Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বর্ষাকালে পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা হয় অফিসের কাগজপত্র

কাউখালী উপজেলা ডাকঘরের ঝুঁকিপূর্ণ ভবন

| প্রকাশের সময় : ১ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মাছুম বিল্লাহ্, কাউখালী (পিরোজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : ভেজা স্যাঁতসেঁতে ছাদ। পলেস্তারা খসে ছাদের রড বেরিয়ে গেছে। দেয়ালেও বড় বড় ফাটল। এই চিত্র পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলা ডাকঘরের। এরমধ্যেই ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। ছাদের পলেস্তারা খসে পরে আহত হয়েছে একাধিক গ্রাহক। সরেজমিন দেখা যায়, ডাকঘরের পলেস্তারা খসে ছাদের কয়েকটি স্থানে ঢালাইয়ের রড বের হয়ে গেছে। ছাদের বিমে ফাটল ধরেছে। সিলিং ফ্যানের হুকগুলোয় মরিচা ধরেছে। গত বছর হুক খুলে একটি সিলিং ফ্যান খুলে নিচে পড়ে যায়। তবে ওই দুর্ঘটনায় কেউ আহত হননি। এরপর সব ফ্যান খুলে রাখা হয়। কার্যালয়টির দেয়ালেও বড় বড় ফাটল ধরেছে। ভবনের মেঝের ঢালাই উঠে গিয়ে তা দেবে গেছে। বর্ষার সময় কার্যালয়ের কাগজপত্র সব সময় পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা হয়। বৈদেশিক ও ই-মোবাইলে টাকা লেনদেন এবং প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য ডাক বিভাগ কম্পিউটার দিয়েছে এ কার্যালয়ে। সেগুলো পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। দরজা-জানালাগুলো ভাঙা। বৈদ্যুতিক লাইনে সমস্যার কারণে প্রায় দুর্ঘটনার শিকার হয়। তিন কক্ষের এ জরাজীর্ণ ডাকঘরটিতে কার্যক্রম চালানো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। কার্যালয়ের পাশে পোস্টমাস্টারের আবাসিক ভবন। ওই ভবনটিরও একই অবস্থা। ডাকঘরে সঞ্চয় হিসাবের টাকা নিতে আসেন উত্তর বাজারের ওষুধ ব্যবসায়ী সাবেক আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু মাহমুদ ফরিদ ও স্টুডি ব্যবসায়ী অলোক কর্মকার। তারা বলেন, প্রতি মাসে একবার পোস্ট অফিসে আমাদের আসতে হয়। ভবনের ভেতরে বেশিক্ষণ থাকলে বুকের ভেতর ধড়ফড় করে। খানিক পরপর ছাদ থেকে বালু ঝুরঝুর করে মাথায় পড়ে। শিয়ালকাঠী গ্রামের শাহ আলম বলেন, ‘বেশি লাভের আশায় ব্যাংকে টাকা না রেখে পোস্ট অফিসে রেখেছি। অনেক দিন ধরে পোস্ট অফিসের এ অবস্থা। দেখে মনে হয় পোস্ট অফিসের কর্মকর্তারা নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছেন। দুর্ঘটনায় গ্রাহক মারা গেলে তাদেরই বা কী! কর্মরত পোস্ট মাস্টার মুজিবুর রহমান বলেন, তিনি দেড় বছর ধরে এ কার্যালয়ে দায়িত্ব পালন করছেন। চিঠিপত্রের কাজের চেয়ে এখানে টাকা লেনদেনের ভিড় বেশি। এ কার্যালয়টি প্রায় বিশ বছর আগে নির্মাণ করা হয়। চাকরি করেন বলে সবকিছু মেনে নিতে হচ্ছে। কোনো সুস্থ মানুষ এসব ভবনে থাকবেন না। তিনি একাধিকবার ভবনের এ দুর্দশা এবং। অবিলম্বে অফিসটি অন্যত্র স্থানান্তরের দাবি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন। কিন্তু কোনো ফল মেলেনি। এ দিকে পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এমপি কাউখালী উপজেলার প্রধান ডাকঘর জরাজীর্ণ ভবনটি পুনরায় নতুন ডিজাইনে নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ ডাক-বিভাগের মহাপরিচালকের নিকট গত ২০১৬ সালের ১৯ ডিসেম্বর আধা-সরকারিপত্র (ডিও লেটার) প্রদান করেন বলে একটি সূত্রে জানা যায়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ