Inqilab Logo

বুধবার, ২৯ মে ২০২৪, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

নির্ধারিত তারিখের আগে তড়িঘড়ি করে ইলিশিয়া পশুরহাট নিলামের অভিযোগ

চকরিয়ায় আদালতের আদেশ অমান্য

| প্রকাশের সময় : ২৬ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

কক্সবাজার জেলা সংবাদদাতা : কক্সবাজারের চকরিয়ায় উচ্চ আদালতের দেয়া ৬ মাসের স্থগিতাদেশ অমান্য এবং তড়িঘড়ি করে নির্ধারিত তারিখের সাতদিন আগেই ইলিশিয়ার পশুরহাট নিলাম দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়ন পরিষদের চার নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবদু শুক্কুরের দায়ের করা একটি রিট পিটিশন মামলার (নং-৩৮৪৬/১৭) পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিচারপতি এম মোজাম্মেল হোসেন ও আমীর হোছাইন সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈতবেঞ্চ গত ২২ মার্চ শুনানি শেষে ওই হাটটি ইজারা দেয়ার চলমান প্রক্রিয়া ৬ মাসের স্থগিতাদেশ দেন। একইসঙ্গে আদালত রিটের বিবাদী স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, ভ‚মি মন্ত্রণালয়ের সচিব, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর (আরডিসি), কক্সবাজারের পুলিশ সুপার, চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ‚মি), থানার ওসি, পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান জাকের আহমদসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে রুলনিশিও জারি করেন। বাদীপক্ষের কৌশলী হাইর্কোটের সিনিয়র আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী জানান, রিট পিটিশনের শুনানিন্তে আদালত বাজারটি নিলাম দেয়ার ক্ষেত্রে বাদীপক্ষের আনীত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ৬ মাসের স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। একইসাথে আদালত বিবাদীগণের প্রতি বাজার নিলামের চলমান কার্যক্রম কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে রুলনিশিও জারি করেন। ইউনিয়ন পরিষদ এবং স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পাশের জায়গায় বাজারটি নিলাম না দেওয়ার জন্য আলাদাভাবে আদালত নির্দেশও দিয়েছেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে। রিট মামলার বাদী আবদুর শুক্কুর জানান, ২২ মার্চ আদালতের দেয়া আদেশের অনুলিপির কপি (বাদীপক্ষের আইনজীবী স্বাক্ষরিত) বৃহস্পতিবার সকালে বিবাদীগণের দপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে। তন্মধ্যে অনুলিপির কপি কক্সবাজার জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর (আরডিসি), চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) এবং প্রশাসনের অপরাপর দপ্তরগুলোতে দেয়া হয় এবং অনুলিপির কপি বুঝে পাওয়ার বিষয়টিও সীলমোহরসহ নেয়া হয়। তিনি অভিযোগ করেন, অনুলিপির কপি নিয়ে সরাসরি দপ্তরে গেলেও চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তা গ্রহণ করেননি। এরপরও বিকল্পপন্থায় ফ্যাক্সযোগে ইউএনও’র দপ্তরে সেই কপি প্রেরণ করা হয়। বাদী আবদুর শুক্কুর দাবি করেন, আদালতের স্থগিতাদেশ সংক্রান্ত দেয়া আদেশ অমান্য করে নির্ধারিত তারিখের (৩০ মার্চ) আগেই ২৩ মার্চ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনেকটা তড়িঘড়ি করে ৪১ লাখ ১০ হাজার টাকায় বাজারটি নিলাম দেন। তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘বাজারটি নিলাম দেয়ার জন্য ইতোমধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। তাতে তিনি দরপত্র সংগ্রহের শেষ তারিখ ২৯ মার্চ এবং দরপত্র দাখিল ও খোলার শেষ তারিখ ৩০ মার্চ নির্ধারণ করেন। অথচ তিনি আদালতের আদেশের বিষয়টি আঁচ করতে পেরে নির্ধারিত তারিখের ৭ দিন আগে বাজারটি নিলাম দিলেন কিভাবে?’ এ বিষয়ে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আদালতের আদেশের কোন কপি আমি পাইনি। বাজারটি নিয়মানুযায়ী নিলাম দেয়া হয়েছে, এতে সরকারের রাজস্ব আয় বেড়েছে। নির্ধারিত তারিখের আগে কিভাবে বাজারটি নিলাম প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে জানতে চাইলে ইউএনও বলেন, এটি ‘বিজ্ঞপ্তির প্রকাশের সময় দেয়া তারিখে তথ্যগত ভুল হয়েছে।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ