখাস্ত করেছিল স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এর পরদিন সোমবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সেই বরখাস্তের আদেশ স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন তিনি। সেই আবেদনের শুনানি করে আদালত এই স্থগিতাদেশ দিলেন।
প্রথমবার সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার প্রায় দুই বছর পর ২ এপ্রিল উচ্চ আদালতের নির্দেশে আরিফুল নগর ভবনে যান। বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত মেয়রের চেয়ারে বসা ছিলেন তিনি। এর মধ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ পৌঁছায়।
আদেশে বলা হয়, সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে আওয়ামী লীগ নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের জনসভায় বোমা হামলার মামলায় অভিযুক্ত হওয়ায় তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। আদেশটি ঢাকা থেকে পাঠানো হয় ফ্যাক্সযোগে।
বিশেষ ট্রাইব্যুালে চলা এ মামলাটি হচ্ছে সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে জনসভায় বোমা হামলার মামলা। ২০০৪ সালের ২১ জুন সুনামগঞ্জে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের জনসভায় বোমা হামলার ঘটনার দীর্ঘ প্রায় ১২ বছর পর মেয়র আরিফুলকে গ্রেফতার দেখানো হয়। এ মামলার সম্পূরক অভিযোগপত্রে তাঁকে অভিযুক্ত করা হয়।
আরিফুল হক চৌধুরী ২০১৩ সালের ১৫ জুন অনুষ্ঠিত সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিপুল ভোটে মেয়র নির্বাচিত হন। মেয়রের দায়িত্ব পালনের মাত্র নয় মাসের মাথায় সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলায় সম্পূরক অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি হয়ে দুই বছর চার দিন কারাভোগ করেন। গত ৪ জানুয়ারি সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান তিনি।
পদ ফিরে পাওয়ায় কৃতজ্ঞ আরিফ
সিলেট থেকে : গতকাল (সোমবার) দুপুরে উচ্চ আদালতে করা এক রিটের প্রেক্ষিতে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে আবারো বহাল হয়েছেন আরিফুল হক চৌধুরী।
নতুনভাবে মেয়র পদে বহাল হওয়ার পর তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি আল্লাহ পাকের শুকরিয়া আদায় করে বলেন- ‘সিলেট সিটি কর্পোরেশনের জনগণের নির্বাচিত মেয়র হিসেবে আমি ২ এপ্রিল মহামান্য আদালতের নির্দেশ এবং মন্ত্রণালয়ের প্রেরিত চিঠি মোতাবেক দীর্ঘ প্রায় ২৭ মাস পর পুনরায় মেয়র হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করি। সে সময় আপামর জনগণের মধ্যে আমি যে উচ্ছাস ও আবেগ দেখেছি এবং তাদের স্বতঃফ‚র্ত সহযোগিতার বহিঃপ্রকাশ দেখে আমি অভিভ‚ত হয়েছি, এজন্য আমার সুখ-দু:খের সাথী আমার সম্মানিত নগরবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।
এ ছাড়া সিটি কর্পোরেশনের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং কাউন্সিলরবৃন্দ পুনরায় দায়িত্ব গ্রহণকালে যে অভাবনীয় অর্ভ্যথনা জানিয়েছেন তা আমাকে আরও বেশি আবেগাপ্লুত করেছে। কর্মকর্তাদের ফুলেল অর্ভ্যথনার পাশাপাশি সিলেট জেলা বার এসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন এবং গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ যেভাবে অকুন্ঠ সমর্থন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সেজন্য আমি আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ প্রকাশ করছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।