Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতির দাবিতে পাকিস্তানে কারানির্যাতিত বাঙালি সৈনিকদের মানববন্ধন

| প্রকাশের সময় : ২৩ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

কুমিল্লা থেকে স্টাফ রিপোর্টার : স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বাংলাদেশের পক্ষে অবস্থান নেয়ার কারণে পাকিস্তানে কারানির্যাতনের শিকার সশস্ত্র বাহিনীর জীবিত বাঙালি সৈনিকরা মুক্তিযোদ্ধা এবং নিহতদের শহীদ মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি চায়। দেশের ৩৭ হাজার বাঙালি সৈনিকের পক্ষে কুমিল্লা, চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অবসরপ্রাপ্ত বাঙালি সৈনিকরা গতকাল বুধবার দুপুরে কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারের প্রতি মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতির দাবি জানায়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর পূর্ব পাকিস্তানে মোতায়েন সশস্ত্র বাহিনীর বেশিরভাগ বাঙালি অফিসার এবং সৈনিক বাংলাদেশের পক্ষে যোগ দেন। তারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে নিজেদের সমর্থন, অবস্থান পরিস্কার করেন। সেই কারণে ওই সময়ে পাকিস্তান কারাগারে যেতে হয় সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর অন্তত ৩৭ হাজার বাঙালি সৈনিককে। প্রায় তিন বছরের বেশি সময় কারাগারে আটক থাকা বাঙালি সৈনিকরা নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হন। জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রচেষ্টায় জাতিসংঘের তত্ত¡াবধানে ৭৩ সালের শেষের দিকে পাকিস্তান কারাগার থেকে নির্যাতিত সৈনিকরা মুক্তি পেয়ে ৭৪ সালের ফেব্রæয়ারি পর্যন্ত কয়েক ধাপে বাংলাদেশে ফিরে আসেন। আটকের তিন বছরে অনেক বাঙালি সৈনিক মৃত্যুবরণও করেন। পাকিস্তান কারাগার থেকে মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে বৃহত্তর কুমিল্লা জেলার কুমিল্লা, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অন্তত তিন হাজার সৈনিক রয়েছে। বক্তারা বলেন, বর্তমানে স্বাধীনতা স্বপক্ষের সরকার দেশ পরিচালনা করছেন। জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে বিশেষ অবদান রেখে চলেছেন। আমরা মনে করি, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানে কর্মরত ৩৭ হাজার বাঙালি সৈনিক বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে অবস্থান নেয়ার অপরাধে জেল খেটেছে, নির্যাতন সয়েছে। আমরা মুক্তিযুদ্ধের অংশিদার। আর মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন করার কারণে আমাদেরকে দীর্ঘ তিন বছরের বেশি সময় কারাগারে আটক থেকে পাকিস্তানিবাহিনীর নিপীড়ন অত্যাচার সহ্য করেছি। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন অবসরপ্রাপ্ত সাজেন্টদের মধ্যে আবদুল মান্নান, ইসমাইল হোসেন, সিদ্দিকুর রহমান, মনিরুল হক ভূইয়া, গিয়াস উদ্দিন, আবুল কালাম, মো. ইসমাইল, সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার মোশাহিদ আলী, একেএম মোশারফ হোসেন, সিগন্যালম্যান আবুল খায়ের মজুমদার ও কর্পোরেল এমএ মালেকের পুত্র হুমায়ুন কবীর প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ