আবার আসব
আমরা ফিরে যাচ্ছি ক্যাম্পে। আবার আসব- আসতে হবে আমাদের। আগে বাড়া- পিছু হঠা- এটাই আমাদের
আবদুল আউয়াল ঠাকুর : পাখির গান গাওয়া আর মানুষের মৌলিক অধিকারের স্বীকৃতির বিষয়টি এক না হলেও মনের আনন্দ এবং স্বাধীনতার যে ব্যাপারটি রয়েছে বোধকরি এর সাথে জাতীয় স্বাধীনতার একটি নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। সে কারণেই স্বাধীনতা মানুষের এত প্রিয়শব্দ। গলায় বেড়ীপড়া বিশেষ পোষা প্রাণীর চেয়ে নিরন্ন থাকার আশঙ্কা সত্তে¡ও মানুষ স্বাধীন জীবনযাপনের পক্ষপাতি। স্বাধীনতা যদিও নিয়ন্ত্রণহীন নয় তবুও মানুষ তার মনের কথা ভাবনাকে স্বাধীনভাবে প্রকাশ করতে চায়। সেই সাথে বেঁচে থাকার অবারিত সুযোগও তার কাম্য। মূলত একটি জনগোষ্ঠী তাদের মতো করে থাকতে চায় বলেই স্বাধীন হতে চায়। এই চাওয়ার পিছনে কোন যুক্তি শক্তিশালী তা নিয়ে নানা আলোচনা হতে পাওে এবং সংগত বিবেচনা থেকেই তা হচ্ছে। মূল বিষয়টি মনের অবস্থা। সে কারণে এর পূর্ণ ব্যাখ্যা বা আলোচনা অসম্ভব। যখন কেউ স্বাধীন হতে চায় তখন তাকে আটকানো যায় না। মৃত্যু পণ নিয়েই সে লড়াই করে। এই বিষয়টি রাষ্ট্রের বেলায় যেমনি সত্য তেমনি সামাজিক জীবনেও সত্যি। শৃঙ্খল মুক্তির নেশায় শেষপর্যন্ত মৃত্যুকেও অনেকে বেছে নেয়। সোজা ভাষায় স্বাধীনতার বিষয়টি যখন সামনে আসে তখন তার কোন বিকল্প থাকে না। এই বিকল্পহীন বাস্তবাতেই ১৯৭১ সালের ন মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্যদিয়ে আমরা স্বাধীন হয়েছিলাম। লক্ষ্য ছিল আমরা আমাদের মতো ভাবব করব। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হবার পর আজ সময় এসেছে ভেবে দেখার আমাদের ভাবনা আর আজকের প্রাপ্তির মধ্যে সম্পর্ক কতটুকু। মূলত এই ভাবনা কোন বিচ্ছিন্ন ভাবনা নয়। এর সমাধান খুঁজতে হলে মূলে হাত দিতে হবে। হয়ত ফিরে যেতে হবে সেই সময়ের কাছে।
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের মধ্যদিয়ে পাকিস্তান সৃষ্টি হলেও সেই পাকিস্তানে সাম্য প্রতিষ্ঠিত হয়নি বা হতে পারেনি। একটি সাধারণ নির্বাচনও করা সম্ভব হয়নি। নানা বাধা পেড়িয়ে ’৭০-এর নির্বাচনে পর একটি কার্যকর সংসদ গঠিত হবে এটাই ছিল জনগণের প্রত্যাশা। পাকিস্তানে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবার বিষয়ই ছিল মূল কথা। অথচ ইতিহাসের নির্মমতা হচ্ছে কোন কারণ ছাড়াই পাকিস্তানের সামরিক শাসক সংসদ অধিবেশনের সুনির্দিষ্ট তারিখ স্থগিত করে দিলেন। অর্থাৎ পাকিস্তানে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবার যে সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল সেটা স্তব্ধ হয়ে গেল। এরপরে ইতিহাস হচ্ছে প্রত্যক্ষ সংগ্রামের ইতিহাস। জনগণের প্রতিবাদ, ৭ মার্চের ভাষণ এবং প্রেসিডেন্ট জিয়ার কণ্ঠে স্বাধীনতার ঘোষণা শুনে জনগণ ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সশস্ত্র সংগ্রামে। আর এই সংগ্রামে সহায়তা করেছিল ভারতীয় বাহিনী। ইতিহাসের সাক্ষী অনুযায়ী ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর যেদিন বিজয় এলো সেদিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আত্মসমর্পণকালে আমাদের কোন প্রতিনিধি থাকতে পারেনি বা রাখা হয়নি। সেইদিন থেকেই মৃত্যুপণ করা জীবনবাজি ধরা মুক্তিসেনাদের মনে প্রশ্ন উঠেছিল প্রকৃতই ডিম পাড়ে হাঁসে খায় বাগদাসে। সময়ের বিবর্তনে সে প্রশ্নই আজ আরো বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। সেই সাথে যে গণতন্ত্রেও আকাক্সক্ষা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ সেই গণতন্ত্র নিয়েও আশক্সক্ষা অনুরূপই রয়ে গেছে। একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কাক্সিক্ষত সংসদের প্রত্যাশা একই অবস্থায় রয়েছে। কেবলমাত্র শাসকের নামের পরিবর্তন ঘটেছে এই যা।
স্বাধীনতা বলতে মূলত রাজনৈতিক স্বাধীনতা বোঝালেও বর্তমান সময়ে এর সাথে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা, প্রকৃত স্বাধীনতাসহ নানা শব্দের সংযোজন ঘটেছে। এক সময়ে স্বাধীনতার রাষ্ট্রবিজ্ঞান সম্মত একটি সংজ্ঞাও অনেকের কাছে সুবিদিত ছিল। এখন অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, ওই সংজ্ঞায় যা বোঝায় বা বোঝান হয় তোতে বর্তমান সময়ে সবকিছু আওতাভুক্ত হচ্ছে না বা হবার অবস্থা নেই। একে ইতিবাচক না নেতিবাচক পরিবর্তন বলা যাবে তা নিয়ে হয়ত আলোচনা হতে পারে এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়ত রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরাই নেবেন তবে বাস্তবতা হচ্ছে পুরনো সংজ্ঞায় সবকিছু টানছে না। এই না টানার আলোচনাকে এড়িয়ে যাবার কোন উপায় নেই। একটি স্বতন্ত্র পতাকা, জনগণ, সরকার, ভ‚খÐ থাকলেই এখন আর তাকে প্রকৃত স্বাধীন রাষ্ট্র বলে মনে করা হয়ত সংগত নাও হতে পারে। কার্যত রাজনৈতিক স্বাধীনতার মূল পরিচয় হচ্ছে সার্বভৌমত্ব। এটি মূলত একটি স্বাধীন দেশের সরকার জনগণের হয়ে পরিচালনা করে। বর্তমান সময়ে এটা মনে হতে পারে সময়টা কথিত দুঃসময়ের চেয়েও আরো মারাত্মক। সম্ভবত সে কারণেই স্বাধীনতার সাথে নানা উপসর্গের সংযুক্তি ঘটেছে। বোধকরি মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির প্রসঙ্গ সে কারণেই গুরুতর আকার ধারণ করেছে। অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে না পারলে রাজনৈতিক স্বাধীনতা আদৌ কোন কাজে আসে কিনা সে বিবেচনাও গুরুতর আকার নিয়েছে। রাজনৈতিকভাবে রাজ্য জয়ের যুগ হয়ত কিছুটা হলেও শেষ হয়েছে তবে অর্থনৈতিকভাবে জয়ের প্রবণতা তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েছে। প্রভাব বিস্তারের এই নব উন্মাদনাই আজকের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের আলোচনায় প্রনিধানযোগ্য।
স্বধীন ভারতবর্ষ ব্রিটিশ দখলে যাবার পর আমরা দুদুবার স্বাধীনতা অর্জন করেছি। প্রায় দুইশ বছর লড়াই করে ব্রিটিশ মুক্ত হবার পর পুনরায় সশস্ত্র সংগ্রাম করে পাকিস্তান থেকে মুক্তি অর্জন করেছি। দুটি লড়াইয়ের প্রকৃতি বিশ্লেষণ করলে ভিন্নতা পরিলক্ষিত হবে। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন ছিল প্রধানত রাজনৈতিক লড়াই। পাকিস্তান থেকে মুক্তির লড়াইয়ের প্রধান যুক্তি ছিল অর্থনৈতিক ও বাক-স্বাধীনতার মুক্তি। দীর্ঘ আলোচনায় না গিয়েও এ কথা বলা যায় সেই ঐতিহাসিক কাল থেকে এজাতি মুক্তির যে পথ খুঁজছিল তারই বাঁকে বাঁকেই সংগঠিত হয়েছে রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক সংগ্রাম। আর একথাও নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না যে দুটি লড়াইতেই সমভাবে স্থান করে নিয়েছিল গণতন্ত্র তথা মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই। ব্রিটিশ আমলে ভারতবর্ষে উপনিবেশিকতা বহাল থাকলেও বিলেতের অবস্থা এটা ছিল না। সে কারণে একসমযে ভারতের রাজনৈতিক স্বাধীনতার নেতারা ব্রিটেনের মাটিকে তাদের দাবি প্রকাশের জন্য বেছে নিয়েছিলেন। বাংলাদেশে যে হাইড পার্কের কথা শোনা যায় এটি মূলত বিলেতি ধারণা থেকেই নেয়া। ভারতের স্বাধীনতা কর্মীরাও হাইড পার্ককে ব্যবহার করেছেন। কথা বলার অধিকারে স্বীকৃতির ব্যাপারটিই এখানে গুরুত্বপূর্ণ। সাবেক পাকিস্তান আমলে সাকেব পূর্বপাকিস্তানীদের যে কটি বিষয়ে আন্দোলিত আলোড়িত করেছে তার অন্যতম হচ্ছে মত প্রকাশের অধিকার। বড়কথা হচ্ছে আমরা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছি, স্বাধীনতা অর্জন করেছি। এখন দেখার বিষয় হচ্ছে এই স্বাধীনতা কতটা আমরা পেয়েছি বা কাজে লাগাতে পেরেছি। স্বাধীনতা বলতে যা কিছু বোঝায় সেক্ষেত্রে বাক-ব্যক্তি, সংবাদপত্র তথা মৌলিক অধিকারকেই বুঝান হয়ে থাকে। বাংলাদেশের আজকের প্রেক্ষাপটে বোধহয় যে কেউ স্বীকার করবেন যে দেশটিতে কার্যত মত প্রকাশের স্বাধীনতার বহুদলীয় গণতন্ত্রের বিবেচনায় অবরুদ্ধ হয়ে আছে। এটা হবার কোন কারণ ছিল না। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের যে সংবিধান রচিত হয়েছিল তাতে গণতন্ত্র মানবাধিকারের স্বীকৃতি ছিল। বর্তমানেও রয়েছে। বাস্তবতা হচ্ছে মানবাধিকারবিরোধী নানা কালাকানুনের কারণে অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, গণতন্ত্রের কথা বললেই এখন সন্ত্রাসী হিসেবে স্থান হয় কারাগাওে, নয়ত গুম হতে হয় অচেনার দেশে। একটি সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক আবহ তৈরির জন্যই আমাদের পূর্বপুরুষেরা প্রাণ দিয়েছেন শহীদ হয়েছেন। সর্বোপরি প্রাণের মায়া ত্যাগ করে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। তাহলে ব্যাপরটি কেন এমন দাঁড়ালো সেটি নিয়ে অবশ্যই আগামী বংশধরদের নিশ্চিত ভবিষ্যৎ গড়তেই ভাববার রয়েছে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি এ অঞ্চলের প্রায় প্রতিটি দেশেই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনা রয়েছে অথচ আমাদের দেশে গণতন্ত্র হুমকির মুখে পড়েছে। যে পাকিস্তানের কথা শুনলে অনেকের গায়ে জ্বালা ধরে, যে পাকিস্তানের সামরিক জান্তার সাথে লড়াই করে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি সেই পাকিস্তানেও শত বিপত্তির মুখে যতটুকু গণতন্ত্র চালু রয়েছে আমাদের দেশে তাও নেই। ভারতে প্রকাশ্যত গণতন্ত্র চালু থাকলেও সেখানে সাম্প্রতিক সময়ে যেভাবে সংখ্যালঘু তথা মুসলিমদের উপর নির্যাতন নিবর্তন চলছে তা সেদেশের মানুষই প্রতিবাদ করছে। প্রকাশ্যতই অরুন্ধুতি রায় এর প্রতিবাদ করছেন।
বাংলাদেশে অনেকটাই নতুন শংকাও নিয়েছে। ২০১৪ সালের অগ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচনের পর ভারতের সাথে নতুন করে যে নিরাপত্তা চুক্তি স্বাক্ষরের কথা উঠেছে তা হল প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশে কোন ধরনের গণতান্ত্রিক চর্চারই সুযোগ থাকবে না। ২০১৪ সালের নির্বাচনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সমর্থন দিয়েছিল ভারত। ভারতীয় সরকারের প্রতিনিধিরা এখনো বলছেন তারা বর্তমান সরকারে সাথে রয়েছেন। তাদের এই থাকার নেপথ্য গল্পর হচ্ছে তাদের স্বার্থ। তাদের মূল স্বার্থ হচ্ছে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক। বাংলাদেশকে ব্যবহার করে তারা তাদের যাবতীয় বাণিজ্যিক সুবিধা গ্রহণ করছে সেটাই এখন বড় বিষয় নয় বরং বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সম্পূর্ণ ভারত নির্ভর করে তোলা হয়েছে। পরিবহনের গাড়ী থেকে শুরু করে দেশের এমন কোন পণ্য নেই যা এখন ভারত থেকে আমদানী করা হচ্ছে না। বাংলাদেশের বাজার সম্পূর্ণভাবে ভারতের নিয়ন্ত্রণে গেলেও বাংলাদেশ কিন্তু পানির ন্যায্য হিস্যাটুকু পাচ্ছে না। বরং পরোক্ষভাবে ভারতীয়রা এটা জানিয়ে দিয়েছে পানি দেয়া হবে না। বাংলাদেশের জীবন-মরণ সমস্যা পানি বন্ধ করার মধ্যদিয়ে বাংলাদেশকে সম্পূর্ণভাবে পঙ্গু করে দেয়ার যে প্রবণতা তৈরি হয়েছে এক্ষেত্রে তাদের বড় স্বার্থ হচ্ছে বাংলদেশ নির্জীব হয়ে পড়লে খুদকুড়ো দিয়ে টিকিয়ে রাখার অপচেষ্টা সহজ হবে। দেখা যাচ্ছে রাজনৈতিক সমর্থনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা।
বস্তুত দেশ এখন দিল্লীমুখী। নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দিয়ে অর্থনৈতিক আগ্রাসণের ক‚ট চক্রান্তের ফাঁদেই আটকে ফেলেছে বাংলাদেশকে। মুখে যে যাই বলুক না কেন বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃ প্রতিষ্ঠা করতে হলে যে ধরনের ঐকমত্য জরুরি এখন পর্যন্ত তা অনুপস্থিত। একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবিতে অটল থাকা বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপির বিরুদ্ধে সরকারি রোষের যে বৈরিতা সৃষ্টি হয়েছে তাতে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখাই কঠিন হয়ে পড়েছে। এই বাস্তবতা সৃষ্টি হয়েছে মূলত সরকারের অসহিষ্ণুতার অভাবে। অগণতান্ত্রিক মানসিকতার বিষফল হিসেবে। স্বাধীনতাকে বোঝার যতগুলো নিদর্শন রয়েছে তার প্রধান হচ্ছে গণতন্ত্র। একটি দেশের মানুষ সঠিক ও সুষ্ঠু পরিবেশে তার মতামতের বহিঃপ্রকাশ ঘটাত পারছে কিনা সেটাই স্বাধীনতার মূল কথা। খাবারতো সকলেই খায়। পিচঢালা রাস্তার উন্নয়ন কোন আমলে কখন হয়নি- সবসময়ই হয়েছে। এসব মানুষ বা নাগরিকদের স্বাধীনতার স্মারক নয়। একটি অবরুদ্ধ বাংলদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কার্যকর ও আন্তরিক উদ্যোগ নিয়েছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। সেই সূত্র ধরে এখনো বাংলাদেশে এক-আধটু গণতন্ত্রের রেখা দেখা যাচ্ছে।
এবারে যখন স্বাধীনতা দিবস উৎযাপিত হচ্ছে তখন দেশের অবস্থা ত্রিসঙ্কু। দেশের ভেতরে নির্বাচনের টোপ রাখা হয়েছে আর সভাসমাবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে চলছে মামলা খড়গ। অন্যদিকে চলছে নানা চুক্তিকর অপচেষ্টা। স্বাধীনতা যদি রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সংজ্ঞায় বিবেচনা করতে হয় তাহলে সার্বভৌমত্বের যে বিষয়টি রয়েছে বর্তমান বাংলাদেশে তার কার্যকারিতা কতটুকু তা যেমনি ভাবতে হবে তেমনি আগামীতে এ অবস্থা আরো কতটা নাজুক হবে সেটাই ভাববার। সে কারণেই বলা যায় স্বাধীনতা কেবল শব্দাবলী নয় বরং এর অন্তর্নিহিত কিছু বিষয় রয়েছে।
লেখক: সাংবাদিক, কলামিস্ট
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।