Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভারতে ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্রের মৃত্যু ঘণ্টা : হিন্দুত্বের বিজয় কেতন উড্ডীন

| প্রকাশের সময় : ২৮ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম


মোবায়েদুর রহমান : ভারতের উত্তর প্রদেশে রাজ্য বিধান সভা নির্বাচন হয়ে গেল। ফলাফলে দেখা গেল, ঐ রাজ্যে একটি ভূমিকম্প হয়ে গেছে। সেই ভূমিকম্পে রাজনৈতিক কাঠামো একেবারে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। এতদিন ধরে ধর্ম নিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্রের যে শ্লোগানে কংগ্রেস এবং অন্যান্য দল উত্তর প্রদেশকে বুলন্দ করে রেখেছিল সেই সমাজতন্ত্র এবং ধর্ম নিরপেক্ষতার অন্তিম সময় উপিস্থিত হয়েছে। তার জায়গায় জন্ম নিয়েছে এবং দ্রুত বিকাশ লাভ করছে হিন্দুত্ব। এবার মনে হচ্ছে হিন্দুত্ব টিকে যাবে। ভারতে হিন্দুত্বকে এলিট শ্রেণী Saffron Ideology  বলেও আখ্যায়িত করেন। Saffron-এর বাংলা হলো জাফরান। কিন্তু ধর্মীয় এবং রাজনৈতিকভাবে Saffron শব্দটি গেরুয়া বসনের সাথে সম্পৃক্ত। ভারতের সন্ন্যাসীরা গেরুয়া বসন পরেন। বিজেপি বা ভারতীয় জনতা পার্টির জন্ম হয়েছে আরএসএস বা রাষ্ট্রীয় সেবক সংঘের গর্ভ থেকে। আরএসএসের কট্টর নেতারা গেরুয়া বসনধারীদের মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ এবং উজ্জীবিত। ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাদের অন্যতম। তাদের অনেকেই নাকি কৈশোরে অথবা যৌবনের প্রারম্ভে সন্ন্যাস ব্রত অবলম্বন করেন। তাদেরই রাজনৈতিক শাখা ছিল প্রথমে জনসংঘ। পরে হলো ভারতীয় জনতা পার্টি।
যখন লাল কৃষ্ণ আদভানি বিজেপির সুপ্রিম লিডার ছিলেন তখন তিনি জগন্নাথের রথে চড়ে রাম মন্দির গঠনের সপক্ষে জনমত গঠন করেন। যেখানেই তিনি জনসভা করেছেন, সেখানেই তার মাথার ওপরে টাঙানো ছিল ভগবান রামের বিশাল ছবি। ঐ ব্যানার সাধারণ ব্যানারের চেয়েও কয়েক গুণ বড়। দলে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতায় নরেন্দ্র মোদি আদভানিকে আউট করেছেন সত্য কিন্তু আদভানির গেরুয়া আদর্শের সাথে মোদির কোনো অমিল নেই। বরং গেরুয়া বসনের রংয়ে রাঙানো আদর্শে নরেন্দ্র মোদি আদভানির চেয়েও এক কাঠি সরেস। আর উত্তর প্রদেশে বিশাল জয়লাভ করে মোদি এমন এক ব্যক্তিকে মুখ্যমন্ত্রী বানিয়েছেন যার নাম যোগি আদিত্য নাথ। আদিত্য নাথ সম্পর্কে রাজনৈতিক পÐিতদের ধারণা হলো, বাঁশের চেয়ে কঞ্চি দড়। অনেকে তাকে তুলনা করেন ১২ হাত কাঁকুড়ের ১৩ হাত বিচির সাথে। ইতোমধ্যেই হিন্দুত্ব নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যোগি আদিত্য নাথ এমন সব বচন ঝেড়েছেন যেগুলো শুনে সাধারণভাবে এবং বিশেষভাবে উত্তর প্রদেশের মুসলমানদের বুক কেঁপে উঠেছে।
নরেন্দ্র মোদি ২০০২ সালে গুজরাটে যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধিয়েছিলেন তার ফলে ২০০০ মুসলমানকে ঠাÐা মাথায় হত্যা করা হয়েছিল সেই নরেন্দ্র মোদির যোগ্য সাগরেদ হলেন যোগি আদিত্য নাথ। তবে উত্তর প্রদেশের বিশাল জয়ের পর নরেন্দ্র মোদি তথা বিজেপির বুক যে ১০ হাত ফুলে উঠবে তাতে আর অবাক হওয়ার কি আছে। সেখানকার বিজয় তো আর যে সে বিজয় নয়। দেখুন সেই বিজয়ের চেহারা।
\ দুই \
এই নির্বাচনী ফলাফল থেকে দেখা যায় যে, দাবার ছক সম্পূর্ণ পাল্টে গেছে। উত্তর প্রদেশের বিধান সভার মোট আসন সংখ্যা হলো ৪০৩। ২০১২ সালের নির্বাচনে এই বিধান সভায় কংগ্রেস পেয়েছিল ২৮টি আসন। এবার পেয়েছে মাত্র ৭টি আসন। ২০১২ সালে সমাজবাদী পার্টি পেয়েছিল ২২৪টি আসন। এবার পেয়েছে ৪৭টি আসন। ২০১২ সালে বহুজন সমাজ পার্টি পেয়েছিল ৮০টি আসন। এবার পেয়েছে ১৯টি আসন। আর ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপি ২০১২ সালে পেয়েছিল ৪৭টি আসন। এবার পেয়েছে ৩১২টি আসন। প্রিয় পাঠক-পাঠিকা, ভাই-বোনেরা এখন দেখুন, রাজনীতি বা ক্ষমতার তক্তা শুধুমাত্র পাল্টেই যায়নি রীতিমত উল্টে গেছে। বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী ঘরানার একজন বুদ্ধিজীবী বলেছেন, বিজয়ের এই বৈপুল্য ছোটখাটো ব্যাপার নয়, বেশ বড়সড় ঘটনা। বিজেপির এই বিজয়ে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্ব আরও মজবুত হল। ভারতের বর্তমান কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেটের অর্থ ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী অরুণ জেটলি একটা পরিসংখ্যান দিয়েছেন। তার হিসাবে ২০১৪তে লোকসভায় বিজেপির পক্ষে ভোটারদের সমর্থন ছিল ৪০ ভাগ, এবার সে হার প্রায় ৮০ ভাগ। এই বিজয় যদি ভারতীয় রাজনীতির মেরুকরণ এবং ভারতীয় গণমানসের পুনর্গঠনের ইঙ্গিত হয় তাহলে এটা স্পষ্ট যে, সর্ব ভারতীয় প্রকল্প হিসেবে হিন্দুত্ববাদ স্থায়ী আসন গেড়ে বসেছে।
২০১২ সালে ভারতের কয়েকটি বিধান সভার নির্বাচনী ফলাফল দেখে ভারতের অনেক নামি দামী রাজনৈতিক পন্ডিত এবং বিশ্লেষক মন্তব্য করেছিলেন যে, ভারতে সর্ব ভারতীয় জাতীয় রাজনীতির দিন শেষ হতে চলেছে। শুরু হয়েছে আঞ্চলিক রাজনীতির দিন। কেউ কেউ আবার এটিকে ঐতিহাসিক উপন্যাসের ঢংয়ে তখন বর্ণনা করেছিলেন যে, এটি হলো সর্ব ভারতীয় রাজনীতির পতন পর্ব আর আঞ্চলিক রাজনীতির উত্থান পর্ব। কিন্তু ২০১৭ সালের ৫টি বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঐ সব পন্ডিত এবং তাদের হিসাব-নিকাশকে সম্পূর্ণ ওলট-পালট করে দিয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে ৫টি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন হয়ে গেল। এই ৫টি রাজ্য হলো উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখন্ড, পাঞ্জাব, মণিপুর এবং গোয়া। এর মধ্যে উত্তর প্রদেশ এবং উত্তরাখন্ডে বিজেপি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গঠন করেছে। মণিপুর এবং গোয়ায় কোয়ালিশন করে বিজেপির নেতৃত্বে সরকার গঠন করা হয়েছে। শুধুমাত্র পাঞ্জাবে কংগ্রেস জয়লাভ করেছে এবং সরকার গঠন করেছে।
ভারতের সবচেয়ে জনবহুল এবং সবচেয়ে প্রভাবশালী প্রদেশ বা রাজ্যের নাম উত্তর প্রদেশ। এতদিন বলা হতো যে, উত্তর প্রদেশ যে দিকে যায়, সারা ভারতই নাকি সে দিকে যায়। একটু আগেই বলেছি যে, সমস্ত পন্ডিত প্রবরের গণনা ভুল হয়েছে। কট্টর হিন্দু জাতীয়তাবাদী ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপি বিশাল বিজয় নিয়ে এই বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করেছে। উত্তর ভারতে কংগ্রেস গো-হারা হেরেছে। ভেঙে চুরমার হয়েছে অন্যান্য দল। সমাজবাদী পার্টি বা বহুজন সমাজ পার্টি এতদিন ধরে উত্তর প্রদেশের শাসনভার নিজেদের দখলে রেখেছিল তারাও এবার কুপোকাত হয়েছে।
\ তিন \
আমরা কিছুক্ষণ আগে বলেছি যে, এই বিজয়ের মাধ্যমে বিজেপি ভারতে গেড়ে বসলো। কারণ উত্তর প্রদেশ হলো এমন একটি রাজ্য যেটি ভারতের প্রদেশগুলোর মধ্যে আয়তনে ৪র্থ বৃহত্তম কিন্তু জনসংখ্যায় সবচেয়ে বেশি। প্রদেশটির আয়তন ৯৩,৯৩৩ বর্গমাইল। কিন্তু জনসংখ্যায় বৃহত্তম প্রদেশ। উত্তর প্রদেশের জনসংখ্যা ২০ কোটি। তার মধ্যে হিন্দু ধর্মালম্বী ১৫ কোটি, মুসলমান ৪ কোটি এবং অন্যান্য ১ কোটি। যে প্রদেশে মুসলমানরা মোট জনসংখ্যায় ৫ ভাগের এক ভাগ সেই প্রদেশে বিজেপি ৪০৩টি আসনের মধ্যে ৩১২ আসনে জয় লাভ করেছে। আরও অবাক ব্যাপার হলো এই যে, এই বিশাল বিজয়ে মুসলামনদের ভোট তাদের তেমন একটা প্রয়োজন হয়নি। এর অন্য অর্থ হলো এই যে, হিন্দুরা সদলবলে বিজেপিকে ভোট দিয়েছে। এটি ভারতে একটি ডেঞ্জারস ডেভেলপমেন্ট। এই বিজয় আমেরিকার ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয়ের মত। ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশসহ সারা পৃথিবীতে এত বেশি আলোচনা হয়েছে যে, সেটি নিয়ে আর নতুন করে কোনো আলোচনার প্রয়োজন পড়ে না।
তার পরেও আমাদের স্মৃতিকে ঝালাই করার জন্য ঐ ইলেকশন সম্পর্কে দুই একটি কথা না বললেই নয়। সকলেই দেখেছেন যে, নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আমেরিকার একাধিক মহল একাট্টা হয়ে গিয়েছিল। তারা হল হিস্প্যানিক বা ল্যাটিনো, এশিয়ান, মুসলমান এবং কৃষ্ণাঙ্গদের একটি বড় অংশ। এসব মিলে ২৮ শতাংশ। শ্বেতাঙ্গ আমেরিকানরা ৭২ শতাংশ। তার পরেও ডোনাল্ড ট্রাম্প জিতে গেছেন। কারণ সেই একটিই। আর সেটি হলো, শ্বেতাঙ্গ মার্কিনীরা কৃষ্ণাঙ্গ, হিস্প্যানিক এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুথবদ্ধ হয়েছিলেন এবং একাট্টা হয়ে ট্রাম্পকে ভোট দেন। শ্বেতাঙ্গদের ভোটেই ট্রাম্প জিতে যান। তার পর থেকে দেখা গেছে আমেরিকায় অস্থিরতা, বিক্ষোভ এবং রাজপথের আন্দোলন, যেটি সাম্প্রতিক অতীতে আমেরিকায় আর হয়নি। অন্য কথায় ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিনী জনগণকে সুস্পষ্টভাবে দুই ভাগে ভাগ করেছেন, যে ভাগ আমেরিকার গৃহ যুদ্ধের পর আর দেখা যায়নি। মি. নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপির প্রেসিডেন্ট অমিত শাহ্ ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতই ভারতীয় জনগণকে ভাগ করেছেন। সেই বিভাজনের সুস্পষ্ট ছাপ পড়েছে উত্তর প্রদেশের সাম্প্রতিক নির্বাচনে।
উত্তর প্রদেশ ভারতের সবচেয়ে জনবহুল প্রদেশ হলেও এই রাজ্যটিতে মাঝে মাঝেই রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিনষ্ট হয়েছে। এই রাজ্যে ৮ বার প্রেসিডেন্টের শাসন জারি করা হয়েছে। রাজ্যটি ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত কংগ্রেস শাসনের অধীনে ছিল। ২য় পর্যায়ে ১৯৮০-১৯৮৯ সাল পর্যন্ত কংগ্রেস শাসনে ছিল। ৬৯-৭০ সাল পর্যন্ত এবং ৭১-৭৭ সাল পর্যন্ত প্রদেশটি কংগ্রেসের অধীনে ছিল। মাঝ খানে বিজেপি ৯১-৯২ সালে একবার ক্ষমতায় এসেছিল। তারা ৯১-৯২ সালে ২ বছরের জন্য উত্তর প্রদেশের ক্ষমতায় এসেছিল। এর পর থেকেই সেখানে সর্ব ভারতীয় রাজনীতির যুগের অবসান ঘটে। ১৯৯৩ সাল থেকে এই প্রদেশে সর্ব ভারতীয় রাজনীতি বিদায় নেয় এবং আঞ্চলিক রাজনীতি প্রাধান্য পায়। এ সময় সমাজবাদী পার্টি এবং বহুজন সমাজ পার্টি ৪ বছর উত্তর ভারত শাসন করে। ৯৭ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত বিজেপি উত্তর ভারতে শাসন করলেও ২০০২-২০১৬ সাল পর্যন্ত এই ১৪ বছর সমাজবাদী পার্টি (ঝচ) এবং বহুজন সমাজ পার্টি (ইঝচ) রাজ্যটি শাসন করে। প্রতিবারই তারা কোয়ালিশন মন্ত্রিসভা গঠন করে। কিন্তু এবার অর্থাৎ ২০১৭ সালের নির্বাচনে ৪১৩টি আসনের মধ্যে ৩১২টি আসন লাভ করে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে বিজেপি। সুতরাং ধারণা করা যায় যে, আগামী ৫ বছর অর্থাৎ ২০২২ সাল পর্যন্ত বিজেপি উত্তর প্রদশে শাসন করবে। এর চেইন রিএ্যাকশন হবে ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিতব্য ভারতের কেন্দ্রীয় নির্বাচনে। নরেন্দ্র মোদি তথা বিজেপি আবার কেন্দ্রীয় সরকার গঠন করবে।
\ চার \
এই নির্বাচনে কংগ্রেস মার্জিনালাইজড হয়ে গেছে। দলটি আর সর্ব ভারতীয় দল হিসাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে কিনা সন্দেহ। বিজেপি ইতোমধ্যেই কোয়ালিশন ছাড়াই গুজরাট, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, নাগাল্যান্ড, উত্তর প্রদেশ, উল্টরাখন্ড প্রভৃতি রাজ্যে এককভাবে ক্ষমতায় আছে। এছাড়াও বিজেপির নেতৃত্বে কোয়ালিশন সরকার গঠন করা হয়েছে অরুণাচল প্রদেশ, আসাম, দিল্লী, গোয়া, হিমাচল প্রদেশ, ঝাড়খন্ড, কর্ণাটকা, মহারাষ্ট্র, মণিপুর, রাজস্থান প্রভৃতি রাজ্যে। দেখা যাচ্ছে যে, ভারতের ২৯টি রাজ্যের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্য অর্থাৎ ১৬টি রাজ্যই বিজেপি সরকার রয়েছে অথবা বিজেপির নেতৃত্বাধীন কোয়ালিশন সরকার রয়েছে। এসব ঘটনা এবং সর্বশেষ উত্তর ভারত, উল্টরাখন্ড, মণিপুর এবং গোয়ায় সরকার গঠন করার পর ভারতে ধর্ম নিরপেক্ষতার মৃত্যু ঘন্টা বেজে উঠেছে। হিন্দুত্বের পতাকা উড্ডীন করা হচ্ছে। গত বছর ভারতে গো-মাতাকে কেন্দ্র করে এবং গো-মাংস ভক্ষণ নিয়ে খুন খারাবির ঘটনাও ঘটেছে। বাংলাদেশে এখনও যারা ধর্ম নিরপেক্ষতার নামে মুসলিম বিরোধী অবস্থান নিয়েছেন এবং হস্তিনাপুর সংস্কৃতি আমদানীর চেষ্টা করছেন, তাদের একবার ভালভাবে ভারতের হিন্দুত্বের বিজয় নিশানের দিকে তাকাতে বলছি।
Email: [email protected]



 

Show all comments
  • mufti abdurrahim ২৮ মার্চ, ২০১৭, ৮:৫৬ এএম says : 0
    ঠিক বলেছেন।
    Total Reply(0) Reply
  • ২৯ মার্চ, ২০১৭, ৮:৪৯ পিএম says : 0
    yes
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ