Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

না সরালে ইমাম খতিবগণ মাঠে নামতে বাধ্য হবেন -জাতীয় ইমাম সমাজের আলোচনায় নেতৃবৃন্দ

সুপ্রিম কোর্ট চত্বর থেকে মূর্তি

| প্রকাশের সময় : ২৩ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সুপ্রিম কোর্টের সামনে মূর্তি স্থাপন ও প্রখ্যাত উলামায়ে কেরামদের অসম্মানিত করার প্রতিবাদে জাতীয় ইমাম সমাজের প্রতিবাদ সভায় বক্তাগণ বলেন, বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ মুসলমান ও ধর্মপরায়ণ। এদেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। দেশের সকল মুসলমান ইসলামি আকিদায় বিশ্বাসী। বিশ্ব মানবতার ধর্ম ইসলামের আদর্শ ও বিশ্বাসকে মুসলমানগণ অন্তরে সর্বোচ্চ স্থানে লালন করেন। দেশের সকল রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানাদিসহ জাতীয় সংসদ অধিবেশনে মহাগ্রন্থ আল-কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আরম্ভ হয়। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা একজন ইসলাম প্রিয় মানুষ। তিনি কুরআন তেলাওয়াত করেন এবং নামাজ আদায় করেন। তাহলে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের চত্বরে এবং জাতীয় ঈদগাহের পাশে কেন গ্রিক দেবী মূর্তি বসবে? হিন্দু দেশ ভারতের সুপ্রিম কোর্টের সামনেও এ মূর্তি নেই। তাই মূর্তি অপসারণ করতেই হবে। বক্তাগণ আরো বলেন এদেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ, ধর্মভীরু তাই ইসলামী ভাবধারা, তাহযীব, তামাদ্দুন, কৃষ্টি-কালচার বর্হিভ‚ত ভিন্ন ধর্মের সংস্কৃতি, মূর্তিপূজা, মূর্তিকে সম্মান প্রদর্শনের মত ইসলামবিরোধী কার্যক্রম কোনকালেই সমর্থন করেনি, করবে না।
বক্তাগণ বলেন, আন্তর্জাতিক ইসলামি ব্যক্তিত্ব ও প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন আমিরে শরীয়ত হযরত মোহাম্মদল্লাহ হাফেজ্জী হুজুর (রহ.) এবং জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের প্রথম খতিব মুফতি আমীমুল ইহসান মুজাদ্দেদী (রহ.) এর বিরুদ্ধে ঘাপটি মেরে থাকা জনবিচ্ছিন্ন এক শ্রেণির জ্ঞানপাপীর আলেম-ওলামা, পীর মাশায়েখ তথা ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের বিরুদ্ধে সদা চক্রান্ত ও ইসলাম বিদ্বেষীদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে লিপ্ত, তারাই মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সর্বজন শ্রদ্ধেয় মরহুম হযরতদের বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে স্বাধীনতাবিরোধিতার অভিযোগ তুলে গোটা আলেম সমাজ ও ইসলামি জনতাকে স্বাধীনতাবিরোধী বলে চক্রান্তে নেমেছে। এদের প্রতিহত করতে হবে। হাফেজ মাওলানা ক্বারী আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন হযরত মাওলানা শাহ আতাউল্লাহ, হযরত মাওলানা ওবায়দুর রহমান খান নদভী, হযরত মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম, মহাসচিব মুফতি মাও. মিনহাজ উদ্দীন, মাওলানা বেলায়েত হোসাইন আল ফিরোজী, মাওলানা জাফর আহমদ, মাওলানা আনোয়ার হোসাইন, মুফতি তাসলীম আহমদ, মাওলানা শহীদুল আনোয়ার, মাওলানা যোবায়ের আহমদ, মাওলানা শামসুল হক প্রমুখ।
সভায় বক্তারা সরকারের নিকট অনতিবিলম্বে মূর্তি অপসারণের দাবি করেন। বক্তাগণ সরকারকে রাষ্ট্রের অভিভাববকত্বের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনের আহŸান জানান। অন্যথায়, জাতীয় ইমাম সমাজ বাংলাদেশ এদেশের মুসলমানদের ধর্মীয় পথপ্রদর্শক হিসাবে সমস্ত মসজিদের ইমাম-খতিব, ওলামা-মাশায়েখ, পীর বুজুর্গ, ধর্মপ্রাণ ঈমানদীপ্ত তৌহিদি জনতাকে সাথে নিয়ে ইসলামবিদ্বেষী, কাফের-মুশরিক, ভিনদেশি এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী ও সর্বোচ্চ বিচারালয়ে মূতি স্থাপনের সাথে সম্পৃক্ত ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে মূর্তিবিরোধী আন্দোলন নিয়ে রাজপথে ঝাঁপিয়ে পড়তে বাধ্য হবে। তখন পরিস্থিতি সামাল দেয়া কঠিন হবে। তাই অনতিবিলম্বে সুপ্রিম কোর্ট আঙ্গিনা হতে মূর্তি অপসারণ করে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ