পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগে আগুনের ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির অভ্যন্তরীণ অনুসন্ধান কমিটি। গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে কমিটির প্রধান ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক আহমেদ জামাল গভর্নর ফজলে কবিরের হাতে এই প্রতিবেদনের কপি তুলে দিয়েছেন। এ তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহা। এদিকে গতকাল সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত ব্যাংক কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত দল। অগ্নিকাÐে কোন কর্মকর্তার গাফলতি ছিল কি না তা নিশ্চিত হতে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তারা। আজও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছেন ফায়ার ব্রিগেডের ঢাকা বিভাগের উপ-পরিচালক সমরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, যিনি তদন্ত দলের প্রধান।
শুভঙ্কর সাহা গতকাল সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে জানান, অভ্যন্তরীণ কমিটির রিপোর্ট সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে গভর্নরের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। তবে রিপোর্টে কী আছে, সে বিষয়ে কিছু জানাননি তিনি।
প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন তদন্ত কমিটির অন্য দুই সদস্য নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা বিভাগের মহাব্যবস্থাপক লে. কর্নেল (অব.) মো. মাহমুদুল হক খান চৌধুরী ও ব্যাংকের কমন সার্ভিস ডিপার্টমেন্টের মহাব্যবস্থাপক মো. তফাজ্জল হোসেন।
জানা গেছে, প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আগে গভর্নর ফজলে কবিরের সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক আহমেদ জামালের নেতৃত্বাধীন তদন্ত কমিটির সদস্যরা। এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান ও ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে আগুনের ঘটনায় ক্ষয়-ক্ষতির বিবরণ চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের কাছে চিঠি দিয়েছে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি। আগামী ৩০ মার্চের মধ্যে ক্ষয়-ক্ষতির বিবরণ চাওয়া হয়েছে। এছাড়া এই কমিটি আগুনের সময়কার বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগের সিসিটিভির ফুটেজও চেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে।
এ প্রসঙ্গে তদন্ত কমিটির প্রধান ও ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক (ঢাকা) সমরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস গণমাধ্যমকে বলেছেন, আগুনের সময়কার বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগের সিসিটিভির ফুটেজসহ ক্ষয়-ক্ষতির বিবরণ চাওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে।
এর আগে তিনি জানান, আগুনের ঘটনায় ব্যাংক কর্মকর্তাদের নাশকতার কোনও পরিকল্পনা ছিল না। তবে তাদের গাফিলতি ছিল। গতকাল দুপুরে ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত কমিটির সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন। পরে সাংবাদিকদের তিনি এসব তথ্য জানান।
এদিকে ফায়ার ব্রিগেডের ঢাকা বিভাগের উপ-পরিচালক সমরেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের নেতৃত্বাধীন কমিটি গতকাল ঘটনাস্থল বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৪তলা পরিদর্শন করে। পরে ব্যাংক কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন তারা।
বিকালে সমরেন্দ্রনাথ সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা এসেছি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জবানবন্দি নিতে। আজ (গতকাল) সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত যতজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা যায়, ততোজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করব। আর বাকিদের আগামীকাল (আজ) জিজ্ঞাসাবাদ করব। বিষয়টি সঠিকভাবে জানার জন্য এই জিজ্ঞাসাবাদ।”
এরইমধ্যে তদন্তের অনেক কাজ এগিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আশা করছি নির্ধারিত পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে পারব।”
সমেন্দ্রনাথ সাংবাদিকদের বলেন, “আমাদের প্রধান কাজ হচ্ছে আগুনটা কীভাবে লাগল তা খুঁজে বের করা। এদের (বাংলাদেশ ব্যাংক) কোনো গাফলাতি ছিল কি না তা তদন্ত করছি। আমরা প্রথম থেকে বলে আসছি যে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে। সেটা বৈদ্যুতিক কেটলি থেকে হতে পারে।”
তাদের প্রতিবেদনে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে জানিয়ে ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, “কোনো নিয়ম অমান্য করা হয়েছে কি না সেটাসহ বিস্তারিত উল্লেখ করা হবে। যদি কারও কোনো দুর্বলতা বা অনিয়ম থাকে সেটাও তুলে ধরা হবে।”
“তবে এটাকে নাশকতা হিসেবে দেখা হচ্ছে না। কারণ নাশকতার বেশ কিছু লক্ষণ থাকে, তা এখানে পাওয়া যায়নি।”
প্রসঙ্গত,গত বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ৯ টা ২০ মিনিটে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের ৩০ তলা ভবনের ১৪ তলায় আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিস এসে ৩০ মিনিটের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আলোচিত এই আগুনের ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ অনুসন্ধান কমিটি ছাড়াও তদন্ত করছে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি। এছাড়া ছায়া তদন্ত করছে র্যাব ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ইতোমধ্যে আগুনে পুড়ে যাওয়া কক্ষ থেকে বিভিন্ন আলামত নিয়ে গেছেন সিআইডির কর্মকর্তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।