পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : আধুনিক বিশ্বে বিশাল সম্ভাবনাময় শিল্প হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে এলইডি লাইট কারখানা। বাংলাদেশেও রয়েছে এর অপার সম্ভাবনা। ব্যাপক বিদ্যুত সাশ্রয়ী এলইডি বাতি উৎপাদন করে নানাভাবে লাভবান হতে পারে দেশ। আমদানি হ্রাস করে বিপুল মুদ্রা সাশ্রয় সম্ভব। এছাড়া দেশীয় শিল্প বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে ব্যাপক কর্মসংস্থান এবং দক্ষ জনবল তৈরি হবে। কিন্তু এক্ষেত্রে স্থানীয় উদ্যোক্তারা প্রধান বাধা হিসেবে দেখছেন বিদ্যমান ভ্যাট কাঠামোকে। তাদের দাবি উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি দেয়া হলে দেশীয় বিনিয়োগের সুরক্ষা হবে এবং এ শিল্পের দ্রুত এবং অর্থবহ বিকাশ ঘটবে।
জানা গেছে, এনার্জি সেভিং বা সিএফএল (কম্প্যাক্ট ফ্লুর্যাসেন্ট লাইট) বাল্বের তুলনায় ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হচ্ছে এলইডি বাতি। সিএফএল বাল্বের উৎপাদন ও কাঁচামাল আমদানি ভ্যাটমুক্ত থাকলেও এলইডি লাইটের ক্ষেত্রে সেটা নেই। সম্প্রতি রাস্তা-ঘাট, অফিস-আদালত, স্কুল-কলেজ, বাসা-বাড়ি থেকে শুরু করে শিল্প-কারখানায় এলইডি বাল্ব, লাইট, প্যানেল লাইট, টিউব লাইট ইত্যাদির ব্যবহার শুরু হয়েছে। যার বেশিরভাগই আমদানি করা হচ্ছে। এই আমদানি নির্ভরতা কমাতে ইতোমধ্যে এগিয়ে এসেছেন বেশ কয়েকজন বাংলাদেশী উদ্যোক্তা। দেশেই গড়ে তুলছেন এলইডি লাইটের মতো উচ্চ প্রযুক্তিসম্পন্ন ভারী উৎপাদন শিল্প। এতে করে দেশে সম্ভাবনাময় এক নতুন শিল্প বিকাশের সুযোগ তৈরি হয়েছে। কিন্তু, এলইডি বাতি উৎপাদন শিল্পের বিকাশে এর উপর বিদ্যমান সমুদয় ভ্যাট অব্যাহতির দাবি জানিয়েছেন তারা।
সম্প্রতি, এ বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাছে একটি লিখিত সুপারিশমালা দিয়েছে প্রস্তাবিত বাংলাদেশ ইলেকট্রিক্যাল ইলেকট্রনিক্স এন্ড হোম এ্যাপ্লায়েন্স ম্যানুফ্যাকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন (বিইইএমইএ)। যেখানে এলইডি লাইট উৎপাদন শিল্প বিকাশের পথ সুগম করতে ভ্যাট অব্যাহতির দাবি জানানো হয়। বিইইএমইএ সূত্রমতে, বিদ্যুৎ ঘাটতি মোকাবেলায় সরকার প্রায় একদশক আগে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী সরঞ্জাম ব্যবহারের উপর গুরুত্বারোপ করে। তখন বাজারে আসে এনার্জি সেভিং বা সিএফএল বাল্ব। ট্রাংস্টেন বাল্বের পরিবর্তে সিএফএল বাল্ব ব্যবহার হওয়ায় ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয় হচ্ছে। তখন এনার্জি সেভিং বা সিএফএল বাল্ব ব্যবহারে জনসাধারনকে উদ্বুদ্ধ করতে সরকার সারা দেশে গ্রাহক পর্যায়ে বিনামূল্যে এনার্জি সেভিং বাল্ব বিতরণ করে। দাম ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে ২০১০ সালের ১০ই জুন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এক এসআরও (নম্বর: ২১৪-আইন/২০১০/৫৬৩-মূসক) জারির মাধ্যমে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী সিএফএল বাল্ব এর উপর আমদানি ও উৎপাদন পর্যায়ে সমুদয় ভ্যাট অব্যাহতি প্রদান করে। কিন্তু, সিএফএল’র চেয়েও ৫০-৬০ শতাংশ বেশি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এলইডি বাল্ব এর উপর আমদানি ও উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি নেই। ফলে প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করে এলইডি বাতি উৎপাদন কারখানা স্থাপনে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন দেশীয় শিল্পোদ্যাক্তা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।