পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হোস্টেল থেকে ভাস্কর্য সরানোর দাবি সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের
ইনকিলাব ডেস্ক : ভারতের কলকাতার বেকার হোস্টেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে স্থাপিত আবক্ষ ভাস্কর্য সরিয়ে দেওয়ার দাবি নাকচ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু আমাদের দুই বাংলার প্রেরণা। তার ভাস্কর্য সরানোর প্রশ্নই ওঠে না। কেউ প্রতিবাদ করতে চাইলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ৯৭তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস কলকাতায় উদ্যাপিত হয়েছে যথাযোগ্য মর্যাদায়। কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন বেকার হোস্টেলে বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্যে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো, বিশেষ মোনাজাত, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, বঙ্গবন্ধুর ওপর আলোকচিত্র প্রদর্শনী, প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনী, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দিবসটি উদ্যাপন করে।
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উদ্যাপনের পর ‘সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন’-এর সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান এক বিবৃতিতে দাবি করেন, ‘বেকার হোস্টেল থেকে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য সরিয়ে অন্য কোনো সরকারি স্থানে বসানো হোক। কারণ, ইসলাম ধর্মে ভাস্কর্যের স্বীকৃতি নেই। হোস্টেলের ভেতর কোনো ইসলামবিরোধী কাঠামো গড়া অন্যায়।’
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। গতকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্ধৃতি দিয়ে গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ‘ঐতিহ্যের কোনো ইজারা হয় না। বঙ্গবন্ধু দুই বাংলার কাছেই শ্রদ্ধেয়, স্মরণীয়। মুক্তিযুদ্ধ আমাদের প্রেরণা। তার স্মৃতি শ্রদ্ধার সঙ্গে সংরক্ষণ করাই আমাদের কর্তব্য। এর কোনো রকম বিরোধিতা বরদাশত করা হবে না। কেউ প্রতিরোধ তৈরি করতে চাইলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
১৯১০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এই বেকার হোস্টেল। এটি সরকারি ছাত্রাবাস। বঙ্গবন্ধু কলকাতার ইসলামিয়া কলেজে পড়ার সময় এই বেকার হোস্টেলে ছিলেন ১৯৪৫-৪৬ সালে। তিনি ছিলেন ২৪ নম্বর কক্ষে। ইসলামিয়া কলেজের নাম বদলিয়ে এখন নামকরণ করা হয়েছে মাওলানা আজাদ কলেজ।
১৯৯৮ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্যোগে বেকার হোস্টেলের ২৩ ও ২৪ নম্বর কক্ষ নিয়ে গড়ে তোলা হয় বঙ্গবন্ধু স্মৃতিকক্ষ। এই স্মৃতিকক্ষে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর ব্যবহৃত খাট, চেয়ার, টেবিল ও আলমারি। তৎকালীন বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু ২৪ নম্বরের পাশের ২৩ নম্বর কক্ষটিকে যুক্ত করে স্মৃতিকক্ষ গড়ার উদ্যোগ নেন। ১৯৯৮ সালের ৩১ জুলাই বঙ্গবন্ধু স্মৃতিকক্ষের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন উচ্চশিক্ষামন্ত্রী অধ্যাপক সত্যসাধন চক্রবর্তী। সূত্র : ওয়েবসাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।