বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
![img_img-1720192353](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678506381_AD-1.jpg)
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
যশোর ব্যুরো : যশোর শহরের বকচর এলাকার তরিকুল ইসলাম হত্যা মামলার ৪ আসামির আসামিকে নিম্ন আদালত কিশোর বলায় কারণ দর্শানোর আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মামলার বাদী নিহতের মা রাহিমা খাতুন ওই আদেশের বিরুদ্ধে দায়ের করা রিভিউশনের শুনানি শেষে বিচারক এ আদেশ দিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোরের কিশোর আদালতের পিপি ইদ্রিস আলী। এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার মামলার ধার্যদিনে মামলার বাদী রহিমা খাতুনকে অকথ্যভাষায় গালিগালাজ করেছেন আসামিরা। আদালতের বারান্দায় দাঁড়িয়ে আসামিরা তাকে খুন করে লাশ বস্তায় ভরে গুম করার হুমকি দিয়েছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২০ অক্টোবর সন্ধ্যায় বাদীর ছেলে তরিকুল ইসলামকে বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে শহরের মুড়লী জোড়া মন্দিরের কাছে কুপিয়ে হত্যা করে রাহিম ও আলিফসহ কয়েকজন। নিহতের মা রহিমা খাতুন এ ব্যাপারে ২২ অক্টোবর ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন। প্রথমে থানা এবং পরে ডিবি পুলিশ মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায়।
তদন্ত শেষে আটক আসামিদের দেয়া জবানবন্দি ও সাক্ষীদের বক্তব্যে হত্যার সাথে জড়িত থাকায় ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই আবুল খায়ের মোল্লা। অভিযুক্তরা হলোÑ শহরের নীলগঞ্জ তাঁতীপাড়ার আলী আকবার বাবু ওরফে লেদ বাবুর ছেলে রাহিম, বকচর হুশতলার শাজাহানের ছেলে কামরুল, বকচর এলাকার কামাল হোসেনের ছেলে সাদিউল আলিফ, আব্দুস সালাম টুলুর ছেলে মান্নু, বকচর কলোনির মৃত জামিল আকতারের ছেলে এসএম জাহাঙ্গীর আকতার, নুরুল হকের ছেলে ইকরামুল হক তুহিন, বকচর টিবি হাসপাতাল মোড়ের আবুল বাশারের ছেলে মনির, বারান্দী মোল্যাপাড়ার বাবু ড্রাইভারের ছেলে বুনো মিন্টু, শংকরপুরের চাতালের মোড়ের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে শিপন ওরছে লম্বা শিপন, সিটি কলেজপাড়ার আব্দুস সোবহানের ছেলে মোমিন এবং বকচর করিম পেট্রোল পাম্পের পাশের জাহঙ্গীর হোসেনের ছেলে সিফাত। এ মামলায় আটক রাহিম, সাদিউল আলিফ, মনির এবং সিফাতকে কিশোর উল্লেখ করে জামিনের আবেদন করা হয় আদালতে। বিচারক আসামিদের দেয়া বিভিন্ন কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে প্রত্যেকে জামিনের আদেশ দেন। বিচারক মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে গত ২৫ জানুয়ারি ধার্যদিনে ওই চারজন কিশোর হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে আলাদা অভিযোগপত্র দাখিলের আদেশ দেন। ফলে তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই আবুল খায়ের মোল্লা এ আদেশ পেয়ে ওই চারজনকে কিশোর উল্লেখ করে আদালতে আলাদা অভিযোগপত্র জমা দেন।
মামলার বাদী এবং নিহতের মা ওই দোষীপত্রের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিউশন করেন। ৯ মার্চ শুনানি শেষে গত ২৫ মার্চে যশোর কিশোর আদালতের দেয়া আদেশ স্থগিত ও কেন এ আদেশ বাতিল করা হবে না মর্মে দুই মাসের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। হাইকোর্টের আইনজীবী ড. ইউনুচ আলী আকন্দ স্বাক্ষরিত আদেশের একটি কপি বৃহস্পতিবার মামলার ধার্যদিনে পিপির মাধ্যমে আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নিহতের মা ও মামলার বাদী রহিমা খাতুন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।