পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
নড়াইল জেলা সংবাদদাতা : নড়াইলের কালিয়া উপজেলার চাঁচুড়ী বাজার সোনালী ব্যাংক শাখা থেকে শস্য ঋণের নামে ব্যাংক কর্মকর্তা এবং স্থানীয় দালাল চক্র এক কৃষকের নামে ভুয়া ঋণের টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে উপজেলার হাড়িয়ারঘোপ গ্রামের ভুক্তভোগী কৃষক মরহুম লাল মিয়া শেখের ছেলে মো.আমির হোসেন শেখ প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহীসহ (এমডি) সংশ্লিষ্টদের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন।
ভুক্তভোগী কৃষকের লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, গত ২৬ জানুয়ারী কৃষক মো.আমির হোসেন শেখ জানতে পারেন, উপজেলার সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের চাঁচুড়ী বাজার শাখায় তার নামে ভুয়া ঋণ দেখিয়ে টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। বিষয়টি জানার পর তার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ার মতো অবস্থার সৃষ্টি হয়। কারণ তিনি কোনদিনই ওই শাখা হতে কোন ঋণ গ্রহণ করেননি। তিনি ওই শাখার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা তাকে অবগত করেন যে, ২০১৫ সালের ১৫ নভেম্বর তিনি ওই শাখা থেকে ২৫ হাজার টাকার একটি কৃষি ঋণ গ্রহণ করেছেন। তাই তারা তাকে জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে ব্যাংকে আসতে বলেন। তিনি যথারীতি ব্যাংকে গেলে তারা তার পরিচয়পত্র রেখে দিয়ে দু’দিন পর ফেরত দেন। কিন্তু বাস্তবে তিনি কোন ঋণ গ্রহণ করেননি বলে আবেদন পত্রে উল্লেখ করেছেন। বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে ওই ব্যাংক শাখার ব্যবস্থাপক মো.মেহবুব মুন্না, কর্মকর্তা সুপ্রভাত মল্লিক ও ব্যাংকের তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) তবিবার রহমানের নিকট ওই ঋণের সেইফ ফাইলটি দেখতে চাইলে তারা রহস্যজনক কারণে সেটি এড়িয়ে উল্টো ওই কৃষককে ঋণ পরিশোধর জন্য চাপ দিচ্ছেন। এমনকি তার বিরুদ্ধে মামলা করারও হুমকি দিচ্ছেন বলে তিনি অভিযোগ করেছেন।
এ প্রসঙ্গে ভুক্তভোগী কৃষক মো.আমির হোসেন শেখ বলেন, ওই শাখার অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে কেউ হয়তো আমার নামে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণ গ্রহণ করে আমার ওপর দায় চাপিয়ে হয়রানি করছে। বিধায় জরুরিভাবে বিষয়টি তদন্ত পূর্বক প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে আমাকে ভুয়া ঋণের দায় থেকে অব্যাহতির জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরে লিখিত আবেদন করেছি।
স্থানীয় সূত্র বলছে, চাঁচুড়ী বাজার সোনালী ব্যাংক শাখায় কৃষি ঋণ বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ব্যাংকের অসাধু কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় এক শ্রেণির দালাল বিভিন্ন গ্রামের নিরীহ কৃষকদের নামে-বেনামে ভুয়া ঋণ উত্তোলনের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। এতে ঋণ না নিয়েও ঋণ খেলাপি হয়ে কৃষকরা চরম বিপাকে পড়েছেন।
এ প্রসঙ্গে সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের চাঁচুড়ী বাজার শাখার ব্যবস্থাপক মো.মেহবুব মুন্না মুঠোফোনে জানান, আমি অত্র শাখায় নতুন যোগদান করেছি। তাই ওই ঋণ সম্পর্কে অবগত নই। ব্যাংকের রেকর্ডপত্রে আমির হোসেন শেখের নামে অত্র শাখায় একটি কৃষি ঋণ আছে। এক্ষেত্রে কোন সুচতুর ব্যক্তি হয়তোবা কৌশলে তাকে ব্যবহার করে ঋণ উত্তোলন করতে পারেন বলে মত প্রকাশ করেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।