Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গভীর রাতে বৃদ্ধ নারীকে মারধর করে ছেলেকে আটকের প্রতিবাদে থানা ঘেরাও

| প্রকাশের সময় : ১ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

নলছিটি (ঝালকাঠি) উপজেলা সংবাদদাতা : মধ্য রাতে এক নারীকে মারধর করে বাড়ি থেকে তাঁর নিরাপরাধ ছেলেকে আটক করায় ঝালকাঠির নলছিটি থানার তিন পুলিশ কর্মকর্তার অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও থানা ঘেরাও করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। গতকাল  শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে টানা সাড়ে তিন ঘন্টা থানা ঘেরাও করে রাখেন উপজেলার কুলকাঠি ইউনিয়নের পাঁচশতাধিক নারী-পুরুষ।
বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে তৌকাঠি গ্রামের জাহাঙ্গীর মোল্লার ছেলে জসিম মোল্লাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে থানায় নিয়ে আসার পথে হ্যান্ডকাপসহ সে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার জের ধরে নলছিটি থানার চারজন এসআই ও দুইজন এএসআইর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে (সাড়ে ১২  টায়) তৌকাঠি গ্রামের সজিব হাওলাদারের বাড়িতে জসিম আশ্রয় নিতে পারে সন্দেহে অভিযান চালায়। জসিমকে ওই বাড়িতে না পেয়ে সজিবের ছোট ভাই রাজিবের হাতে গাঁজা ধরিয়ে দিয়ে তাকে আটক করে পুলিশ। বিনা কারণে ছেলে আটকের প্রতিবাদ করায় সজিবের মা সেলিনা বেগমকে (৫৫) মারধর করে পুলিশ। বৃদ্ধ এ নারীকে পিটিয়ে ও লাথি মেরে আহত করে তাঁর ছেলে রাজিবকে আটক করে থানায় নিয়ে আসার খবর  শুক্রবার সকালে জানাজানি হয়। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে কুলকাঠি ইউনিয়নের পাঁচ শতাধিক নারী পুরুষ একত্রিত হয়ে  বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে নলছিটি আসেন। এবং শহরের মুল মূল সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। খবর পেয়ে পুলিশ রাজিবকে ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। কিন্তু তারা রাজি হয়নি। পরে বিক্ষুব্ধ জনতা থানা ঘেরাও করে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের অপসারণের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে। এবং থানার সম্মুখের রাস্তায় অবস্থান নেয়। খবর পেয়ে দুপুর ১২টার দিকে ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুর রকিব নলছিটি থানায় আসেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আটক রাজিব ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে কয়েকজনের বক্তব্য শোনেন। পরে তিনি ঘটনার সাথে জড়িতদের বিচারের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারীরা কিছুটা শান্ত হয়। তবে মধ্য রাতে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে বৃদ্ধ নারীকে মারধরকারী নলছিটি থানার এসআই এসআই জসিম, জাকির ও এসআই ফিরোজের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত থানার সম্মুখে অবস্থানের ঘোষণা দেন বিক্ষোভকারিরা।



 

Show all comments
  • Mohammed Shah Alam Khan ২ এপ্রিল, ২০১৭, ৬:৩৮ এএম says : 0
    জসিম মোল্লা নামে একজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে থানায় নেয়ার পথে জসিম হ্যান্ডকাপ সহ পলিয়ে যায়। এরপর পুলিশ ঐদিন রাত ১২টা ৩০মিঃ তৌকাঠি গ্রামের সজিব হাওলাদারের বাড়িতে জসিমকে ধরতে গিয়ে না পেয়ে সজিবের ছোট ভাই রাজিবের হাতে গাজা ধরিয়ে দিয়ে তাকে পুলিশ আটক করলে তার মা প্রতিবাদ করায় পুলিশ তাকে মার ধর করে এমনকি লাথি মারে। পরদিন এটা জানাজানি হলে গ্রামের ৫ শতাধিক নারী পুরুষ এক হয়ে থানা ঘেড়াও করে এবং সড়ক প্রধিক্ষন করে আবার থানার সামনে অবস্থান করে। বৃদ্ধ মাতাকে পিটিয়ে লাথিমারে ৩ জন এসআই এদের অপসারণ না করে রাজিবকে মুক্তি না দিলে অবস্তান চলবে বলে ঘোষনা দেয় বিক্ষোভকারিরা। এইভাবে বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রাম যদি জেগে উঠে তাহলে পুলিশ তাদের ইচ্ছামত যাকে তাকে মিথ্যা অজুহাতে আটক করে পকেট ব্যবসা করতে পারবে না। এমনকি এধরনের কাজ করতে গেলে পুলেশকে অবশ্যই ভাবতে হবে। এতেকরে “দেশের রাজা পুলিশ” পুলেশের এই দাবীটাও চলে যাবে। আমার মনে হয় পুলিশের অত্যাচারে এমন একদিন আসবে যখন পুলেশকে জনগণের ভয়ে যুদ্ধের সাজে সেজে বের হতে হবে। আল্লাহ্‌ বাংলাদেশের পুলিশকে মিথ্যা বলা থেকে বিরত রাখে এবং সততার পথে চলার ক্ষমতা দেন। আমীন
    Total Reply(0) Reply
  • S.M Al-Amin ৫ এপ্রিল, ২০১৭, ৩:৪৪ এএম says : 0
    এখন দেশের সবচেয়ে বড় সন্ত্রাস হচ্ছে ................ এই অবস্থার পরিবর্তন হওয়া অতীব জরুরী।
    Total Reply(0) Reply
  • Md. Ismail hossain ৬ এপ্রিল, ২০১৭, ১০:৪৮ এএম says : 0
    এখন দেশের সবচেয়ে বড় সন্ত্রাস হচ্ছে ........
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ