Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চাটমোহরের ৩ ইউনিয়নের কৃষক ফসলের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত

বেহাল যোগাযোগ ব্যবস্থায় অর্ধলক্ষাধিক মানুষের দুর্ভোগ

| প্রকাশের সময় : ২৭ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

চাটমোহর (পাবনা) উপজেলা সংবাদদাতা : পাবনার চাটমোহর উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ যাতায়াতের জন্য পাকা সড়ক ও সেতু না থাকায় প্রতিনিয়ত তারা চরম দুর্ভোগে পড়েছে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে এ দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করে। চাটমোহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত গুমানী নদী উপজেলাকে দুই ভাগে বিভক্ত করেছে। নদীটি ছাইকোলা এলাকা দিয়ে চাটমোহরে প্রবেশ করে নিমাইচড়া ইউনিয়নের মির্জাপুরের ভাটিতে গিয়ে ভাঙ্গুড়া উপজেলায় পড়েছে। চাটমোহর সীমায় এ নদীর মান্নান নগর-চাটমোহর সড়কের বওসা ব্রীজ ছাড়া আর কোথাও কোন ব্রীজ নির্মিত হয়নি। মির্জাপুরের ভাটিতে প্রায় এক যুগ পূর্বে একটি ব্রীজ নির্মাণ কাজ শুরু হলেও কিছুদিন পরেই অজ্ঞাত কারণে ব্রীজটির নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। পরিত্যক্ত অবস্থায় কয়েকটি পিলার সেখানে দাঁড়িয়ে রয়েছে আজো। ছাইকোলা থেকে গুমানী নদী উত্তর- দক্ষিণে ধানকুনিয়া পর্যন্ত এসে মোড় নিয়ে পূর্বে মির্জাপুরের দিকে চলে গেছে। নদীর পূর্ব ও উত্তর পাড়ে হান্ডিয়াল, নিমাইচড়া ও ছাইকোলা ইউনিয়নের (আংশিক) নবীন, চরনবীন, লাঙ্গলমোড়া, বরদানগর, বিন্যাবাড়ি, গৌড় নগর, করকোলা, মির্জাপুর, বহরমপুর, চিনাভাতকুর, বেলগাছি, দরাপপুর, নিমাইচড়া, কুমুল্লী, সমাজ, বানিয়াবহু, মাঝগ্রামসহ অনান্য গ্রাম। এ গ্রামগুলো থেকে উপজেলা সদরে আসতে হলে গুমানী নদী পাড় হতে হয়। নদীতে সেতু না থাকায় ১৫ কি.মি. এর মধ্যে ছাইকোলা, লাঙ্গলমোড়া, বরদানগর, ধানকুনিয়া, নটাবাড়িয়া ও মির্জাপুরে নদী পারাপারের খেয়া ঘাট রয়েছে। বর্ষা মৌসুমে এসব খেয়াঘাট হয়ে নৌকায় নদী পাড় হতে হয়। শুষ্ক মৌসুমে নদীর আকার ছোট হয়ে আসলে বাঁশের সাঁকো স্থাপন করা হয় এসব ঘাটে। তখন বাঁশোর সাঁকোই হয়ে ওঠে ৪০টি গ্রামের মানুষের পারাপারের মাধ্যম। এ ছাড়া সমাজ-নিমাইচড়া ও মির্জাপুর-বহরমপুরের মধ্য দিয়ে করতোয়া নদী প্রবাহিত হয়েছে। নিমাইচড়া ইউনিয়নের সমাজ এলাকার মানুষকে উপজেলা সদরে আসতে এ নদীও পার হতে হয়। মির্জাপুর-বহরম পুরের মধ্যেও রয়েছে একটি বাঁশের সাঁকো। নদী বেষ্টিত নিমাইচড়া, মির্জাপুর, করকোলা, গৌড়নগর, বিন্যাবাড়ি, বরদানগর, লাঙ্গলমোড়া, চরনবীনসহ আরো বেশ কিছু গ্রামে আজো কোন পাকা সড়ক নির্মিত হয়নি। সড়ক ও সেতু নির্মিত না হওয়াও এ এলাকাগুলো পিছিয়ে রয়েছে। এ এলাকায় কোন বাস, ট্রাক, নছিমন-করিমন, সিএনজি, রিক্সা, ভ্যান চলাচল করে না। কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত পন্য বাইরে বিক্রি করতে নিতে পারে না। ফলে তারা ফসলের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হন। ক্ষার্থীদের পায়ে হেটে যেতে হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। মুমূর্ষু রোগীদের হাসপাতালে নিতে পার হতে হয় দুর্গম পথ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ