রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ছাতক (সুনামগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : ছাতকে ভ‚মি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে একটি পরিবার মিথ্যা ও হয়রানি মামলায় চরম দুর্ভোগ করছেন। এভাবে প্রতিপক্ষের অব্যাহত মামলা-হামলার ভয়ে পরিবার এখন বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। কিন্তু ভয়ে কেউ এসব অপকর্মের প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কাছে এক লিখিত আবেদনে এ অভিযোগ করা হয়। গত ২৬ ফেব্রæয়ারি চরমহল্লা ইউপির মনিয়াশের গ্রামের মৃত গোলাম মোস্তফার পুত্র আব্দুর রউফের দেয়া আবেদনে বলা হয়, একই গ্রামের প্রভাবশালী মৃত হারিছ আলীর পুত্র আব্দুস সামাদ ও তার বাহিনী মিলে আব্দুর রউফের রেকর্ডীয় ভ‚মি জবর-দখলের উদ্দেশ্যে একের পর এক নানা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। এতে গত ৩১ জানুয়ারি সামাদ তার বাহিনীর লোকজন নিয়ে আব্দুর রউফের মালিকানা ভ‚মিতে জোরপূর্বক মাছ ধরতে গেলে বাধা দেয়ায় বসতঘরে হামলা ও ভাঙচুর করে। এ সময় প্রতিপক্ষের হামলায় পরিবারের মহিলাসহ অনেকে আহত হয়। হামলা শেষে যাবার পথে জখমিদের চিকিৎসা ও মামলা করলে প্রাণনাশের হুমকি প্রদর্শন করে। এরপর থেকে আব্দুর রউফ বাড়িঘর ছেড়ে পরিবার নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এতে সামাদ বাহিনী বাড়ি থেকে বাঁশ গাছ অবাধে কেটে নিয়ে যাচ্ছে। এদিকে পলাতক থাকার পরও গত ৪ ফেব্রæয়ারি সামাদের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী আমিরুন নেছার মৃত সন্তান প্রসব হয়। এ ঘটনায় ছাতক থানায় একটি সাজানো মিথ্যা মামলা দায়ের করলে এসআই আবু আফসার ভ‚ঁইয়া তদন্ত করে কোনো সত্যতা পাননি। কিন্তু রহস্যজনক কারণে ঘটনার ২০ দিন পরে তার ভাই নূরুল হক বাদী হয়ে আব্দুর রউফও মাহমুদ আলীসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা রেকর্ড করা হয়। এখন সামাদ বাহিনীর মামলা-হামলা ও অত্যাচার-নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে আব্দুর রউফের পরিবার। এ ব্যাপারে পরিবারটি প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।