পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : জঙ্গি নিয়ে জনগণের সঙ্গে সরকার বায়োস্কোপ খেলছে দাবি করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকার জঙ্গিবাদ ইস্যুকে জিইয়ে রেখে রাজনৈতিক মুনাফা তোলার চেষ্টা করছে। ভারতের সাথে প্রতিরক্ষা চুক্তির মতো স্পর্শকাতর বিষয়গুলো যখন সামনে আসলো তখনই জঙ্গিবাদের মতো ভয়ঙ্কর ইস্যুগুলোকে বায়োস্কোপের মতো জনগণের সামনে নিয়ে আসা হয়। সুতরাং সরকারই উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদকে গোপনে লালন-পালন করছে। গতকাল (সোমবার) রাজধানীর নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, সরকার নিজেদের ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে রাখার জন্যই জঙ্গিবাদ লালন করছে। জঙ্গিবাদ ইস্যুকে সরকার জনগণের কাছে অন্ধকারে রেখেছে। সরকার যদি প্রকৃত অর্থেই জঙ্গিবাদের নিধন চায় তবে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করুক। জঙ্গিবাদ নির্মূল করতে হলে দল-মত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ করে দানবীয় শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
ভারত প্রতিরক্ষা চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশকে উপনিবেশ রাষ্ট্র বানাতে চায় বলে মন্তব্য করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে প্রতিরক্ষা সমঝোতা স্মারকসহ ১৭টি চুক্তি সইয়ের জন্য চূড়ান্ত হয়েছে। সমঝোতা স্মারক প্রতিরক্ষা শিল্পে সহযোগিতা, এই শিল্পের বিকাশে যৌথ উদ্যোগ, প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি, মহাকাশ প্রযুক্তি, গবেষণা ও সামুদ্রিক অবকাঠামো উন্নয়নে একে অন্যকে সহযোগিতার কথা বলা হয়েছে। সত্যিকার অর্থে এ সব সমঝোতা স্মারকের পেছনে ভয়ঙ্কর উদ্দেশ্য লুকিয়ে রয়েছে। যা সরকার জনগণের কাছে প্রকাশ করছে না। তিনি বলেন, ভারত একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। সেখানে অনেক বুদ্ধিমান ব্যক্তি রয়েছেন। যদি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হয় তবে অবশ্যই বাংলাদেশের মানুষের চাওয়া-পাওয়ার দিকে নজর দেবে। সুতরাং তাদের যদি স্ট্রং কমনসেনস থাকে তাহলে তারা প্রতিরক্ষা চুক্তি করবে না। আর যদি করে তাহলে আমরা ধরে নেবো, ভারত চুক্তি করে বাংলাদেশকে উপনিবেশ রাষ্ট্র বানাতে চায়। ভারতের সাথে প্রতিরক্ষা চুক্তি হলে তা বাংলাদেশের জন্য মঙ্গলজনক হবে না উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, এটা হবে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতি চরম আঘাত। এতে বাংলাদেশের নিরাপত্তা ভারতের কাছে গুম করে দেয়া হবে।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে শাসক দলের নেতাকর্মীরা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে বলেও অভিযোগ করে রিজভী বলেন, বিএনপির প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের বিভিন্ন সময় হুমকি-ধামকি দেয়া হচ্ছে। ভোটের দিন যতোই ঘনিয়ে আসছে শাসকদের সন্ত্রাসী তৎপরতা ততোই বৃদ্ধি পাচ্ছে। নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন স্থানে বিএনপির নেতাকর্মীদের ও সাধারণ ভোটারদের মধ্যে ভীতি ছাড়াতে হুমকি-ধামকি দেয়া হচ্ছে। অনিয়মের অভিযোগ করেও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।