পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বিজি প্রেস থেকে প্রশ্ন ফাঁস বন্ধ হলেও শিক্ষকদের মাধ্যমে এখন তা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেন, অনেক কষ্টে বিজি প্রেস থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস করা বন্ধ করা গেছে। কিন্তু শিক্ষকরা টাকার জন্য এমসিকিউর উত্তর বলে দিচ্ছেন। প্রশ্নের ছবি তুলে ফেসবুকে ছড়িয়ে দিচ্ছেন। এভাবে হলে তো প্রশ্নফাঁস বন্ধ করা সম্ভব না। গতকাল (রোববার) এইচএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে রাজধানীর ঢাকা কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কিছু অসাধু শিক্ষক প্রশ্নফাঁসে জড়িত বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। শুধু শিক্ষকরা নয়, কলেজের প্রিন্সিপাল পর্যন্ত প্রশ্নপত্র ফাঁসের সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তারা টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন ফাঁস করছেন। তাদেরকে চিহ্নিত করা হচ্ছে। সময়মত তাদেরকে জনসম্মুখে প্রকাশ করা হবে। শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, অভিভাবকরা প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়ে কথা বলেন না, প্রতিবাদ করেন না। তাই প্রশ্ন ফাঁস পুরোপুরি বন্ধ হচ্ছে না। প্রশ্ন ফাঁস বন্ধে অভিভাবকদের কার্যকরী ভ‚মিকা থাকতে হবে’। বিজি প্রেস থেকে প্রশ্ন ফাঁসের সুযোগ নেই উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বিজি প্রেসের খোলনলচে পাল্টে দেয়া হয়েছে। এখান থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনো সুযোগ নেই। এখন কিছু শিক্ষক এর সাথে জড়িত হয়ে গেছে। কিছু অভিভাবক ফাঁস হওয়া প্রশ্ন খোঁজেন। তাঁরা তাদের ছেলেমেয়েদের পড়তে উৎসাহিত না করে এ পথে নিয়ে আসেন। তিনি বলেন, পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের সাথে কেউ জড়িত হলে তারা রেহাই পাবে না। সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। কোনো ছাড় দেয়া হবে না। তিনি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। নাহিদ বলেন, স্মার্ট ফোন সঙ্গে রাখার কারণে তিন শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এরা হলেন- হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজের আব্দুর রশিদ এবং মহাখালী টিএন্ডটি মহিলা কলেজের নাঈমা নাসরিন ও মাহবুবুর রহমান। এসময় মন্ত্রীর সাথে উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন এবং কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর। এবারের এইচএসসি, আলিম ও সমমান পরীক্ষায় মোট ১১ লাখ ৮৩ হাজার ৬৮৬ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। এদের মধ্যে ছাত্র সংখ্যা ৬ লাখ ৩৫ হাজার ৬৯৭ জন এবং ছাত্রী সংখ্যা ৫ লাখ ৪৭ হাজার ৯৮৯ জন। সারাদেশে মোট ২ হাজার ৪৯৭টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।