বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মৌলভীবাজার জেলা সংবাদদাতা : মৌলভীবাজার শহরের পৌর এলাকার ৬নং ওয়ার্ডের বড়হাট এলাকার বাড়িটিকে ঘিরে এখন এলাকাবাসীর গভীর উৎকণ্ঠা। তারা কাটাচ্ছেন নির্ঘুম রাত। আতংকের মধ্যে রয়েছেন সারাক্ষণ। এদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বাড়িটিকে চারিদিক থেকে ঘিরে রেখেছেন বুধবার ভোরবেলা থেকে।
আজ বৃহস্পতিবার সরেজমিন বেলা সাড়ে ১২টায় বড়হাট এলাকার গ্যাস অফিস সড়ক দিয়ে পেছনের রাস্তায় স্থানীয় পৌর মেয়র ফজলুর রহমানের বাড়ির দিকে প্রবেশ করে দেখা যায়, মেয়রের বাড়ি থেকে প্রায় ১০০ গজ দূরত্বে জঙ্গিদের সেই বাড়িটির অবস্থান।
বাড়ির পেছন দিক থেকে দেখা যায় ওই বাড়িটি দোতলার গ্লাসটি ভাঙ্গা। পুলিশ বাড়িটিকে কেন্দ্র করে তার চতুর্দিকে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয় তৈরি করে রেখেছে এবং কাউকেই সেখানে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না।
জানা যায়, ২৯ মার্চ বুধবার বাড়িতে অবস্থান করা জঙ্গিরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লক্ষ্য করে একাধিকবার গ্রেনেড ছোড়ে। এ অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা গুলি ছুড়ে পাল্টা জবাব দেয়। তখন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে জঙ্গিদের বাড়ির পেছনের জানালার কাচগুলো ভেঙ্গে যায়। তবে পুলিশের অতিরিক্ত কড়াকড়ি ও বাধার কারণে ওই বাসা সম্পর্কে স্থানীয়দের কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি।
মেয়রের বাড়িতে অবস্থান করা স্থানীয়দের সাথে এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে তখন সেখানে দায়িত্বরত পুলিশের এক কর্মকর্তাসহ অন্য সদস্যরা ক্ষিপ্ত ওঠেন এবং স্থানীয়দের নিষেধ করেন সংবাদকর্মীদের সাথে কথা বলতে। এক পর্যায়ে তিনি স্থানীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আপনারা যার যার ঘরে চলে যান। সন্ধ্যার দিকে সেনাবাহিনী নামতে পারে। তার আগেই এক কিলোমিটার দূরত্বে আপনাদের প্রত্যেককে নিরাপত্তার স্বার্থে নিজ নিজ বাসা ছেড়ে সরে যেতে হবে।” এরপর সেখানে অবস্থান করা সংবাদকর্মীদের সেখান থেকে দ্রুত সরে যেতে নির্দেশ দেন তিনি।
স্থায়ীয় ব্যবসায়ী হারুনুর রশিদ জানান, এই বাড়িটি নির্জন এলাকাতে হওয়ায় ঐ বাড়িতে অবস্থান করা লোকদের সম্পর্কে স্থানীয়দের কোনো ধারণা নেই এবং ঐ রাস্তা দিয়ে স্থানীয়রা যাতায়াতও করে না।
তিনি আরো জানান, এই বাড়িকে কেন্দ্র করে তারাও অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছেন। গ্রেনেড বা গোলাগুলির আতংক তাদের তাদের তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে।
এদিকে মৌলভীবাজার শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে নাসিরপুর গ্রামে আরো একটি বাড়ি ঘিরে ফেলে পুলিশ। অনুসন্ধানের ভিত্তিতে জঙ্গি আস্তানার খোঁজ পায় পুলিশ। এমন সময় জঙ্গিরা ভেতর থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। বিকট শব্দে প্রকম্পিত হয় চারপাশ।
পুরো ঘটনাটি নিজের স্মার্টফোনে ভিডিও করেন স্থানীয় এক ব্যক্তি। তার থেকে ভিডিওটি সংগ্রহ করেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিক।
ভিডিওতে দেখা যায় গ্রেনেড ছোড়ার পর পুলিশ সদস্যরা আত্মরক্ষার্থে কাভার গ্রহণ করছেন। ভিডিও ধারণকারী ব্যক্তিও ভয় পেয়ে পিছিয়ে যাচ্ছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।