Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

আনোয়ারায় যান চলাচল বাধাগ্রস্ত যাত্রী সাধারণের সীমাহীন দুর্ভোগ

সড়ক দখল করে ভাঙ্গারি ব্যবসা

| প্রকাশের সময় : ৩ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

জাহেদুল হক, আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) থেকে : চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বটতলী রুস্তমহাটের পশ্চিমে সড়ক দখল করে দীর্ঘদিন ধরে চলছে ভাঙারি ব্যবসা। সড়কের উপর স্ত‚প করে রাখা ভাঙারি মালামালের কারণে যান চলাচলে বিঘœ ঘটছে। এতে করে জনসাধারণের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হলেও দেখার যেন কেউ নেই। জানা যায়, বটতলী রুস্তমহাটে শাহ্ মোহছেন আউলিয়ার (রহ.) মাজারের পশ্চিমে কালীবাড়ি সড়ক ও পূর্ব বরৈয়া সড়ক ঘেঁষে গড়ে উঠেছে আবদুল মালেক, হোসেন সওদাগর, বাবুল হক, শাহাদত হোসেন ও জাগির আহমদের পাঁচটি দোকান। সেখানে যত্রতত্র গাড়ি রাখা এবং রাস্তার উপর স্ত‚পাকারে ভাঙারি মালামাল রাখার কারণে প্রতিনিয়ত যানজট লেগে থাকে। তাছাড়া এসব ভাঙারি মালামাল রাস্তার উপর ফেলে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে সোজা অথবা চ্যাপ্টা করার কারণে সড়কের কার্পেটিং উঠে গিয়ে দীর্ঘস্থায়ীত্বে আঘাত পড়ছে। আর এসব ভাঙারি মালামালের ট্রাক রাস্তার উপর দাঁড় করিয়ে লোড-আনলোড করার সময় যানজট আরো প্রকট আকার ধারণ করে। যার কারণে এলাকার বিভিন্ন গন্তব্যে এ রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী সকল যানবাহনকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। অনেক সময় গাড়ির দীর্ঘ লাইন পড়ে যায়। সূত্র জানায়, উপজেলার রুস্তমহাট, চাতরী চৌমুহনী বাজারসহ আরো কয়েকটি স্থানে বেশকিছু ভাঙারি দোকান গড়ে উঠেছে। এসব ভাঙারি দোকানের সঙ্গে জড়িতদের বেশিরভাগই অপরাধমূলক কর্মকাÐের সাথে জড়িত। বিশেষ করে টোকাই জাতীয় কিছু লোক আছে যারা মানুষের বাসাবাড়িতে ঢুকে ভাঙারি মালামাল খুঁজে নিয়ে এসে দোকানগুলোতে বিক্রি করে। সুযোগ বুঝে এরা মানুষের ঘরে ঢুকে চুরিও করে থাকে। এসব টোকাইরা বিভিন্ন স্থান থেকে লোহালক্কড় চুরি করে থাকে। বিশেষ করে আনোয়ারায় গড়ে উঠা বিভিন্ন শিল্প-কারখানার যন্ত্রপাতিসহ জাহাজি ও পল্লী বিদ্যুতের তার চুরি করে নিয়ে আসে। কথিত আছে, এসব চুরির সঙ্গে পরোক্ষভাবে জড়িত স্থানীয় ভাঙারি ব্যবসায়ীরা। দিবালোকে প্রকাশ্যে রাস্তা দখল করে ভাঙারি ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। অথচ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নীরব ভ‚মিকা পালন করছে। এসব যেন দেখার কেউ নেই। যা সাধারণ মানুষকে ভাবিয়ে তুলেছে। আর ভাঙারি দোকানের মালামাল ও রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে থাকা তাদের ট্রাকের কারণে নিত্য যানজট ও ছোটখাটো দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে যানবাহনগুলো। এছাড়া বিভিন্ন ময়লা-আবর্জনা থেকে কুড়িয়ে আনা এসব ভাঙারি মালামাল পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্যও হুমকি। কারণ বিভিন্ন ক্লিনিক ও হাসপাতাল থেকে কুড়িয়ে আনা মারাত্মক প্রাণঘাতী ছোঁয়াচে রোগ সম্বলিত সিরিঞ্জ, স্যালাইনের খালি ক্যানসহ বাসাবাড়ির ময়লা-আবর্জনা থেকে আনা প্লাস্টিক সামগ্রীর জীবাণু বাতাসের মাধ্যমে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। সে সাথে আবাসিক এলাকায় ও রাস্তার পাশে গড়ে উঠা এসব ভাঙারি দোকানের রোগ-জীবাণু মানুষের শরীরেও ঢুকে মানুষকে অসুস্থ করে তুলছে। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গৌতম বাড়ৈ ইনকিলাবকে বলেন, খোঁজ নিয়ে শিগগিরই অভিযান পরিচালনা করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ