Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ৩০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৪ মার্চ, ২০১৭, ১১:৩৯ এএম

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) সংবাদদাতা : ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। গাজীপুরের কালিয়াকৈরের চন্দ্রা থেকে মির্জাপুরের পাকুল্যা পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট ছড়িয়ে পড়েছে।

গতকাল রাত থেকে যানবাহনের চাপ বৃদ্ধির পাশাপাশি পাকুল্যা এলাকায় ট্রাক বিকল হওয়ায় এই যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ।

পুলিশ জানায়, দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটির পাশাপাশি রবিবার স্বাধীনতা দিবসের ছুটি পাওয়ায় অনেকে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার জন্য রওনা হন। এ কারণে অন্য দিনের তুলনায় যানবাহনের চাপ বেড়ে যায়।

অতিরিক্ত গাড়ির চাপের পাশাপাশি গতকাল রাতে পাকুল্যা এলাকায় একটি ট্রাক বিকল হয়ে পড়ে। এর ফলে গাড়ির স্বাভাবিক গতি কমে যায়। চন্দ্রা থেকে পাকুল্যা পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। আটকা পড়ে শত শত যাত্রী। দীর্ঘ সময় ধরে যানজটে আটকে পড়া গাড়ির যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অনেককে গাড়ি থেকে নেমে সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।

রংপুরের গ্রামের বাড়ি যাওয়ার জন্য রাত ১২টার গাড়িতে উঠেছেন রবিউল আলম বলেন, ‘ভোরে যেন নামতে পারি সেজন্য হিসেব করে রাত ১২টার গাড়িতে উঠি। আমিনবাজার পার হওয়ার পর কিছুক্ষণ যানজটে আটকা পড়ি। রাত আড়াইটার পর চন্দ্রা পার হওয়ার জন্য গাড়ি একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। কখন বাড়ি পৌঁছবে কে জানে।’

একই বাসের আরেক যাত্রী তহমিনা বেগম বলেন, ‘রাতে বাসে উঠলেও এখনো মির্জাপুর পার হতে পারিনি। দুই বাচ্চাকে নিয়ে অনেক কষ্টে আছি। আর ভালো লাগছে না।’

ঢাকাগামী কাভার্ড ভ্যানের চালক বাবুল হোসেন বলেন, সকাল ছয়টার দিকে তিনি টাঙ্গাইলে যানজটে পড়েন। মাত্র ৩০ মিনিটের রাস্তা তিন ঘণ্টায়ও যেতে পারেননি।

মির্জাপুরের গোড়াই হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খলিলুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, যানজট নিরসনে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে। প্রায় প্রতি শুক্রবারই ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। ১৭ জেলার মানুষ এই মহাসড়ক ব্যবহার করায় প্রতি সপ্তাহের এই দিনে যানবাহনের চাপ বেড়ে যায়।

কারণ অনুসন্ধান করতে গেলে পুলিশ জানায়, জয়দেবপুর থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত ফোর লেনের কাজ চলায় প্রতি বৃহস্পতিবার রাত থেকে যানজটের মাত্রাটা বেড়ে যায়। এছাড়া রাতে কোনো গাড়ি বিকল হলে তা উদ্ধার না করা পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এজন্য অনেক গাড়ির চালক ঘুমিয়ে পড়ে। গাড়ি উদ্ধারের পরও ঘুমিয়ে থাকা অনেক চালক জানতে না পারায় তাদের ঘুম থেকে জাগিয়ে তোলে পুলিশ। এটিও যানজটের অন্যতম কারণ। তবে ফোর লেনের কাজ শেষ হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে জানায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ