Inqilab Logo

রোববার, ১৬ জুন ২০২৪, ০২ আষাঢ় ১৪৩১, ০৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

চট্টগ্রামে পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ বসতি ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ

| প্রকাশের সময় : ২৯ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

শতাধিক ঘরে গ্যাস বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন
চট্টগ্রাম ব্যুরো : মহানগরীর ১২টি পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের বর্ষার আগে সরিয়ে নেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে গতকাল (মঙ্গলবার) নগরীর লালখানবাজারের মতিঝর্ণা এলাকায় পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরত শতাধিক পরিবারকে অন্যত্র গিয়ে বসবাস করার জন্য সতর্ক করেছে জেলা প্রশাসন। বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে এ সতর্কতা জারি করা হয়। অভিযানে ওই এলাকার পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসরত প্রায় একশ’টি বাসাবাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আছিয়া খাতুন। তিনি বলেন, নিয়মিত মনিটরিং কার্যক্রমের অংশ হিসেবে লালখানবাজারের মতিঝর্ণা, বাটালী পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরতদের সতর্ক করা হচ্ছে। কেননা, এ এলাকার পাহাড়গুলো খুব ঝুঁকিপূর্ণ। বর্ষার বৃষ্টিতে এ এলাকায় পাহাড় ধসের আশঙ্কা থাকে বেশি। গত কয়েক বছরে সেখানে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে।
তিনি বলেন, বর্ষা মৌসুম আসার আগেই এখানে যারা বসবাস করছেন, প্রথমে তাদের সরে যাওয়ার জন্য আমরা অনুরোধ করছি। এছাড়া শাস্তিমূলকভাবে একশ’টি বাসাবাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে এবং একটি গভীর নলকূপ অপসারণ করা হয়েছে। এ বছর প্রথমবারের মতো সতর্ক করা হলো। তারা সরে না গেলে পরবর্তীতে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ের পাদদেশ থেকে তাদের উচ্ছেদ করা হবে।
অভিযানে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসরত বেশ কয়েকটি পরিবারের সদস্যদের ডেকে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার অনুরোধ জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। এ সময় পিডিবি সদস্যদের অবৈধভাবে বসবাসকারী বেশ কয়েকটি বাসাবাড়ির বিদ্যুৎ, পানির লাইনের সংযোগ বিছিন্ন করে দিতে দেখা যায়।
অভিযানে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুল হাসান, মাহমুদ উল্লাহ মারুফসহ পুলিশ, পিডিবির কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, প্রতিবছর বর্ষা আসার আগে পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি উচ্ছেদে তোড়জোড় শুরু হয়। বর্ষা থেমে গেলে সবকিছু চলে আগের মতো। নগরীর ১২টি পাহাড়ে কয়েক হাজার পরিবার বসবাস করছে। অবৈধভাবে গড়ে উঠা এসব বসতবাড়িতে গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানিসহ সবকিছুর সংযোগ রয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারী মোটা অংকের উৎকোচ নিয়ে এসব অবৈধ বসতিতে গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানির সংযোগ দিয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ