রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
চাটমোহর (পাবনা) উপজেলা সংবাদদাতা : কালের বিবর্তনে চাটমোহরসহ চলনবিলাঞ্চল থেকে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকি। এখন আর নবান্ন উৎসব, পৌষ পার্বণ কিংবা বিশেষ কোনো অনুষ্ঠানে ঢেঁকিতে ধান ভানার শব্দ শোনা যায় না। বর্তমানে এই অঞ্চলের গুটিকয়েক বাড়িতে ঢেঁকি দেখা যায়। অথচ এক সময় চাটমোহরসহ চলনবিলের প্রতিটি কৃষক পরিবারেই ধান ভানাতে ঢেঁকির প্রচলন ছিল। সে সময় পরিবারের নারীরা ধান, গম, ভুট্টাসহ বিভিন্ন শস্য ভাঙার কাজ ঢেঁকিতেই করত। বিশেষ করে শবেবরাত, ঈদ, পূজা, নবান্ন উৎসব, পৌষ পার্বণসহ বিশেষ বিশেষ অনুষ্ঠানে পিঠা-পুলি খাওয়ার জন্য অধিকাংশ বাড়িতে ঢেঁকিতে চালের আটা তৈরির ধুম পড়ে যেত। সে সময় গ্রামের বধূদের ধান ভানার গান আর ঢেঁকির ছন্দময় শব্দে চারদিকে হৈচৈ পড়ে যেত। বাড়িতে চলত জামাই-মেয়ের আড্ডা। তাছাড়া সুদূর অতীতে এলাকার বড় কৃষকরা আশপাশের দরিদ্র নারীদের টাকা দিয়ে ঢেঁকিতে আটা ভাঙিয়ে নিতেন। আবার অনেক দরিদ্র পরিবার ঢেঁকিতে চাল ভাঙিয়ে হাটে-বাজারে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করত। আর ঢেঁকিতে ভাঙা পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু চালের বেশ কদর ছিল। কিন্তু কালের বিবর্তনে ধান-গম ভাঙা যন্ত্র আবিষ্কারের ফলে গ্রাম-বাংলার সেই ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকি আজ বিলুপ্তির পথে। গ্রাম-গঞ্জের দু-একটি বাড়িতে এখনো ঢেঁকি দেখা গেলেও অদূর ভবিষ্যতে ঢেঁকির প্রচলন থাকবে না বলে মনে করেন এলাকার সচেতন মহল। আধুনিক যন্ত্রপাতির আবির্ভাবে কালের গর্ভে ঢেঁকি হারিয়ে যাচ্ছে। তারপরও সেই ঢেঁকির কদর প্রত্যন্ত অঞ্চলের দু-একটি বাড়িতে এখনো দেখা যায়। তবে ঢেঁকিছাটা চালে আমিষের যে আধিক্য ছিল যন্ত্রে ভাঙা চালে তা পাওয়া যায় না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।