রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
মিরসরাই (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা : ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাই পৌর সদরে ময়লা-আবর্জনার স্ত‚পে বিপর্যস্ত জনজীবন। সৌন্দর্য বিনষ্ট হওয়ার পাশাপাশি দুর্গন্ধে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। ময়লা-আবর্জনার বর্জ্যে পথচারী ও মহাসড়কের যাতায়াতকারী যাত্রীদের নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে। মিরসরাই পৌর ব্যবস্থাপনা ছাড়াও মহাসড়কের পার্শ্বের উক্ত ময়লা-আবর্জনার স্ত‚পে ময়লা ফেলছেন স্থানীয় বাজারের ব্যবসায়ীরা। বিষয়টি যেন দেখে ও দেখছেন না মিরসরাই পৌর কর্তৃপক্ষ। চলতি বছরের জুলাই মাসে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ৪ লেন প্রকল্প উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের পর থেকে উন্মুক্ত করে দেয়া হয় মহাসড়কটি। মহাসড়কের মিরসরাই অংশের ২৮ কিলোমিটার অংশের বিভিন্ন স্থানে স্থানীয় বাজারের ময়লা-আবর্জনা ফেলে ভরাট করা হচ্ছে সড়ক ও জনপথের (সওজ) জায়গা। ময়লা-আবর্জনার কারণে মহাসড়কের সৌন্দর্য নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি মহাসড়কের পাশে অবস্থিত বাড়িতে বসবাস করা দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। মিরসরাই পৌর সদরের ডাকবাংলো নামক উক্ত স্থানের পাশ দিয়ে পথচারী ও মহাসড়কে যাতায়াতকারী যাত্রীবাহী বাসের যাত্রীরাও উৎকট গন্ধে অসুস্থ হয়ে পড়ছে বলেও জানা যায়। মহাসড়কের পার্শ¦বর্তী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নাক ধরে প্রতিদিন এ স্থানগুলো অতিক্রম হতে হয়। এছাড়া মহাসড়কের বড় দারোগারহাট, নিজামপুর, নয়দুয়ার, বড়তাকিয়া, মিরসরাই পৌর সদর, অচিমিয়ার ব্রিজ, মিঠাছরা বাজার ও বারইয়ারহাট পৌরবাজারের ময়লা ও মহাসড়কের পার্শ¦বর্তী স্থানগুলোতে ফেলা হয়। বিষয়গুলো নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে না মহাসড়ক কিংবা স্ব স্ব এলাকার সংশ্লিষ্ট কেউ। উপজেলার বড় বাজারগুলোর ময়লা-আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট স্থান না থাকায় ও সওজের পক্ষ থেকে বাধা না দেয়ার কারণে বেশিরভাগ স্থানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। তাছাড়া কিছু দুষ্কৃতকারী ইচ্ছে করে সওজের জায়গায় ময়লা-আবর্জনা ফেলে তা ভরাট করে সেখানে গড়ে তুলছেন দোকানপাট। মিঠাছরা বাজার পরিচালনা কমিটি মহাসড়কের মিঠাছরা অংশে ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে ভরাট হয়ে যাচ্ছে মহামায়া খাল। মিরসরাই কলেজের শিক্ষার্থী তৈাহিদুল ইসলাম বলেন, মিরসরাইয়ের সওজের ডাকবাংলোর সামনে মিরসরাই পৌর বাজারের ফেলা ময়লা-আবর্জনার গন্ধে যাতায়াত করা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। চট্টগ্রাম শহরে নিয়মিত যাতায়াতকারী সাহাবউদ্দিন বলেন, ময়লা-আবর্জনা ফেলায় সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে দেশের লাইফ লাইন বলে খ্যাত ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়কের। গন্ধের কারণে মহাসড়কে যাতায়াতকারী যাত্রীরা শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। তাই সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের উচিত মহাসড়কের পার্শ¦বর্তী জায়গাগুলো পরিষ্কার করে রাখা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়া আহমেদ সুমন বলেন, সড়কের পাশে ময়লা-আবর্জনা ফেলা মোটেও উচিত নয়। এতে করে পরিবেশ দূষণ, সড়কের সৌন্দর্য নষ্ট ও রোগ সংক্রমণ হয়। আমি বিষয়টি নিয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করব। মিরসরাই পৌরসভার মেয়র গিয়াস উদ্দিনের কাছে জানতে তিনি বলেন এই বিষয়ে পৌরসভার সকল কাউন্সিলরদের সাথে আলাপ করে খুব শিগগিরই যথাযথ ব্যবস্থা নেব। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ৪ লেন প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক জুলফিকুল আলী বলেন, কোনোভাবেই মহাসড়কের পাশে ময়লা-আবর্জনা ফেলা যাবে না। ইতোমধ্যে বারইয়ারহাট পৌর কর্তৃপক্ষকে সড়কের পাশে ময়লা-আবর্জনা না ফেলতে ৩ বার চিঠি দিয়েছি। ময়লাগুলো সরিয়ে ফেলতে দ্রæত তাদের নির্দেশ দেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।