পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : হিন্দু বৌদ্ধ খ্র্রিস্টান ঐক্য পরিষদ একটি সাম্প্রদায়িক সংগঠন। এ সংগঠন তৈরি হয়েছে মুসলমানদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করতে এবং সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিয়ে দেশে একটি দাঙ্গা বাধিয়ে ভারতীয় আগ্রসনের পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে। এ সাম্প্রদায়িক সংগঠনটিকে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রশ্রয় দিচ্ছে সুরঞ্জিত-গয়েশ্বর গংরা। এ সংগঠন মুসলমানদের পাশাপাশি সরকারের বিরুদ্ধেও চক্রান্ত করছে। তাই সরকারের দায়িত্ব বাংলাদেশে এ সংগঠনটির কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা। মিথ্যা কথা প্রচার করে এবং ধর্মীয় উস্কানি দিয়ে এ সংগঠনের মুসলিমবিরোধী নেতৃবৃন্দ এদেশের মানুষকে দেশে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে উস্কানি দিচ্ছে। বিভিন্ন ইসলামী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এদেশে গরু জবাই নিষিদ্ধ করার দাবির তীব্র প্রতিবাদ করে এসব কথা বলেছেন।
ইসলামী গবেষণা পরিষদ
সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদের সভাপতি হাফেজ মো. আবদুস সাত্তার বলেছেন, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ কেবল গরু জবাই-এর বিরুদ্ধেই নয়, এরা অহরহ মুসলমান, সরকার, সরকারী দল এবং মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে নানান মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এদের এসব অপপ্রচারের উদ্দেশ্য সরকারকে বিপাকে ফেলা এবং ধর্মীয় উস্কানি দিয়ে এদেশে একটি ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাজিয়ে ভারতীয় আগ্রাসনের মাধ্যমে এদেশেও রামরাজ্য প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু এসব গয়েশ্বর ও সুরঞ্জিত মার্কা নেতাদের জানা থাকা দরকার, এদেশের মুসলমানরা অভিভক্ত ভারত থেকে মুসলিম অধ্যুষিত পাকিস্তান পৃথক করেছিল, পরে বাংলাদেশও স্বাধীন করেছে। স্বাধীনচেতা মুসলিম দেশ বাংলাদেশের মুসলমানরা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ সম্পর্কে সম্যক ধারণা রাখে। এ সংগঠনের ইসলাম ও মুসলমান বিরোধী চক্রান্ত তারা চোখ বুঝে সব সময় সহ্য করবে না। সরকারের উচিত, সরকার, সরকারী দল এবং মুসলমানদের বৃহৎ স্বার্থরক্ষায় এ সংগঠনের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া।
বাংলাদেশ মুসলিম লীগ
হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ বাংলাদেশে গরু জবাই বন্ধ করার জন্য আইন করার দাবির সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ মুসলিম লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল আজিজ হাওলাদার ও মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের এক বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, ৯০ শতাংশ মুসলমানের ধর্মীয় অনুভূতিতে চরম আঘাত হেনে গরু কোরবানি ও জবাই’র বিরোধীতাকারীরা সুদূর পশ্চিমা মুল্লুকে সংবাদ সম্মেলন করে তথাকথিত হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ তাদের আরাধ্য ষোলোকলা পূরণে আরো কী চক্রান্ত করছে সরকারকে তা খুঁজে বের করতে হবে। তারা বলেন, সকল ধর্মপ্রাণ মানুষের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য আবাসভূমি এই বাংলাদেশ নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের অশুভ তৎপরতার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ মুসলিম লীগের নেতৃবৃন্দ। নেতৃদ্বয় বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সিংহভাগ সম্পত্তি নাকি সরকার দলীয়রা দখল করে নিয়েছে বলে ঐক্য পরিষদের গয়েশ্বর ও সুরঞ্জিত মার্কা নেতৃবৃন্দের অভিযোগ। মুসলিম লীগ নেতৃবৃন্দ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।