Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রশাসনের কাছে নেই কোনো তালিকা

| প্রকাশের সময় : ১ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

অসংখ্য এনজিওর রঙিন সাইনবোর্ডে ছেয়ে গেছে তানোর, চলছে রমরমা প্রতারণা
তানোর (রাজশাহী) উপজেলা সংবাদদাতা : রাজশাহীর তানোর উপজেলা প্রশাসনের নাকের ডোগা দিয়ে আনাচে-কানাচে গড়ে উঠেছে ২ শতাধিক এনজিও। সরকারি অনুমোদন ছাড়া বিভিন্ন নামের রঙিন সাইনবোর্ড লাগিয়ে এনজিও খুলে বসেছে প্রতারক ব্যবসায়িরা। তানোর বাজারজুড়ে দেখা গেছে, বিভিন্ন পাড়ার ভেতরে ও বাজারে কিছু রুম ভাড়া নিয়ে রঙিন সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে বিভিন্ন রকমের সুযোগ-সুবিধার কথা বলে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে রাতারাতি উধাও হয়ে যাচ্ছে এইসব কথিত এনজিও। আর এসব এনজিওর বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার প্রলভনে পড়ে সাধারণ মানুষ খুয়াচ্ছে সর্বস্ব। তানোর উপজেলা প্রশাসনের নজর না থাকায় এইসব কথিত এনজিও দিনের পর দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে। কিন্তু যদি একটু প্রশাসনের নজর পড়ে এইসব কথিত এনজিওর দিকে তাহলে সাধারণ মানুষকে ভুয়া এনজিওর ফাঁদে পড়তে হবে না। গত বুধবার তানোর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, তানোরে সরকারি অফিস যত না আছে তার ৩ গুণ বেশি বেসরকারি এনজিও আছে। তানোর বাজারজুড়ে প্রায় ৫০ থেকে ৬০টি হরেকরকম সরকার অনুমোদনহীন বেসরকারি এনজিও রয়েছে। এছাড়াও তানোর মুন্ডুমালা, কৃষ্ণপুর, কলমা বিল্লি বাজার, চৌবাড়িয়া বাজার, মাদারিপুর বাজার, তালন্দ বাজার, কালীগঞ্জ হাট, চাঁন্দুড়িয়া বাজারসহ বিভিন্ন পাড়াগ্রামে বাড়ি ভাড়া নিয়ে দেদারছে চালাচ্ছে এসব সরকার অনুমোদনহীন কথিত এনজিও। এলাকাবাসীর অভিযোগ প্রশাসনের নজর না থাকায় যত্রতত্র বিভিন্ন নামকরণ দিয়ে সাধারণ মানুষকে ঠকাচ্ছে এইসব কথিত এনজিওগুলো। যদি প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে এসব এনজিও বসে তাহলে সাধারণ মানুষের মধ্যে সাহস থাকতো যে আমানত জমা রেখে সময় মতো আবার আমানত ফেরত পাব। কেননা উপজেলা প্রশাসনের নজরে আছে এইসব এনজিওগুলো বলে মনে করতেন সাধারণ মানুষ। তাই এলাকাবাসী এইসব কথিত এনজিওর ওপর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার জরুরি দৃষ্টি আকর্ষণ কামনা করছেন। এ ব্যাপারে সমাজ সেবা অফিসার মতিনুর রহমান জানান, ইতোমধ্যে উপজেলার সকল এনজিওর তালিকা শুরু করা হয়েছে। পুরো তালিকা হাতে পেলেই বুঝা যাবে সরকার অনুমোদনহীন কয়টি এনজিও আছে বলে জানান তিনি। এ বিষয়ে তানোর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শওকাত আলী জানান, সমাজ সেবা অফিসারকে উপজেলার সকল এনজিও তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছে। তালিকা হাতে পেলে এ সকল এনজিওর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ