রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
খলিল সিকদার, রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) থেকে : স্থানীয় সরকার ও পল্লি উন্নয়ন (এলজিইডি)র অধীনে রাস্তা প্রশস্তের কাজ চললেও একই রাস্তার মাঝখানে নারায়ণগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিদ্যুতের খুঁটির কারণে কাজে না আসার শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। ফলে যাত্রী ভোগান্তি ও যানজট নিরসনে জন্য রাস্তার প্রশস্ততা অর্থহীন হয়ে পড়েছে বলে দাবী করছেন তারা। সরেজমিন দেখা যায়, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার রূপসী হতে কাঞ্চন সড়কের উভয়পাশে সওজের রাস্তা ৩ফুট করে ৬ ফুট বৃদ্ধির কাজ করছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। তবে একই রাস্তার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নারায়ণগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির একটি লাইন পূর্ব থেকেই চলমান থাকায় প্রশস্তকরণ কাজ অর্থহীন হয়ে পড়ছে বলে মনে করেন স্থানীয়রা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রূপসী হতে কাঞ্চন সড়কের উভয় পাশে প্রায় অর্ধশতাধিক শিল্প কারখানা ও রাজধানী ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হিসেবে জনগুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত। ফলে একই রাস্তা দিয়ে এসব শিল্পকারখানার পণ্যবাহী লরি, ট্রাক ও সাধারণ যাত্রী পরিবহন সার্ভিস চালু থাকায় নিত্যযানজটের কবলে জনভোগান্তি চরমে পৌঁছে। অন্যদিকে রাস্তাটি অপ্রশস্ত থাকায় স্থানীয় লোকজন ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকরা বিগত বছর স্থানীয় জনপ্রতিনিধি মাধ্যমে আবেদন করে আসছিলেন। তবে কর্তৃপক্ষ আবেদনে সাড়া দেয়ায় সম্প্রতি এ রাস্তাটির উভয়পাশে প্রশস্তের কাজ বরাদ্দ আসে এবং কাজ চলে পুরোদমে। তবু এ পথের যাতায়াত হয়রানির শিকার হওয়া মানুষের ভোগান্তির যেন শেষ নেই। সূত্র জানায়, প্রতিদিন মুড়াপাড়া বাজার এলাকা থেকে রূপসীর সিটি মিল এলাকা পর্যন্ত দীর্ঘ যানজটের কবলে নাকাল পরিস্থিতি তৈরী হয়। এদিকে মুড়াপাড়া বাজারে আরএফএলসহ সিকদার, ক্রিস্টাল সল্ট ও কাঞ্চন পৌর এলাকার হাশেম পেপার মিলস, পারটেক্স সুগারসহ অর্ধশতাধিক শিল্পকারখানার অবস্থান থাকায় এ রাস্তায় স্বাভাবিক যানজটের শিকার হন স্থানীয়রা। ফলে এ জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটির উভয়পাশে প্রশস্তের কাজ চলে পুরোদমে। এদিকে জনসাধরাণ এ পথেই ভোগান্তি নিয়ে জীবিকার তাগিদে পথ চলেন । সূত্র আরো জানায়, কাঞ্চন পৌর এলাকার পৌরবাজার সংশ্লিষ্ট বিদ্যুতের খুঁটি পূর্ব থেকেই বহাল ছিল। তবে স্থানীয় সরকার বিভাগ (এলজিইডি) ও নারায়ণগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের সমন্বয় থাকায় সেখানকার খুঁটিগুলো সড়িয়ে নেয়া হয়েছে। তবে মুড়াপাড়া রূপসী অংশের খুঁটিগুলো পূর্বের মতই বহাল থাকায় রাস্তা প্রশস্তকরণ অর্থহীন হয়ে পড়ছে বলে মরে করছেন স্থানীয়রা। তারা মনে করছেন উভয় প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়হীনতায় রাস্তা প্রশস্ত হলেও কার্যত সুবিধা পাবেন না তারা। ফলে নিত্যদিনের যানজট ভোগান্তি বেড়েই চলছে। এসব বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের রূপগঞ্জ শাখার জোনাল ম্যানেজার মকবুল হোসেন বলেন, রূপসী কাঞ্চন সড়ক এলাকার বেশকিছু শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ফলে এখানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে এলজিইডি বিভাগ আমাদের না জানিয়ে রাস্তা প্রশস্তকরণ কাজ করায় এখন পর্যন্ত এ খুঁটি সরানোর কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। তবে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এদিকে উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী নাসির উদ্দিন বলেন, বিদ্যুতের খুঁটি সরানোর বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগে চিঠি দেয়া হয়েছে। সময়মত তা সরানো হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি। একই বিষয় পবিস কতৃপক্ষ অস্বীকার করে বলেন, আমাদের এখন পর্যন্ত জানানো হয়নি বা কোন চিঠি পাইনি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশ পেলে অবশ্যই খুঁটিগুলো সরানো হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।